![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের জনপদ। কে কোথায় কখন ককটেল ফাটাবে, পেট্রোলবোমা ছুড়ে মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবে- তার কোন ঠিক ছিল না। দেশবাসী নতুন অভিজ্ঞতায় দেখেছে- সন্ত্রাসকবলিত সমাজে সন্ত্রাস আর একমুখী থাকে না; সে পেয়ে যায় বহুমুখিতা। আগুনের পরিবর্তে সন্ত্রাসের উপকরণ হয়ে উঠতে পারে ছুরি-চাপাতি-রামদা, তার প্রমাণও মিলেছিল। সেই সঙ্গে বাকসন্ত্রাসও শুরু হয়েছিল প্রবল শক্তি নিয়ে। সন্ত্রাস ভয়ঙ্কর! তার বহুমুখিতা ততোধিক ভয়ঙ্কর। বিবেকবান মানুষ সন্ত্রাসের এই চেহারা সম্বন্ধে জানেন বলেই তাঁদের অবস্থান হয় সন্ত্রাসের বিপরীতে। মানুষ খুনের প্রকল্পে বেঁচে যাওয়া অগ্নিদগ্ধ মানুষের ঠাঁই যেন আর হচ্ছিল না হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল ওই আগুন-সন্ত্রাসীরা গোটা দেশকেই বার্ন ইউনিট বানানোর নীলনক্সায় মেতেছে! তাদের পৈশাচিকতায় নিহত হয়েছিল দেড় শতাধিক মানুষ।একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা শুধু মানুষ পুড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের সহিংসতা ও নাশকতায় দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় বিপুল পরিমাণে। বিপন্ন হয়ে ওঠে ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মহল অতিসত্বর তৎপর হবে। মনে রাখতে হবে, যত দ্রুত পেট্রোল বোমাবাজদের প্রাপ্য চুকিয়ে দেয়ার কাজটি সম্পন্ন হবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল। এক্ষেত্রে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই চায় দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। তা নিশ্চিত করা গেলে আগামীতে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা ছুড়ে আত্মক্রোধ নিরসন ও ক্ষমতারোহণের অভিলাষ পূরণের খায়েশ আর কেউ করবে
©somewhere in net ltd.