![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘জগতের যত বড় বড় জয়, যত বড় বড় অভিযান মাতা-ভগনি ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।’ কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এ চরণ দুটিই সাক্ষ্য দেয় প্রতিটি সাফল্য, বিজয় বা মহান সৃষ্টির পেছনে নারীর অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যুগে যুগে পুরুষের পাশে থেকে প্রেরণা যুগিয়েছে, ভয়কে জয় করার সাহস সঞ্চার করেছে। শুধু প্রেরণা নয়, অনেক নারী নিজেও করে দেখিয়েছে মহান সব কীর্তি, বিশ্বকেও দিয়েছে নেতৃত্ব। বেগম রোকেয়া, নারীনেত্রী ইলা মিত্র দেখিয়েছেন কিভাবে পরাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়, প্রীতিলতা দেখিয়েছেন কিভাবে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেখিয়েছেন কিভাবে রাজাকারদের বিচার করতে হয়। বাংলাদেশের নারীরা এখন আর ঘরে বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি মাঠে কাজ করে যাচ্ছে দল বেঁধে। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে সীমাহীন বৈষম্য ও বঞ্চনার মধ্যে রেখে ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ অসম্ভব। বিশ্বাস ও চেতনা থেকেই পরিবর্তনের জন্য সুপ্তশক্তির বিকাশ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে নারীরা। শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামের নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরাও এখন ঘরে বসে নেই। স্বামী সন্তানের পাশাপাশি জীবনের ভাগ্য তথা দেশের উন্নয়নের জন্য দল বেঁধে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের শিল্প ও কৃষি খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ নারী কাজ করে। দেশ গঠনে তাদের ভুমিকা অনস্বীকার্য।
©somewhere in net ltd.