![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক দিকে ফাইভ স্টার অন্যদিকে থ্রি স্টার হোটেল। মাঝে নয় লাখ স্কয়ার ফুটের বিশ্বমানের শপিংমল। তিনটেই কেন্দ্রীয় সংযোগে বাধা। এর সামনে দিয়ে সোজা চলেছে অনন্য কারুকার্যের একটা টাইলস লেন। আভিজাত্যের শেষ নয় এখানেই। ফাইভ স্টার হোটেলে থাকছে এমন এক ফুড কোর্ট, যেখানে মিলবে-ওয়েস্টার্ন, এরাবিয়ান, প্রাচ্য-দূরপ্রাচ্যের সব দেশের কুইজিন। আরও আছে বিজনেস সেন্টার, অফিস স্পেশ, হ্যারিটেজ মিউজিয়াম, চাইল্ড এমিউজমেন্ট, গ্রিনারি সাইট, ডিজিটালাইজড কার পার্কিং, একাধিক বার রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল, রকব্লাস্টার ৪টি সিনেপ্লেক্স যেখানে প্রদর্শিত হবে হলিউড কাঁপানো সব মুভি। টপ ফ্লোরে নয় হাজার স্কয়ার ফুটের একটা প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। তাতে মার্বেল টাইলসের চোখ ধাঁধানো কারুকাজ, বিশাল লাউঞ্জ, দুটো বেড রুম, নিজস্ব সুইমিংপুল, নিজস্ব কিচেন, গেস্ট কর্নার, বার রেস্টুরেন্ট। থাকছে ছাদে বসে সেন্ট্রাল মনিটরের আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার বিরল সুযোগ। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে দেশী-বিদেশী যাত্রীরা হোটেলে বসেই পাবেন চেকইন করার সুবিধা। এখানে চেকইন করার পর তাদের লাগেজ সরাসরি চলে যাবে, টিউব ট্যানেলে বিমানবন্দরে। যাত্রীরা হোটেল থেকে সরাসরি চলে যাবেন বিমানবন্দরের লাউঞ্জে। এভাবেই সাজানো হচ্ছে বহুল আলোচিত ইপকো প্রকল্প। এটা হবে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠতম হোটেল কাম শপিংমল। ইপকোর উদ্বোধনের পর পাল্টে যাবে শাহজালাল বিমানবন্দরের চেহারা। হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে যে কারোর চোখে পড়ে-বিশালাকার সুরম্য অট্টালিকার মতো এ স্থাপনা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নানা জটিলতা আর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে স্বপ্নের ইপকো আজ সত্যি হতে চলছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে প্রায় ষাট ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন। আগামী বছরের মাঝামাঝি থ্রি স্টার হোটেল ও শপিংমল উদ্বোধন করার মতো প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে ফাইভ স্টার হোটেলের কাজ সম্পন্ন করতে লাগবে আরও দেড় বছর। মোট জমির ৪০ শতাংশ রাখা হচ্ছে ফাঁকা-সবুজ বনানীর ছায়াঘেরা সুশীতল এলাকা হিসেবে। হোটেল ও শপিংমলের সব জরুরী সার্ভিস হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। দর্শকরা প্রবেশ করবেন, এক পথে বের হবেন অন্যপথে। এ প্রকল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে আবহমান বাংলার শাশ্বত রূপ ফুটিয়ে তোলা, যেমন হোটেলের সামনের দিকে থাকছে পানির ফোয়ারায় বিশালাকারের শাপলা ও দেশীয় সংস্কৃতির নানা আবহ। বিভিন্ন দেয়ালের কারুকার্যে থাকছে বাংলার কিষান-কিষানী, দুর্বার দুরন্ত বাংলার দামাল ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের পেশার ছাপ। থাকবে বাংলার দুই হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সমাহার। ইপকোর নির্মাণশৈলীতে যে কোন মানুষ পুলকিত হবে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই চোখের সামনে এমন একটি প্রতিষ্ঠান দেশের ভাবমূর্তি সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা দেবে। মূলত এটা হবে মিরর অব দ্য কান্ট্রি।
©somewhere in net ltd.