![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাপান ও চীনের জন্য বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়েছে। জাপান ও চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তবে তারা বিশেষ অর্থনৈতিক বিনিয়োগ অঞ্চল চায়। গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন ও জাপান সফর করেন। সেখানে এ সব বিষয়ে সে দেশের বিনিয়োগকারী ও সরকারী পর্যায়ে নানা আলোচনার পর তাদের গ্রীন সিগন্যাল দেয়া হয়। জাপানের সঙ্গে ২১ দফার একটি ইশতেহারেও স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫শ’ একর জমির ওপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পক্ষান্তরে দেশের ৫টি ইপিজেডে কিছু প্লট ও ভবন সংরক্ষণ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমার, চীন, ভারত ইকোনমিক করিডর সৃষ্টিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে সরকার। চীন সরকার ইতোপূর্বে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করে দেয়ার বিপরীতে সে দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক বিনিয়োগ অঞ্চল চেয়েছিল। বর্তমান সরকার নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ বিষয়ে তার কার্যালয় কাজ শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী পর পর চীন ও জাপান সফরে যান। চীন সফরকালে বাংলাদেশ-চীন কয়েকটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। ইতোমধ্যে এ সব বিষয়ে আরও বহু দূর এগিয়ে গেছে। এ জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল আমাদের অর্থনৈতিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কেননা, এ সব অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান যেমন হবে, তেমনি অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে ওই অঞ্চলও উন্নয়ন ছোঁয়া পাবে। পাশাপাশি দেশও অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হছে।
©somewhere in net ltd.