![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মির্জা আব্বাস গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে লাভবান হন এবং দলীয় একজন সংসদ সদস্য আলী আজগার লবীর মালিকানাধীন প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করার অসদুদ্দেশ্যে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নবসৃষ্ট শিল্প প্লট বরাদ্দে বিনিয়োগ বোর্ডে সুপারিশ করেন। এমনকি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদির অভাবে আবেদনটি অসম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও শিল্প প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর ১৯.৪৪ কাঠার পরিবর্তে ২০.৯৬ কাঠা জমির দখল হস্তান্তর ও পরবর্তী সময়ে লিজ দলিলের রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করেন। এ অনিয়ম করে মির্জা আব্বাস ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় জননিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা ট্রাইবুন্যালে বিচারাধীন। মামলা নম্বর-৩৫। অন্যদিকে ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ শাহজাহানপুর ঝিল মসজিদ পুকুর পাড়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) ছাত্র আরিফ মোরশেদ খানকে হত্যার অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা হয়। এর এক বছর পর ২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর শাহজাহানপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রকিবুল ইসলামকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রকিবুলের চাচা আবদুল গফুর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালে রকিবুল হত্যা মামলা ও ২০১২ সালে মোরশেদ হত্যা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্বাসের বাড়িতে বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অভিযোগে মতিঝিল থানায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মতিঝিল থানার মামলা নম্বর-৭০। মামলাটি বিচারাধীন। এছাড়াও ২০০৭ সালের ২২ মার্চ আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়। মতিঝিল থানার মামলা নম্বর-১৪০। এর চার মাস পর শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি দুর্নীতির মামলা হয়। শাহবাগ থানার মামলা নম্বর-৩০। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। এর এক মাস পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা হয় আব্বাসের বিরুদ্ধে। মতিঝিল থানার মামলা নম্বর-৩৫। ২০০৭ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আব্বাসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা হয়। এখন বিএনপির বন্ধুরা আপনারাই বলেন এতগুলো মামলার আসামী এবং এতবড় দুর্নীতিবাজ লোকর হাতে কি ঢাকা মহানগরের মত জায়গার উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বভার দেওয়া সম্ভব?
©somewhere in net ltd.