নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও বাংলাদেশ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। লাখো শহীদের রক্তে ভেজা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংঘাত নিরসনে অনন্য সাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের দেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের আস্থা স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন এবং অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত নোটিশে তৎপরতা চালাতে প্রস্তুত থাকেন। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আমাদের শান্তিরক্ষীদের সম্মান জানাই এবং 'বস্নু হেলমেট'-এর সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী।অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা, আন্তর্জাতিক বিবাদ-বিসম্বাদের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশ উৎসর্গীকৃত ও অঙ্গীকারবদ্ধ। বৈশ্বিক শান্তির প্রতি গভীরভাবে সংযুক্ত থাকা সম্পর্কে বাংলাদেশের 'সড়ক মানচিত্র' দেশের সংবিধানে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় এই অঙ্গীকারের সঙ্গে সদৃশপূর্ণভাবে দুই দশকেরও বেশিকাল ধরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সমগ্র বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে (টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবধপব কববঢ়রহম ঙঢ়বৎধঃরড়হং/টঘচকঙ) অংশগ্রহণ করে আসছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পদচিহ্ন এখন বিশ্বের সব গোলযোগপূর্ণ এলাকায়, হাইতি থেকে পূর্ব তিমুর; লেবানন থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো সব দেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা প্রায় সব স্থানেই আছে এবং আগত দিনগুলোতেও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের এ দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে, তাদের পেশাদারিত্ব, অঙ্গীকার, নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বৈশ্বিক শান্তিরক্ষীর 'রোল মডেল'-এর মর্যাদাপূর্ণ পরিচিতিতে অধিষ্ঠিত করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ২৬ বছর পূর্তি হলো ২০১৪ সালের ২৯ মে। এই ২৬ বছরে শান্তিরক্ষা মিশনে 'বস্নু হেলমেটধারী' বাংলাদেশের সদস্যরা যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই তারা মূল্যবোধ, মানগত আদর্শ ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ফলে বিভিন্ন মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিব পদে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা বাংলাদেশের সদস্যদের প্রশংসা করেছেন। এই প্রেক্ষিতে 'ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে' জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রধানের সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর দ্বারা অন্যান্য অনেক কিছুর সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের অপরিহার্যতা অত্যন্ত সহজেই অনুধাবন করা যায়। একই উদ্দেশে এ সময়ে তিনি ভারত ও নেপাল সফর করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক ২১ জুলাই, সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, 'গৎ. খধফংড়ঁং রং ারংরঃরহম ধষষ ঃযৎবব পড়ঁহঃৎরবং ঃড় ঃযধহশ ঃযবস ভড়ৎ ঃযবরৎ পড়হঃৎরনঁঃরড়হং ঃড় টঘ চবধপবশববঢ়রহম গরংংরড়হং ধৎড়ঁহফ ঃযব ড়িৎষফ ধহফ ঃযব ংধপৎরভরপবং সধফব নু ঃযবরৎ ঁহরভড়ৎসবফ ঢ়বৎংড়হহবষ ধহফ পরারষরধহ ংঃধভভ.' একদিকে যখন খোদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রধান দায়িত্ব পালন করার জন্য ধন্যবাদ দেয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ সফর করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে 'ডেথস্কোয়াড' হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে সদস্য না নেয়ার জন্য মহল বিশেষ সুপারিশ করছে। উপরোলি্লখিত পরিস্থিতিতে বর্তমান নিবন্ধের লক্ষ্য হচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের অপরিহার্যতা সম্পর্কে বিশ্লেষণমূলকভাবে আলোকপাত করা। বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল জাতি-রাষ্ট্র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টার ফলে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সদস্যভুক্তির পর থেকে দেশটি জাতিসংঘের সব কর্মকা-ে যথাযথ ভূমিকা পালন করে আসছে। সেনা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ 'বস্নু হেলমেট' পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মতো আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২২টি সংস্থার নির্বাহী অথবা গভর্নিং বডির সদস্য। আজ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ৫১টি মিশনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে ১ লাখ ২১ হাজার ৪০৭ জন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ জন; নৌবাহিনীর ২ হাজার ৭৬৭ জন; বিমান বাহিনীর ৩ হাজার ৫৯০ জন; এবং বাংলাদেশ পুলিশের ১২ হাজার ৫৫১ জন। বর্তমানে ৭ হাজার ৯৭৯ জন শান্তিরক্ষীসহ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশগুলোর একটি হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের এ শান্তিরক্ষীরা যেসব দেশে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন সেগুলোর মধ্যে লাইবেরিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন ৫৪২ জন ; কোট ডি' আইভরিতে ২ হাজার ৩৭৩ জন; দক্ষিণ সুদানে ৩০৩ জন; লেবাননে ৩২৬ জন; পশ্চিম সাহারায় ২৯ জন; মালিতে ১৮৫ জন; হাইতিতে ৩২৩ জন; নেপালে ০১ জন; ইতালিতে ০২ জন; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (জাতিসংঘ সদর দপ্তরে) ০৮ জন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের অনেক উপদ্রুত এলাকায় কঠিন দুঃসহ পরিস্থিতিতে, এমনকি নিজেদের জীবনের ওপর সাংঘাতিক হুমকির মধ্যেও দায়িত্ব পালন করছেন। বৈশ্বিক শান্তি রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের ১১২ জন সাহসী সন্তান তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯১ জন; নৌবাহিনীর ০১ জন; বিমান বাহিনীর ০৪ জন; এবং বাংলাদেশ পুলিশের ১৬ জন। এ উৎসর্গ তাদের জীবনকে সংক্ষিপ্ত করেছে কিন্তু এর ফলে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বশান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে আগস্ট ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের ১৫৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩৯ জন; নৌবাহিনীর ০১ জন; বিমান বাহিনীর ০৫ জন এবং বাংলাদেশ পুলিশের ০৯ জন। বাংলাদেশের যেসব শান্তিরক্ষী ২০০২-২০০৭ সালের মধ্যে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের মধ্য থেকে ৬২ জনকে জাতিসংঘ 'দ্য হেমারশোল্ড' মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেছে। অঈঐজ বলছে বাংলাদেশ 'ঐঁসধহ জরমযঃং ঝপৎববহরহম ড়ভ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎংড়হহবষ' বাস্তবায়ন করে নাই। এ সংস্থাটির সুপারিশ হচ্ছে 'বাংলাদেশের ডেথ স্কোয়াড থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সদস্য নেয়া বন্ধ করা উচিত।' উল্লেখ্য, অঈঐজ- এর ইধহমষধফবংয : ঝবহফরহম উবধঃয ঝয়ঁধফং ঃড় ঃযব টঘ্থং চবধপব শিরোনামের ৭৪ পৃষ্ঠার এ রিপোর্টটি প্রকাশকাল হচ্ছে জুন, ২০১৪। তবে এ রিপোর্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি করা হয়েছে জুলাই মাসে। আর এ বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের একটি মাত্র ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্রে। যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হার্ভে ল্যাডসউস ২২ জুলাই মূলত: 'ধন্যবাদ জ্ঞাপনের' উদ্দেশ্যে তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। আর ঠিক সে সময়টিকেই বেছে নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উপযুক্ত সময় হিসেবে। বোঝাই যাচ্ছে, এটি একটি বিশেষ মহলের, বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেয়া। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিচালিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল তথা ২০২১ এবং ২০৪১ সালে যথাক্রমে মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে থামিয়ে দেয়াই এ ধরনের প্রতিবেদনের লক্ষ্য, আর কিছু নয়। অঈঐজ কর্তৃক উদ্ধৃত ঐঁসধহ জরমযঃং ঝপৎববহরহম ড়ভ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎংড়হহবষ শীর্ষক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আরো তথ্য আছে। যা অঈঐজ জানে না বা জানলেও তারা সেটি উল্লেখ করে নাই। নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর এ তথ্যটি হচ্ছে ঐঁসধহ জরমযঃং ঝপৎববহরহম ড়ভ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎংড়হহবষ পরিকল্পনাটি জাতিসংঘের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখনো গ্রহণ করে নাই। সুইজারল্যান্ডের জেনেভার টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঙভভরপব ধঃ এবহবাধ (টঘঙএ)-এর কো-অর্ডিনেটিং কাউন্সিল ২০১৩ সালের ০৬ জুন একটি পেপার দাখিল করেছে। এটির শিরোনাম হচ্ছে 'ঐঁসধহ জরমযঃং ঝপৎববহরহম ড়ভ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎংড়হহবষ, চধঢ়বৎ ঝঁনসরঃঃবফ নু টঘঙএ ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম ঈড়ঁহপরষ' এতে উলি্লখিত অন্যতম একটি বক্তব্য হচ্ছে, 'স্টাফ সদস্যদের সাথে কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়াই শুধুমাত্র পলিসি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মহাসচিব তার সিদ্ধান্ত নাম্বার ২০১২/১৮ এর মাধ্যমে চড়ষরপু ড়হ ঐঁসধহ জরমযঃং ঝপৎববহরহম ড়ভ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎংড়হহবষ অনুমোদন দিয়েছিলেন।' এতে জাতিসংঘে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হন এই কারণে যে 'এত গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্তটি প্রণয়ন করা হয়েছে।' টঘঙএ ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম ঈড়ঁহপরষ..রঃ রং ফববঢ়ষু ৎবমৎবঃঃধনষব ঃযধঃ ঃযব অফসরহরংঃৎধঃরড়হ ভধরষবফ ঃড় পড়হংঁষঃ ংঃধভভ ড়হ ংঁপয ধহ রসঢ়ড়ৎঃধহঃ ঢ়ড়ষরপু. ঞযরং রং বংঢ়বপরধষষু ঁহভড়ৎঃঁহধঃব ংরহপব ঃযব ঢ়ড়ষরপু ফবধষং রিঃয ংঁপয ভঁহফধসবহঃধষষু রসঢ়ড়ৎঃধহঃ রংংঁবং ঃড় ংঃধভভ ঁহরড়হং ধং যঁসধহ ৎরমযঃং (ভৎববফড়স ড়ভ ধংংবসনষু ধহফ ধংংড়পরধঃরড়হ, ভৎববফড়স ড়ভ বীঢ়ৎবংংরড়হ, ধহফ ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধঃরড়হ). অং ঃযব ংঃধঁহপয ধফাড়পধঃব ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং, ঃযব টঘঙএ ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম ঈড়ঁহপরষ রং ধষংড় ড়িৎৎরবফ ঃযধঃ সড়ংঃ ঝবপৎবঃধৎরধঃ ঝঃধভভ সবসনবৎং ধৎব হড়ঃ বাবহ ধধিৎব ড়ভ ঃযব ঢ়ড়ষরপু্থং বীরংঃবহপব, হড়ঃ ঃড় সবহঃরড়হ ধনড়ঁঃ অফসরহরংঃৎধঃরড়হ্থং চষধহং ঃড় রসঢ়ষবসবহঃ রঃ.' দেখা যাচ্ছে জাতিসংঘে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের স্টাফ ইউনিয়নগুলোর মানবাধিকারের যেমন সমাবেশ করার এবং অ্যাসোসিয়েশন করার, প্রকাশের, এবং অংশগ্রহণের স্বাধীনতার প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এ ধরনের একটি স্ক্রিনিং-এর বাস্তবায়ন দূরের কথা অস্তিত্ব সম্পর্কেই জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবগত নন। টঘঙএ ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম ঈড়ঁহপরষ জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবাধিকার স্ক্রিনিং-এর জন্য একটি অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বাস্তবায়নযোগ্য, এবং গণতান্ত্রিক জাতিসংঘ ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। (ঞযব ঈড়ঁহপরষ ংঃৎবংংবং ঃযব হববফ ঃড় বংঃধনষরংয ধ সড়ৎব পড়হংরংঃবহঃ, রসঢ়ষবসবহঃধনষব, ধহফ ফবসড়পৎধঃরপ টঘ ংুংঃবস ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয ঃড় যঁসধহ ৎরমযঃং ংপৎববহরহম ড়ভ টঘ ঢ়বৎংড়হহবষ.) এই পরিস্থিতিতে বলা যায়, যে বিষয়টি জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এখনো গ্রহণ করে নাই সেটি বাস্তবায়নের যুক্তি দিয়ে অঈঐজ বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও র্যা ব-কে 'ডেথ স্কোয়াড' আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে এদের নিয়োগদান বন্ধের সুপারিশ করেছে। যেটি সত্যিই একটি হাস্যকর, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য সুপারিশ। স্বাভাবিকভাবেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রধান তার সফরের সময় এ বিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপই করেন নাই! দেশের অভ্যন্তরে কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তার জন্য প্রচলিত আইন অনুযায়ীই বিচার ও বিহিত করার ব্যবস্থা আছে। জবাবদিহিতার ব্যবস্থা আছে। জাতিসংঘও সেটি অনুধাবণ করে। তার প্রমাণ হচ্ছে এত কিছুর পরেও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যে অবদান রাখছেন তার জন্য 'ধন্যবাদ' জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সফরের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হার্ভে ল্যাডসউস বলেন, ্তুনবরহম ধ পৎঁপরধষ ঃৎড়ড়ঢ়ং পড়হঃৎরনঁঃরহম পড়ঁহঃৎু ইধহমষধফবংয ফবংবৎাবফ মৎবধঃবৎ ৎবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ রহঃড় টহরঃবফ ঘধঃরড়হং নষঁব যবষসবঃ সরংংরড়হং.্থ একই সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়েও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের যৌক্তিকতা ল্যাডসউস স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'ডব ধিহঃ ইধহমষধফবংয নব ৎবঢ়ৎবংবহঃবফ রহ ঢ়ড়ষরপু ষবাবষ ধং বিষষ ধং ড়হ ঃযব মৎড়ঁহফ.' জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। লাখো শহীদের রক্তে ভেজা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংঘাত নিরসনে অনন্য সাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের দেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের আস্থা স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন এবং অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত নোটিশে তৎপরতা চালাতে প্রস্তুত থাকেন। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আমাদের শান্তিরক্ষীদের সম্মান জানাই এবং 'বস্নু হেলমেট'-এর সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী।

অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী: চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং পরিচালক, সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.