![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন্দাভাব কেটে গিয়ে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছিল তা আবার কাটতে শুরু করেছে। সামষ্ঠিক অর্থনীতির সূচকগুলোও উর্ধমুখী। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তা শক্তিশালী না হওয়ায় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়েছে।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে। বেড়েছে ব্যাংকে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার। এতে বেসরকারী খাত ফের সচল হওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতিকে ভীষণভাবে জাগিয়ে তোলার প্রক্রিয়ায় ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। এটিই এখন অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অর্থনীতি যে হারে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৭ শতাংশে টেনে নিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত জুলাই থেকে মে মাসে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর এই উর্ধমুখী প্রবণতার মধ্যে এবার ঈদে গত কয়েক বছরের মধ্যে বেশি কেনাকাটা হচ্ছে। ঈদের এই লেনদেনের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যা অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। দেশে অর্থনীতির এই পুনরুদ্ধার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখন বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। এটা অর্থনীতির জন্য ভাল। রাজনৈতিক সঙ্কটে মন্দাভাব কেটে গিয়ে অর্থনীতিতে আবার গতি সঞ্চারিত হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় গত দুই বছরের মধ্যে এবার ঈদে সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় মানুষ স্বস্তিতে আছে, মানুষের আয় বেড়েছে। ফলে ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে গেছে। বর্তমান ধারা বজায় থাকলে চলতি অর্থবছর মানুষের গড় আয় ১৪শ’ থেকে সাড়ে ১৪শ’ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.