নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে, তেমনি পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

দেশে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। অনেক ক্ষেত্রে সরকার দেশে তৈরি পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এতে এই পণ্যের চাহিদা দেশেও বাড়ছে-বিদেশেও বাড়ছে। বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) গত অর্থবছরে প্রায় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য সমাদৃত হচ্ছে। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব পাট পণ্য ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর তিন কোটি পিস পাট পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। চীনেও এই বাজারটি সম্প্রসারিত হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য কিনছে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এই মিলগুলো ৫৪ দশমিক ৫৯ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৯ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন পাটপণ্য উৎপন্ন করে ১২২ দশমিক ৩০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। এ ছাড়া দৌলতপুর জুট মিলস, কর্ণফুলী জুট মিলস এবং ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি চালু করা হয়েছে। এতে আরও প্রায় ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমান চালু ২২টি পাটকলেই চলছে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। এ উৎপাদন পক্ষে ২২ পাটকলের পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৩শ’ ৭৯ মেট্রিকটন। শুধু শহরের মানুষই এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। মিলসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ পাট মোকামগুলোতে চলতি বছরে ১৭৪টি ক্রয় কেন্দ্রেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার কারণে ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিজেএমসির পাটকলগুলোর দৈনিক উৎপাদন ছিল ৩৫৭ মেট্রিকটন থেকে ৪৮০ মেট্রিকটন। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকায় ২০১০-১১ অর্থবছরে দৈনিক উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৩ মেট্রিকটনে পৌঁছে। এর ফলে বিজেএমসির ১৬টি মিল দীর্ঘ ৩০ বছর পর ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৯ দশমিক ৫৯ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে ২০১১-১২ বছরে হালনাগাদ দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২৭ মেট্রিকটনে এবং ২০১২-১৩ বছরে ৬৫৮ মেট্রিকটনে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন বিজেএমসির মিলগুলোতে কাঁচাপাট ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.