নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সঠিক দিক নির্দেশনায় লোকসান থেকে লাভে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মংলাবন্দর

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত ৫ বছরে এ সমুদ্রবন্দরটি রাজস্ব আয় করেছে ৫৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে নীট লাভ হয়েছে ১৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিবছর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সর্বোপরি সরকারের সদিচ্ছার কারণে মৃত প্রায় মংলাবন্দর সচল হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে মংলাবন্দরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পদ্মা সেতু নির্মিত হলে মংলাবন্দরের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে এবং মংলাবন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর মংলাবন্দরকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শুরু হয়। বন্দর ব্যবহারকারীদের একাংশের চক্রান্ত ও তৎকালীন সরকারের উদাসীনতার কারণে মংলাবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মংলাবন্দরে আমদানি ও রফতানিমুখী জাহাজ আগমন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। কখনও কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দর জাহাজ শূন্য অবস্থায় থাকে। আমদানি ও রফতানি পণ্য খালাশ ও বোঝাই কার্যক্রম তেমন না থাকায় বন্দরটির রাজস্ব আয় হ্রাস পায়। এতে মংলাবন্দর লোকসানের কবলে পড়ে। লোকসান দিতে দিতে বন্দরটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বন্দরের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদক্ষেপের কারণে মংলাবন্দর লাভের ধারায় ফিরলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে মংলাবন্দরের ড্রেজিংসহ বন্দরকে গতিশীল করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি বন্দর পরিচালনায় দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। মংলাবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মংলা ইপিজেডকে গতিশীল করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা নতুন করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী জাহাজের আগমন ও নির্গমন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে আমদানিকৃত গাড়ি খালাসের মধ্য দিয়ে মংলাবন্দর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। আর এই গাড়ি আমদানি মংলাবন্দরকে লাভজনক করতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে এ প্রতিষ্ঠানটি মোট রাজস্ব আয় করেছে ৫৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। হতাশা কাটিয়ে এবং লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.