![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠাকুরগাঁও জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঠাকুরগাঁও টাংগন, সেনুয়া, ভুল্লী, ঢেপা, শুক, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অহনা, তিরনই, রানীশংকৈলের কুলিক, পীরগঞ্জের লাচ্ছি, চরনা এবং হরিপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদীতে এখন বিস্তৃীর্ণ চর। মরা নদীরগুলোর বুক ভরে উঠেছে ভূমিহীন চাষীদের ফলানো ধানে। মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীতে জেগে ওঠা বালুচরে বোরো ধান চাষ করছেন ভূমিহীন দরিদ্র কৃষকরা। এতে নদীর তীরের দরিদ্র অনেক কৃষকের ঘরে সচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। নদী তীরবর্তী ভূমিহীনরা নদীর চরকেই চাষাবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর জেলার ছোট-বড় নদীগুলোতে বোরো ধান চাষ করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। বর্তমানে রোপন পরবর্তী পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নদীতে ধানের সবুজ চারা গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। নদী বক্ষের বিস্তীর্ণ এলাকা ধান গাছের কাঁচা রঙে সবুজ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে সেচ দেয়া পানির চেয়ে নদীর চুয়ে আসা পানি বোরো চাষে অনেক বেশি উপকারী। এতে সার ও সেচসহ সবকিছুতেই সাশ্রয় হয় চাষীদের। প্রায় প্রতিটি নদীর বালুচরে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নদীতে চাষাবাদে ভূমিহীনদের আর্থিক অনটন ঘোচার পাশাপাশি জেলার খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.