নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দরে রূপ পেতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৫ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম হবে

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

দেশের বৃহত্তম চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দরে রূপ পেতে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের বড় বড় সমুদ্রবন্দরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কনটেনার হ্যান্ডলিং করতে বদলে ফেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি বৃহৎ প্রকল্প।বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত ৯টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বছরে ২৫ লাখ টিইইউএস কনটেনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে কনটেনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে প্রায় ১১ লাখ টিইইউএস।কনটেনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেলে প্রতিবছর চট্টগ্রাম বন্দরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বছর শেষে বন্দরের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি টাকা।চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বড় বড় জাহাজের আসা-যাওয়া অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের বছর ওয়ারি জাহাজ আগমন নির্গমণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১১ সালে ২ হাজার ২৪৮টি জাহাজ আসা-যাওয়া করে। ২০১২ সালে ২ হাজার ২৭৬ ও ২০১৩ সালে ২ হাজার ৩৩৯টি জাহাজ আসা-যাওয়া করে। জাহাজের আগমন নির্গমণ এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন বাড়ছে কনটেনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যাও।২০১১ সালে ১০ লাখ ৩৯ হাজার টিইইউএস কনটেনার হ্যান্ডলিং করা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। ২০১২ সালে হ্যান্ডলিং করা হয় ১০ লাখ ৪১ হাজার টিইইউএস। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৫৪ হাজার টিইইউএস কনটেনার হ্যান্ডলিং করা হয়। চলমান অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রমে আরও গতি আনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে রূপ দিতে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই বিশেষ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের লালদিয়া এলাকায় এক হাজার মিটার দীর্ঘ জেটি সুবিধাসহ একটি বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ, সিমেন্ট ক্লিংকার ও কয়লা হ্যান্ডলিং করতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ, কনটেনার হ্যান্ডলিং সুবিধা বাড়াতে ৩৫ একর জায়গায় ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ, আধুনিক ট্রেইলিং সাকশন হোপার ড্রেজার সংগ্রহ, ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিতে ৪০ তলা সিপিএ টাওয়ার নির্মাণ, বন্দর চ্যানেলে ৯ দশমিক ৫০ গভীরতার জাহাজ ভেড়াতে চ্যানেল খনন, ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত প্লান্ট নির্মাণ, বন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ ও অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার এলার্ম সিস্টেম আধুনিকায়ন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পাবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.