![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাতারবাড়ি-ধলঘাট, হোয়ানক ও কালারমারছড়া মিলে কক্সবাজারের মহেশখালী হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও আধুনিক একটি শহর। এখানে হবে সাগরের ভাঙনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ, পরিকল্পিত হাউজিং, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রাস্তা-ঘাট ব্রিজ-কালভার্ট। এখানে সরকারি একান্ত উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও পিডিবির তত্ত্বাবধানে প্রায় ২ (দুই) হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ সুবাদে কক্সবাজার, চকরিয়া, কুতুবদিয়াসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে হোয়ানক-কালামারছরায় গড়ে উঠবে ভারী ও মাঝারি ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। পর্যটনের পাশপাশি এই প্রকল্পের সুবাদে বদলে যাবে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব এই অঞ্চলের শিক্ষা-চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অর্থনীতির অবস্থা। ইতোমধ্যেই ঐ এলাকার মানুষের অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানা গেছে এবং বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগের কারনে জনগণ বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। সরকার মহেশখালীর ওই এলাকায় এত বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় এলাকার মানুষ বেজায় খুশী। এই সুবাদে এখানে হবে টেকসই বেড়িবাঁধ। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় ’৯১ সাল ছাড়াও বারবার জলোচ্ছ্বাসে এলাকার যা ক্ষতি হয়েছে তা থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাবে। এই প্রকল্পের আওতায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও নির্মিত হবে এবং মাতারবাড়ি দ্বীপে একটি ভারী শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অত্যাধিক জ্বালানি-সাশ্রয়ী (আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল) প্রযুক্তিতে নির্মিত হবে। এটি উৎপাদনে গেলে দেশের প্রায় ১১ শতাংশ জনগোষ্ঠী নতুন করে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। সরকার ইতোমধ্যে কুতুবদিয়ার মানুষের বিদ্যুৎসংস্থানের জন্য ৩ মেগাওয়াটের আলাদা একটি জেনারেটর স্থাপন করতে যাচ্ছে। তাই এই প্রকল্পকে ঘিরে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা অবান্তর। এই প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে আগে নানা ধরনের আশঙ্কা থাকলেও এখন তা কেটে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের এই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য উন্নয়ন হবে এলাকাবাসীর এবং এগিয়ে যাবে দেশ।
©somewhere in net ltd.