![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের কোনো দেশের জন্যই সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে চিকিত্সা সুবিধা দেওয়া খুব সহজ কাজ নহে। বাংলাদেশ সেই কাজটিই বেশ সাফল্যের সহিত পরিচালিত করিতেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে। ‘গরিবের হাসপাতাল’ নামে পরিচিত এইসব কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় সন্তুষ্ট ৮৩ শতাংশ মানুষ। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দৈনিক গড়ে ৩৩ জন মানুষ সেবা নিতে আসেন। কমিউনিটি ক্লিনিক তথা গ্রামীণ এই স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রসমূহের ৯২ শতাংশে পৌঁছাইবার রাস্তাঘাট ভালো। আর ৯০ শতাংশ কেন্দ্র মানুষের বাড়ির সন্নিকটেই, হাঁটা-দূরত্বের মধ্যে। ৯৪ শতাংশ কেন্দ্র সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকে এবং ৮৬ শতাংশ কেন্দ্রে গবেষণার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গিয়াছে। বিনামূল্যে ঔষধপ্রাপ্তি, দোরগোড়ায় বিনাখরচে চিকিত্সাসেবা পাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবামূলক আচরণ এই সন্তুষ্টির কারণ বলিয়া মতামত পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ। বর্তমানে দেশে মোট ১২,৫২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রহিয়াছে, যাহার মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরামর্শ, ছোঁয়াচে রোগ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির চিকিত্সা প্রদান করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে এই ব্যবস্থা যেন মেঘ না চাহিতে বৃষ্টির মতো। জীবনভর সমস্ত বঞ্চনার মাঝে রোগ-ব্যাধি আরোগ্যে ন্যূনতম চিকিত্সা পাওয়া কম কথা নহে। এই কারণে প্রায় সাড়ে তিন বত্সর পূর্বে জাতিসংঘ মহাসচিব সরেজমিনে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক দেখিয়া বলিয়াছেন—অন্য দেশের জন্য মডেল হইতে পারে বাংলাদেশের এই চিকিত্সাব্যবস্থা। কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যেই মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বাধিক। সুতরাং তাহাদের জন্য ন্যূনতম চিকিত্সার সুযোগ প্রদান করা সম্ভব হইলে জাদুর মতো কমিয়া আসিবে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার। বস্তুত, তাহা হ্রাস পাইতেছেও। মোদ্দা কথা, সাফল্যের আলো দেখেছে বর্তমান সরকারের সুদক্ষ পরিকল্পনা ও নজরদারিতে পরিচালিত দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।
©somewhere in net ltd.