![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ মাসের অধিক হয়ে গেল ২০দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল চলছে। এই অবরোধের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখজনক হল বার্ন ইউনিটে মানুষ কাতরাচ্ছে, মারা যাচ্ছে। যে জীবনগুলো চলে গেল সেগুলো আর কোনদিন ফিরবে না। হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতি ক্রুশবিদ্ধ হচ্ছে। দেয়ালে মানুষের পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ অবরোধ হরতাল কিছুই মানতে চাচ্ছে না। অর্থনীতির চাকা যেন সচল থাকে এক দাবি কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, ফুটপাতের হকার থেকে পেশাজীবী, আমলা ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা সবার। যারা হরতাল অবরোধ দিচ্ছেন তারা কেবল বার বার মানুষকে পেছন থেকে টেনে ধরতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে হলে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করা উচিত। এদেশের উন্নয়নে গ্রামীণ অর্থনীতি একটি শক্তিশালী বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করছিল। সেখানে কৃষিখাত থেকে শুরু করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং গরিবের গগনবিদারী আহাজারিতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠছে তার ফল কিন্তু তাদেরই বহন করতে হবে যারা এ ধরনের বর্বরতা সৃষ্টি করছে। ব্যাংকিং খাতের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিরাট প্রতিবন্ধকতা। তারা যেখানে যেখানে অর্থায়ন করছে সেই অর্থগুলো উঠে আসার সম্ভাবনা খুব কম। ফলে ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি আবার বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিন্তু একবারও এই ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করেনি। সহিংসতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার সোপান হতে পারে না। ক্ষমতায় যেতে হলে একমাত্র সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হয়। আজকে দেশের চরম দুর্দিনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুখ, দুঃখকে একাকার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, সামাজিকভাবে যে অগ্রযাত্রা ছিল তা অব্যাহত থাকবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.