![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্নপত্র ফাঁসে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে সরকার। উচ্চ মাধ্যমিকসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের পর শিক্ষা আইনে প্রশ্ন ফাঁস ও শাস্তির বিষয়ে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আইনের উপর একটি কর্মশালা করে বিশিষ্টজনদের মতামত সংযুক্ত করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এর আগে মতামতের জন্য আইনের খসড়াটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছিল। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ এর আলোকে এক বছর আগে শিক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রণীত খসড়ায় শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে ৬৫টি ধারাসহ একাধিক উপধারা সন্নিবেশিত রয়েছে। আইনে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি না দেয়া, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে বলেও উল্লেখ্য আছে। সর্বশেষ খসরা আইনটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র এবং গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের পর শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনদের শিক্ষা আইনে প্রশ্ন ফাঁসে কঠোর সাজার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে প্রশ্ন ফাঁসে সাজার বিষয়ে একটি আইন থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে সংশোধিত প্রশ্ন ফাঁস ও এ বিষয়ে শাস্তি সংশ্লিষ্ট একটি ধারা শিক্ষা আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে “শিক্ষা আইনে ১০ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।” শিক্ষা আইনে সাজার বিষয়টি থাকায় পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.