![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রপ্তানি করে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে। সফটওয়্যার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এই শিল্পের বিকাশ ঘটছে খুব দ্রুত। দেশে প্রায় ১১শ’ প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করছে। সফটওয়্যার খাতটি আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে। তাছাড়া এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যেমন যোগ হয়েছে, তেমনি বিদেশীদের আস্থাও বেড়েছে। সে কারণে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তবে এর চেয়েও অনেক বেশি আয় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত অর্থবছর শেষে আয় দাঁড়িয়েছিল ১০ কোটি ১৬ লাখ ডলার। সেখানে লক্ষ্য ছিল সাড়ে আট কোটি ডলার। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিবছর এক বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যেভাবে সব কিছু এগুচ্ছে তাতে তার আগেই এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রতিযোগিতার দৌড়ে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার বিদেশের বাজারে বড় ধরনের জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই শিল্প থেকে প্রতি বছর এক শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় হচ্ছে। ২০১৮ সাল নাগাদ সফটওয়্যার শিল্প থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট সরকারের। এই টার্গেট পূরণে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমানে সফটওয়্যার বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। এই খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১১শ’ কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি করছে। এই শিল্প বিকাশের পাশাপাশি বেকারত্বের হারও কমছে। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ হাজার তথ্য প্রযুক্তিবিদ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ সফটওয়্যার শিল্পে এক লাখের বেশি তথ্য প্রযুক্তিবিদ কাজ করতে পারবে। পৃথিবীর উন্নত দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার কিংবা কোন উদ্ভাবনের জন্য সরকারী সহায়তা দেয়া হয় না। আমাদের দেশে তথ্য ও প্রযুক্তির জন্য ব্যক্তিগত খাত থেকে বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারী সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের টার্গেট একটা প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ ১৫টি রপ্তানি খাতের একটিতে স্থান করে নিয়েছে সফটওয়্যার শিল্প।
©somewhere in net ltd.