![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-২৫ ও ২৬ জাতের গম এ বছর প্রথম চাষাবাদ করেই কৃষকেরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। আশা করছেন বাম্পার ফলনের। এ জেলায় প্রতি হেক্টরে বারি জাতের গম সাড়ে ৪ টন ফলবে বলে কৃষক ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক বারি-২৫ ও ২৬ জাতের গম রোগ প্রতিরোধী, খরা ও লবণ সহিষ্ণু। এ জাতের গম গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার ৪০ একর জমির ৮০টি প্রদর্শনী প্লটে আবাদ করে কৃষক হেক্টরে সাড়ে ৪ টন ফলন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সদ্য উদ্ভাবিত বারি-২৫ ও ২৬ জাতের গম আবাদের জন্য এ বছরই গোপালগঞ্জের কৃষকের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ অঞ্চলে শীত দেরীতে আসে আবার দ্রুত চলে যায়। এখানকার জমিতে লবণাক্ততা রয়েছে। এ কারণে এ অঞ্চলের কৃষক গম আবাদ করে ভাল ফলন পাচ্ছিলেন না, কিন্তু বারি-২৫ জাতের গম আবাদ করে কৃষকরা বাম্পার ফলন পেতে যাচ্ছেন। আগামী বছর এ জেলায় এ জাতের গমের আবাদ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বারি গম আবাদের ২১ দিনের মাথায় সেচ দিলে ৪৩ ভাগ বেশি গম উত্পাদিত হয়। আপামর জন সাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। স্থানীয় জাতের মতো বারি উদ্ভাবিত ২৫ ও ২৬ জাতের গমে কোন রোগ দেখা দেয়নি। অথচ বারি গম চাষাবাদে খরচ স্থানীয় জাতের মতোই। স্থানীয় জাতের তুলনায় বারি গমে দ্বিগুণেরও বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকেরাও লাভবান। কৃষি বান্ধব এ সরকার কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধি করে কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.