নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের নির্দেশনায় ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তদারকি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

ব্যাংক ব্যবস্থায় গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মোবাইল, ইন্টারনেট ও অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম তদারকি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এই নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শকদের দক্ষতা বাড়াতে ভারতে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ করে কিভাবে ব্যাংকগুলোর জাল জালিয়াতি শনাক্ত করা যায় সে বিষয়ে তারা প্রশিক্ষণ নেবেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওইসব ছাড়াও প্লাস্টিক ব্যাংকিং যেমন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন, রেমিটেন্সের অর্থ আদান প্রদান তদন্ত করা হবে। এছাড়াও বাণিজ্যিক ঋণ যেমন, এলটিআর, টিআর, প্যাকিং ক্রেডিট, পিএডি, আমদানির জন্য ঋণসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ কার্যক্রম, সব ধরনের ঋণের ব্যবস্থাপনা, সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম, ক্যাশ কাউন্টারে সম্পাদিত লেনদেন, আমানত ও ঋণ হিসাব খোলা এবং লেনদেন পদ্ধতি, টাকা স্থানান্তর কার্যক্রমসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম তদন্ত করা হবে। এসব লেনদেন সম্পন্ন করতে ব্যাংকগুলো যেসব বিশেষ সফটওয়্যারে ব্যবহার করে সেগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই অবহিত হয়েছেন। এখন তারা ওইসব সফটওয়্যারে ঢুকে এসব লেনদেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এখন ব্যাংকিং লেনদেন হয়ে পড়েছে প্রযুক্তিনির্ভর। এ কারণে তদারকির ব্যাপারে সরকারকেও প্রযুক্তিনির্ভর হতে হচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে পরিদর্শন ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এরই অংশ পরিদর্শনের ব্যাপারে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে পরিদর্শন শুরু হলে দ্রুত সময়ে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। অনলাইন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আমাদের দেশে নতুন চালু হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার কারণে এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এই খাতে এখন পর্যন্ত খুব বেশি পরিদর্শন করা হচ্ছে না। এখন এই খাতকেও পরিদর্শনের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে জাল জালিয়াতি শনাক্ত করা যেমন সহজ হবে, তেমনি এর প্রবণতাও কমে যাবে। এর মধ্যে ব্যাংকের হিসাব প্রক্রিয়ার সঠিকতা, স্বচ্ছতা এবং জাল জালিয়াতির রোধের কার্যকারিতা খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.