![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়। বিশ্বের যে ৩১টি দেশ ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া ও কম্বোডিয়ার থেকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভালো। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়নবিষয়ক তহবিল (ইফাদ) যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান একধাপ উন্নতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৮তম, এবার ৫৭তে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ খর্বাকৃতির। পাকিস্তানে এই হার ৪৩ শতাংশ, মিয়ানমারে ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৩৩ দশমিক ৬ ও ভিয়েতনামে ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ২০০০ সালের জুনে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২০১৫ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী জাতীয় খাদ্যনীতি ও কর্মপরিকল্পনা নেয় বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা ও কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন হওয়ায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে বলে দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে।
©somewhere in net ltd.