![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা ও সেবার মান বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছে দেশের সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। বর্তমানে প্রতিমাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। চালু হওয়ার পর থেকে মোট ৩৫ কোটির বেশি রোগী সেবা পেয়েছেন। রেফার করা হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ রোগীকে। কমিউনিটি ক্লিনিকে নির্ধারিত ৩০ প্রকারের ওষুধ। বর্তমানে ৮৯৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তিন শতাধিক নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী মনিটরিং টিম। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিটি ক্লিনিকেই সরবরাহ করা হয়েছে ল্যাপটপ। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোই হবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার পরিসংখ্যানের তথ্য ভাণ্ডার। দেশের জনগণ এখন ক্লিনিকের কার্যক্রমে খুশি। বর্তমানে ১২ হাজার ৮শ’র বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে এবং পল্লীর জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতরা তাদের দোরগোড়ায় স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা নিচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ কোটির বেশি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে এবং ৭০ লাখের বেশি জরুরী ও জটিল রোগীকে উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, সাধারণ সমস্যা ও জখমের চিকিৎসা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নির্ণয় ও রেফার ইত্যাদি কমিউনিটি ক্লিনিকের উল্লেখযোগ্য সেবা। প্রায় ৯শ’ ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক আজ জনগণের নিকট একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বর্তমান সরকারের মহান লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
©somewhere in net ltd.