![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনপ্রতিনিধি বা আইনপ্রণেতাবৃন্দ রাষ্ট্রের নীতিমালা, আইন প্রণয়ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং তারাই দেশের রাষ্ট্রের নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করেন। তারপর প্রয়োজন হলে সেই আইনের ভিত্তিতে কমিশন গঠিত ও পরিচালিত হয়, আইনের বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে বিধিমালা তৈরী হয়। এটাই বিশ্বব্যাপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। কিন্তু জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হবার পর থেকেই অনেকেই কমিশন গঠন করে কমিশনকে নীতিমালা প্রনয়নের দায়িত্ব দেবার কথা বলছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন দাবি মোটেই নিয়মতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক নয়। কমিশন গঠিত হওয়ার জন্যও আইনের প্রয়োজন হয়, তাই চাইলেই কেউ কমিশন গঠন করতে পারে না। আইন প্রণয়নের আগে কমিশন গঠনের দাবি একপ্রকার ঘোড়া কেনার আগে লাগাম কেনার মতো বিষয়, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আবার কমিশন গঠিত হয় অনির্বাচিত ব্যক্তির সমন্বয়ে, সুতরাং নীতিগতভাবে কমিশনের রাষ্ট্রের নীতিমালা বা আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পেতে পারেন না। তবে জনপ্রতিনিধিবৃন্দ প্রয়োজন বোধ করলে সহযোগিতা নিতে পারেন। যে সহযোগিতা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রেও নেয়া হয়েছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের জন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি খসড়া তৈরী করে মতামত নেয়ার জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছিল। তারপর সেটা চূড়ান্ত করে মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত হয়। অনেকে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাকে মানুষের কন্ঠরোধ করার নীতিমালা হিসাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। দেশে ৪২টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কয়েকটি এমএম রেডিও প্রতিদিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। দেশে কোন সম্প্রচার নীতিমালা না থাকলে বরং সরকার যেকোন সময় যেকোন অনুষ্ঠানকে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা থাকলে কোন অনুষ্ঠান বা বিজ্ঞাপন বা টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সরকার বন্ধ করতে চাইলে সেটার বৈধতা বা অবৈধতা খুঁজে পাওয়ার একটা মানদন্ড পাওয়া যাবে, যার ভিত্তিতে সরকারের পদক্ষেপ ন্যায্য নাকি অন্যায্য সেটাও বিচার করা যাবে।
©somewhere in net ltd.