![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু হালে পানি পেলো না। এই নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনও আলোচনার ঝড় বইছে। পত্র-পত্রিকায় এখনও লেখালেখি চলছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে হচ্ছে প্রাণবন্ত আলোচনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে শত সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে তা প্রতিরোধে ব্যর্থ সেই নেত্রী দলীয়ভাবে না হলেও দলটির সমর্থিত প্রার্থীদের দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করে। এ বছর ৫ জানুয়ারি থেকে তিন মাসাধিককাল ধরে দেশে বাস-ট্রাক ও লঞ্চে পেট্রোলবোমা মারায় উৎসাহিত করে যেভাবে খেটে খাওয়া গরিব-নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাতে বিরতি টেনে তাদের নেত্রীর নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে আসায় মানুষ দলটির রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত লক্ষ্য করে আশান্বিত হয়েছিল। প্রশান্তি পেয়েছিল কারণ, একদল পারিষদ নিয়ে দীর্ঘ তিন মাস নিজে দলীয় অফিসের মধ্যে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তার নির্দেশে পরিচালিত আন্দোলনে পেট্রোলবোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে দেড় শ’ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা করা হয়েছে। হাজারদেড়েক বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আগুন পোড়ানো হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে হাজার হাজার গাড়ি। আর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই নিজেকে গুলশানে দলের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রেখে তিনি শেষ পর্যন্ত গুলশানের বাসায় ফিরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয়ভাবে না হলেও এটা যে দলের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার ব্যতীত পুরোপুরি দলীয় ছত্রছায়াই হয়ে থাকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ঢাকায় নির্বাচনী প্রচারে নেমে তাদের জন্য তিনি উদাত্ত্ব কণ্ঠে ভোটও চেয়েছিলেন। মনে হয়েছিল খুব আগ্রহভরে আন্তরিকভাবেই তিনি কাজটি করছিলেন। কিন্ত আসলে তা যে ছিল লোক দেখানো মাত্র পরে তা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। নেত্রী অনেক স্বপ্ন দেখলেও এটা যে দিবাস্বপ্নের মতোই হয়ে যাবে তা বোধ হয় তিনি বুঝে উঠতে পারেননি।
©somewhere in net ltd.