![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিল্টন বিশ্বাস, ০২ আগস্ট, এবিনিউজ : নয়াদিল্লি ভিত্তিক ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ নামক তথাকথিত সংগঠন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের প্রকাশিত Bangladesh: Sending Death Squads to Keep the UN’s Peace শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় চলতি বছরের (২০১৪) জুন মাসে। ৬৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এর সঙ্গে রয়েছে ১৩টি পরিশিষ্ট। পরিশিষ্টগুলো গুম-খুন-ক্রসফায়ারের তথ্য দিয়ে পূর্ণ। রিপোর্টটির প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় ‘র্যা বে’র আলোকচিত্র সংযুক্ত হয়েছে। জুন মাসে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্ভবত ২০১৩ সালের শেষভাগে তৈরি করা। এই রিপোর্টে উপস্থাপিত অধিকাংশ তথ্যাদি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সংগৃহীত হয়েছে। ওই একইসময়ে আদিলুর রহমান ‘র্যা বে’র বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রকাশনা বের করেন এবং বেগম খালেদা জিয়াও ‘র্যা ব’ বাতিলের দাবি তোলেন। সে সময়ে প্রস্তুত রিপোর্টই বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হয় এ মাসে। অর্থাৎ ২৪ জুলাই যখন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও শান্তি রক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা হার্ভে ল্যাডসাউ বাংলাদেশে সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন ঠিক তখন প্রেস-রিলিজ প্রেরণ করা হয় প্রতিবেদনটিসহ। যদি রিপোর্টটির উদ্দেশ্য হয়ে থাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনা তাহলে র্যাদবের ছবি দিয়ে প্রচ্ছদ ছাপানোর কী প্রয়োজন ছিল তা আমাদের বোধগম্য নয়। অর্থাৎ এটি বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা। কারণ শান্তি মিশনে সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যে কোনো সংস্থার সদস্যদের সম্পৃক্ততা কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে নয় বরং তার সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত থাকে। শান্তি রক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যে অর্থ উপার্জন হয় তা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হয়। আর রাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনীর সরঞ্জাম অন্য দেশে নিয়ে ব্যবহারের ভাড়া বাবদ বিপুল অর্থ প্রাপ্তি ঘটে। রাষ্ট্রের এই উপার্জন অন্য কোনো দেশের কাছে চলে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশকে গভীর সংকটে ফেলা। এজন্য কেবল ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ নামক অপশক্তি নয় এর পিছনে অন্য কোনো দেশের ইন্ধন থাকাটা স্বাভাবিক। বলা যায় এদেশের রাজনৈতিক দল, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা, বৈদেশিক সরকার এবং নানারকম আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত হয়েছেন এদেশের কতিপয় অশিষ্টজন যারা ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’কে সমর্থন দিয়ে টিভি পর্দায় কথা বলছেন; আর পত্রিকায় মতামত ব্যক্ত করছেন। ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ ভেবেছিল প্রতিবেদনটি প্রচারিত হলে হার্ভে ল্যাডসাউ তার সফর বাতিল করবেন। কিন্তু তাদের প্রেসরিলিজে কাজ হয়নি। বরং গত ২৪ জুলাই(২০১৪) হার্ভে ল্যাডসাউ-এর সাক্ষাতের সময় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় সৈন্য সরবরাহকারী রাষ্ট্র। এজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হলে শান্তিরক্ষা মিশনে মাঠ পর্যায় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ের মধ্যে সমন্বয় নিবিড় হবে। তাছাড়া জাতিসংঘ মিশন থেকে ফেরা বাংলাদেশি কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ের চাহিদাগুলোর বিষয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষ শান্তিরক্ষী সততা, শৃঙ্খলা ও সাহস নিয়ে প্রশংশনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া সৈন্যদের প্রশিক্ষণে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট ট্রেইনিং’ (বিপসট) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গোত্রে গোত্রে সংঘাত নিরসন, যুদ্ধাঞ্চলে মানবিক সাহায্য সামগ্রীর কনভয় এবং জাতিসংঘ শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের উদ্ধারে শান্তিরক্ষা বাহিনী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা এসব কর্মযজ্ঞে নিবেদিত প্রাণ কর্মী। ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর প্রতিবেদন জুড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর কিলিং সম্পর্কে বিচিত্র বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সংস্থাটির অফিস দিল্লিতে। সেক্ষেত্রে এদেশের সরকার বিরোধী সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। পরিশিষ্টের দীর্ঘ তালিকার দিকে লক্ষ রেখেই বলা চলে, হত্যাকা- কেবল পুলিশ কিংবা র্যা বের সঙ্গে ক্রসফায়ারে হয় না বরং পারিবারিক, ব্যক্তিগত ঘটনা জড়িত থাকে হত্যাকা- সংঘটনে। বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটের ক্রাইম রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় ২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নথিভুক্ত খুনের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। বিএনপি-জামাত জোট আমলে খুন হয়েছে ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ। ২০০৭-০৮-এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজার। মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে চৌদ্দ হাজার খুন হয়েছে। (Click This Link) অর্থাৎ ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর প্রতিবেদনে দেখানো ‘র্যা ব’ কর্তৃক ৭৫৩ জন(২০০১-২০১৩) ক্রসফায়ারে হত্যার সংখ্যার সঙ্গে এ পরিসংখ্যানের অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিভিন্ন সরকারের সময় খুনের পরিসংখ্যান থেকে আমরা কি দেখতে পাই? কারা মারা পড়েছে? এরা কি রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়েছে? নাকি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে হত্যাকা- ঘটেছে। হিংসা-দ্বেষ, ভূমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব-বিবাদ থেকে খুন হলে সেটা ব্যক্তি পর্যায়ের বিষয়। তার জন্য সরকার, বিরোধী দল, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ কেউ-ই দায়ী নন। এর প্রধান কারণ নৈতিক অবক্ষয়; মানুষের সামাজিক মূল্যবোধের অবনতি। অথচ বাইরের রাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা ‘র্যা ব’ বিলুপ্ত করার দাবি জানাচ্ছে; আমাদের কাছে আশ্চর্যের বিষয় এটি! বর্তমান সরকার কি গণ-বিরোধী শাসক? র্যা বের কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে জনগণের মঙ্গলের জন্য। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার আপনজন নিহত হলে আমরা কি বলব? প্রতিটি ব্যক্তির বেডরুম পাহারা দিতে সরকার পারবে না এটা আমরা জেনে গেছি; জনে জনে মানুষের নিরাপত্তা দিতেও সরকারকে বেগ পেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ অন্যতম উপায় হতে পারে। জঙ্গিদের আইনের হাতে সমর্পণ করে শাস্তি নিশ্চিত করলে ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। অপরাধীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে পুনরায় অপরাধে যুক্ত হতে যেন না পারে; সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া দরকার। বিএনপি-জামাত জোট আমলে গুপ্ত ঘাতকরা দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে; এমনকি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। এ ধরনের অপরাধী ছাড়া পায় বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘র্যা বে’র মতো এলিট ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ এ ধরনের ফোর্স সামাজিক অবক্ষয় ও বিচার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আরো বেশি আস্থাশীল সংস্থায় পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে বিরোধী গোষ্ঠীর নানা অপতৎপরতা সত্ত্বেও র্যাংবের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটি তৈরি হয়েছে। কারণ ‘র্যা ব’ বাংলাদেশের অন্যতম ‘এলিট ফোর্স’। বিশ্বের অনেক দেশে এলিট ফোর্সের অস্তিত্ব রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শক্তিশালী চক্রান্তকারী গোষ্ঠী অপপ্রচার শুরু করেছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ গত ২১ জুলাই(২০১৪) র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)-এর পুনর্গঠনের পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব এ বাহিনীকে বিলুপ্ত করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছে। ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংস্থাটি প্রচার করছে যে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাতব কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ঘটনা প্রমাণ করে র্যা ব ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে কাজ করছে। অথচ সকলেই জানেন বর্তমান সরকার র্যাণব পুনর্গঠন ও একে জবাবদিহির আওতায় এনেছে। এ সংস্থার দোষী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। অর্থাৎ র্যা বের জবাবদিহিতা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন অপপ্রচার। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের মন্ত্রী পরিষদ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল; তাদের হাওয়া ভবনের নেতা তারেক জিয়া ২১ আগস্ট জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা করিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল; তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ কোথায় ছিল? তখন তারা সেই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেনি কেন? ২০০১ সালের নির্বাচন-উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হিন্দু-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছিল জামাত-বিএনপি; হত্যা-ধর্ষণে মেতে উঠেছিল তারা। তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ কোথায় ছিল? ৫ জানুয়ারি(২০১৪) নির্বাচনের আগে জামাত-বিএনপি প্রায় প্রতিদিন বোমা মেরে, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে; তখন এই ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর কোনো মাথা ব্যথা ছিল না কেন? আসলে এই সংগঠনটি বাংলাদেশের বাইরে থেকে এদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। ফলে তাতে ভ্রান্তি থেকেই যায়। তাছাড়া রয়েছে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর প্রচারণা। সেই অপপ্রচারের উপর ভর করে তারা সাহস দেখায় ‘র্যা ব’কে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে; পত্র প্রেরণ করে। একটি জনপ্রিয় সংস্থার প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে না থাকলেও আমাদের মিডিয়া এবং জনমানুষের কাছে তার নির্ভরতা খুব বেশি। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর পত্র প্রেরণ ও মাথা ব্যথার ঘটনার পর কোনো সংবাদপত্র সেই ইস্যুতে সম্পাদকীয় লেখেনি। এমনকি গুরুত্ব দিয়ে সেই সংবাদটি পরিবেশনও করেনি। কারণ ‘র্যা ব’ এখনো জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক; জননিরাপত্তার অন্যতম অবলম্বন। অনুরূপ ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্ট সম্পর্কে। বিষয়টি দেশের কোনো জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। বরং বিডিনিউজ২৪ডটকম ২৪ জুলাই খবরটি প্রকাশ করেছে ওই সংগঠনের অপপ্রচার ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিষ্কার করার জন্য।
‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্টের রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঢাকার সিংহাসনের মূল চালিকা শক্তি বলা হয়েছে। অন্যান্য বাহিনীর উপর সেনাবাহিনীর সর্বময় কর্তৃত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আরো বলা হয়েছে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশের অবস্থান দখল করে থাকলেও এদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছে। ফলে বঞ্চিত বিডিআর বাহিনীর সদস্যরা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করে সেনা কর্মকর্তা নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ ওই ঘটনার বিচার কার্য সমাপ্ত হয়েছে এবং বিদ্রোহের নেপথ্যের অনেক প্রসঙ্গই উদ্ঘাটিত হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও বিপন্ন দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কদাচার নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের কর্তা ব্যক্তিদের করা প্রশংসার বিপরীত মন্তব্য। এদেশ থেকে আরো বেশি সৈন্য প্রেরণে গত বছরে(২০১৩) উপস্থাপিত জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষেও এ অভিমত। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সামরিক শাসনের অত্যাচারী ও দখলদার হিসেবে সেনাবাহিনীকে চিহ্নিত করাও অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। কারণ সেখানে পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুসারে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই মর্মে আঘাত করা হয়েছে যে, এই বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মূলত ‘উবধঃয ঝয়ঁধফং’ প্রেরণ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’-এর পরিচালক সুহাস চাকমা(চট্টগ্রামের ভূতপূর্ব বাসিন্দা) দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ যেন কোনো ক্রমেই বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী সদস্য গ্রহণ না করে। কারণ বাংলাদেশ সরকার তাদের ‘ডেথ স্কোয়াড’সমূহকে জাতিসংঘে প্রেরণ করে থাকে। এভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবমূল্যায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে এর সুনাম নষ্ট ও ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’। একইভাবে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এবং আদিলুর রহমানের ‘অধিকারে’র মতো সংগঠনগুলো ‘র্যা ব’কে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, র্যা বে’র শতকরা ৪৪ ভাগ সদস্য সশস্ত্র বাহিনী থেকে নেয়া। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করাই তাদের রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য বলে প্রকাশ পাচ্ছে। অথচ এদেশের সেনাবাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শান্তিরক্ষা সর্বত্রই তাদের বিচরণ সমুন্নত রয়েছে এখনো। ১৯৭১ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিত হয়েছিল জনতার সঙ্গে। সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ক অর্থাৎ জনতা ও সশস্ত্র বাহিনীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি উদ্দীপক বিভাব। জাতির প্রয়োজনে অর্পণ করা কঠিন দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা অনন্য। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ আর জনগণের জন্য ভালোবাসা এই দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর দেশপ্রেম। অনুরূপভাবে বর্তমান বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী একটি পরিচিত ও আস্থার প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্যোগময় পরিবেশে শান্তি স্থাপন করে অপরিচিত দেশের অচেনা মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘ সনদের ষষ্ঠ অধ্যায়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা এবং সপ্তম অধ্যায়ে শান্তি প্রয়োগের বিধান রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংঘর্ষে লিপ্ত দুপক্ষের সম্মতি এবং মতৈক্যের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। শান্তিরক্ষা বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ কর্তৃক অনুমোদিত একটি শান্তি চুক্তি বা শান্তি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়। এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ৬৮টি মিশনের মধ্যে ৫৪টিতে ১,১৮,৯৮৫ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী সদস্য অংশগ্রহণ করেছে। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সদস্যসংখ্যা ৮,৯৩৬ জন যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে এদেশের সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য জাতিসংঘের পতাকাতলে একত্রিত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ পরিবারের সদস্য হয় নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা মিশন এলাকায় বিবাদমান দলকে নিরস্ত্রীকরণ, মাইন অপসারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা প্রদান, সড়ক ও জনপথ এবং স্থাপনা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কঙ্গো, নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর প্রভৃতি স্থানে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল নাম। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর মোট ৯৬ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন; পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন ১৪জন। অন্যদিকে ২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয় হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। স্মরণীয়, মহাজোট সরকারের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০১৩ সালে ছিল ১৬.৩ বিলিয়ন ডলার। শান্তি মিশন থেকে আয় এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কারণ বিশ্বে সকল প্রান্তের দুর্গত, নিপীড়িত ও নিরীহ মানুষের সেবায় এ শান্তিরক্ষীদের হাত সর্বদা প্রসারিত। সংঘাতপূর্ণ ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েও তারা আর্তমানবতার সেবা করে চলেছে।
শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে-‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কার সাথে বৈরিতা নয়।’ বিশ্বের বিরোধপূর্ণ স্থানে জাতিসংঘের ডাকে শান্তি স্থাপন করা এজন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জরুরি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হচ্ছে। জাতিসংঘকে শান্তি স্থাপনে সহায়তা দেয়া এবং পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সুশিক্ষিত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী থাকাটা অন্যতম শর্ত। আজকের পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন বাহিনীর ধ্যান ধারণা, চিন্তা-চেতনার আধুনিকায়ন করে যেতে হচ্ছে। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিচিত্ররকম আবহাওয়ায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করছে। হাইতি থেকে পূর্ব তিমুর, লেবানন থেকে কঙ্গো পর্যন্ত বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় তাদের পদচারণা। বসনিয়ার তীব্র শীত, সাহারা মরুভূমির দুঃসহনীয় গরম ও পূর্ব এশিয়ার ক্লান্তিকর আর্দ্রতার সাথে মানিয়ে নিয়ে রাত-দিনের দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে চলেছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী। বিশ্ব মানবতা প্রতিষ্ঠায় আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর রয়েছে অসামান্য অবদান। কারণ ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী রয়েছে; রয়েছে বিচিত্র রাজনৈতিক মতাদর্শ। এসব সামাজিক ভেদাভেদ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যকে পিছনে ফেলে সকলকে নিয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করছে শান্তিরক্ষীরা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় দুশত আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যানবাহন নিয়ে তাদের অপারেশন পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী দুটি যুদ্ধ জাহাজ ওসমান ও মধুমতি লেবানন এবং ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় সর্বদা টহলের কাজে মোতায়েন রয়েছে। মিশন এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ নদীপথগুলোতেও তাদের সতর্ক প্রহরা দেখা যায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিআর-১৩০ এয়ারক্রাফট, এমআই-১৭ ও বেল হেলিকপ্টারের মাধ্যমে কঙ্গো ও আইভরিকোস্টে জরুরি সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন, উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ তৎপরতায় দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সদস্য মিশন এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে দাঙ্গা দমনে সহায়তা দিচ্ছে। বিশ্বের বিশৃঙ্খল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে শান্তি স্থাপনে সাফল্য অর্জন করাও বাংলাদেশ মিশনের শান্তি প্রকল্পের অন্যতম কাজ। শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশী নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাসে একটি মাইলফলক। শান্তি রক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা হার্ভে ল্যাডসাউ এদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের অবদানের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। মূলত দুই দশকের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ উৎসাহব্যঞ্জক। শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা মোতায়েনের সংখ্যার বিচারেও অনেক দিন ধরে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে আমাদের দেশ। এই ধারা অব্যাহত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমুন্নতি বিধানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর বিশ্ব শান্তি স্থাপনের ভূমিকাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করা দরকার। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও শান্তি রক্ষা মিশনের দায়িত্বে থাকা হার্ভে ল্যাডসাউ-এর বাংলাদেশ সফর সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিল আরো একবার। অন্যদিকে ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’সহ বাংলাদেশ বিরোধী সংস্থাগুলো যে অপতৎপরতায় যুক্ত তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। তারা বর্তমান সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর আনুগত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে; শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এদেশের বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে বৈরি সম্পর্ক অনুপস্থিত। বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের সংগঠনের উস্কানি কোনো কাজে লাগছে না। কারণ প্রতিটি বাহিনীর রয়েছে পেশাদারী আচরণ। তাছাড়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মান্য করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। তবু বিভিন্ন অপপ্রচার থেকে রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য, রাষ্ট্রের অনিবার্য অঙ্গ সেনাবাহিনীকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে অপপ্রচার মোকাবেলায় মিডিয়ার কার্যকর অবদান রাখা জরুরি। ২৬ জুলাই ঢাকাস্থ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শাহদীন মালিক বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী নিয়োগ না দেয়ার জন্য বর্তমান বাংলাদেশ সফরকারী হার্ভে ল্যাডসাউ বরাবর দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে ২৫ জুলাই(২০১৪) আদিলুর রহমান বিডিনিউজ২৪ডটকম-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর ২৬ জুলাইয়ের ওই সংবাদ সম্মেলনে ৩০ আগস্ট(২০১৪)-এর পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। এসব ব্যক্তিরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতোই কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রকাশনা ও মন্তব্য করে আমাদের শঙ্কিত করেছেন। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে মিডিয়া ও সমাজের বিশিষ্টজনদের। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক বেশি তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায়। জরুরিভিত্তিতে তাকে মোকাবেলা না করলে জনগণের আস্থা হারাবে সরকার। ত্বরিত রাষ্ট্রবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণই হবে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক।
©somewhere in net ltd.