![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাস চর্চা মানুষকে আশাবাদী হতে শেখায়। স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে আমরা যেভাবে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্যদিয়ে এগিয়েছি তাতে পদে পদে নিরাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নৈরাশ্য প্রজন্মের আত্মশক্তিকে ভঙ্গুর করে দেয়। প্রবল প্রত্যয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ হারায়। এমন অবস্থায় আশার আলো জ্বালায় ইতিহাস। উত্থান, বিকাশ ও পতনের চক্র অনাদিকাল থেকেই ঘুরছে। কিন্তু এই চক্রের শেষ চক্করে যে পুনরুত্থানের কথা রয়েছে তাকে বিস্মৃত হলে চলবে না। আমাদেরওতো উজ্জ্বল অতীত ছিল। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এই দেশের শিল্প বাণিজ্যের প্রতি লোভী দৃষ্টি ছিল বিদেশিদের। আর এ কারণেই বারবার বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে। তাহলে চক্রের হিসেবে আমাদের এক সময় প্রবল তেজে উত্থান ঘটেছিল। বিকাশের পথ ধরে সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌঁছেছিলাম। এরপর ঘূর্ণীয়মান চক্রের অমোঘ পরিণতিতে আমাদের পতন ঘটেছিল। এই পতন দেখে প্রজন্ম যদি নিরাশায় নেতিয়ে পড়ে তবে পুনরুত্থানের সম্ভাবনা অনেকটা পিছিয়ে যাবে। যদি চারদিকের নষ্ট রাজনীতি, দুর্নীতি, সমাজ বিক্ষোভ দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় তাহলে নৈরাশ্য এসে বলবে আমাদের আর এগিয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। কিন্তু সত্যিই কি পথ থাকে না? প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের চর্চা যদি আমাদের ক্ষমতা প্রত্যাশী দলগুলো করতে পারতেন তবে অসাধুতার বলয় থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথে হাঁটা সম্ভব হতো। আমরা মনে করি বর্তমান সরকার তার উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন। এর সাথে যদি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করেন তবে একটা ভীষণ সুন্দর সকালের প্রত্যাশা আমরা নিশ্চয়ই করতে পারি।
©somewhere in net ltd.