![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুই দিনের ঐতিহাসিক ঢাকা সফর শেষে গত রবিবার দেশে ফিরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গন ছিলো সরগরম। নরেন্দ্র মোদীর এই রাষ্ট্রীয় সফর বিস্তর গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে। দীর্ঘ ৪১ বছর পর দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে নরেন্দ্র মোদীর এই সফর ফলাও করে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোও। ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু বাংলাদেশের সঙ্গে শক্ত বন্ধনের পক্ষেই সমর্থন করেছে তারা। অনেক পত্রিকার মূল খবর ও প্রথম পাতার খবর ছিলো মোদীর সফর। তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষ বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বুঝতে সমর্থ হয়েছে। ভারত জুড়ে মতৈক্য তৈরির বিষয়টি বাংলাদেশের নজর এড়ায়নি। ঢাকা সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সঙ্গে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত মোদী নিয়েছিলেন, তাকে ভারতের বেশিরভাগ পত্রিকা ‘রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে মমতাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে মোদীর দল। সবকিছুর জন্য মোদীর পাশাপাশি সমান কৃতিত্ব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও চিরাচরিত ধারার বাইরে তার কাজ করার প্রস্তুতিই ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সত্যিকার অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চাবিকাঠি। যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ ভারতের ভূ-সেতুতে পরিণত হয়, তাহলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ভগ্ন অর্থনীতিতে আবারো প্রাণসঞ্চার করা যাবে। দুই দেশ নতুন বাস সেবা চালু হলে, উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট ভারতকে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে আরো কাছে টানতে সাহায্য করবে। এছাড়া বাংলাদেশও ভারত হয়ে ভুটান ও নেপালের বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে।
©somewhere in net ltd.