![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুত উৎপাদনের সঙ্গে সঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করার চিন্তা করছে সরকার। একই সঙ্গে বিতরণ ব্যবস্থা গ্রাহক ঘনিষ্ঠ করে তোলার জন্য প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ব্যবস্থার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। বিগত কয়েক বছরে এককভাবে বিদ্যুত উৎপাদনের দিকে মনযোগী হলেও বিতরণ এবং সঞ্চালনে সীমাবদ্ধতা ছিল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সীমাবদ্ধতা কেটে যাবে। সরকারের পরিকল্পনায় দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হবে। এরমধ্যে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে আসবে তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এছাড়াও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন হবে ১৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট, গ্যাস থেকে ৮ হাজার ৯৫৬ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েল থেকে ৫ হাজার ২১৭ মেগাওয়াট, ডিজেল থেকে ৫০০ এবং পানি থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত আসবে। নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) পটুয়াখালির পায়রা বন্দরের কাছে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে বিদ্যুত কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন হবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালানো হবে। আনুমানিক দেড় বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুত প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ এবং চীন যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে। এছাড়া চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনের হুদিয়ান হংকং এর সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আনতে সরকারের এই ব্যাপক প্রচেষ্টা।
©somewhere in net ltd.