![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ এগিয়েছে অনেক। আসলে ভাই, কাজ হইতাছে অনেক। আমরা চোখে দেখছি, কিন্তু মিডিয়াতে এসব নিয়া কেন জানি কিছুই প্রকাশিত হচ্ছে না। এই ৫-৭ বছরে কত উন্নয়ন হয়েছে, নিজের দেশ, দেশের মানুষের এত উন্নতি, বিদেশিরা বলে যায়। আমরা নিজেরাও দেখছি, কত অল্প সময়ে আমরা কারিগরি প্রযুক্তি আর তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে দুনিয়ার অন্য উন্নত দেশগুলোর সাথে সমান তালে পাল্লা দিতেছি। আমাদের সন্তানরা দেশের বাইরে পড়ালেখা, চাকরি করতে যাচ্ছে। আমরা স্কাইপে, মোবাইলে তাদের সব খবর প্রতি মিনিটেই জানতে পারছি। তাদের রোজগারের টাকা দেশে পাঠাচ্ছে, আমরা দেশে একটু ভালো থাকতে পারছি। ভালো চিকিৎসা করতে পারছি, সেটা কি কম? পজিটিভলি পাল্টে যাচ্ছে দেশের চিত্র। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে গড়ে উঠছে নতুন নতুন অবকাঠামো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশেই উৎপাদিত হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। প্রধানমন্ত্রী যখন বিশ্বব্যাংকের মুখের ওপর বলে দিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু দেশের অর্থেই তৈরি হবে। অনেকে কটাক্ষ করেছিলেন; সফল এ রাষ্ট্রনায়ক তাঁর এ আত্মবিশ্বাস বাস্তবে পরিণত করার দিকে এগিয়ে গেছেন অনেকখানি, যা দেশের সাধারণ মানুষের মনোবল এবং আত্মবিশ্বাসের জোর দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেড়েছে এবং স্থিতিশীল। সামষ্টিক অর্থনীতির চলক স্থিতিশীল। মনে করা হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে নতুন পে-স্কেল শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। কার্যত পে-স্কেল বাস্তবায়নের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। শস্য এবং মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব র্যা ঙ্কিয়ের শীর্ষপর্যায়ে। এখন প্রায় মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখছে মানুষ। একদিন বিশ্বদরবারে বাস্তবে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও স্থিতিশীল পরিবেশ থাকলে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। যার মাধ্যমে গতি পাবে দেশের অর্থনীতিও। মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকসের এক প্রতিবেদনে সম্ভাবনাময় ১১টি দেশের তালিকা করা হয়েছে। এ দেশগুলোর অর্থনীতি এগিয়ে আসছে বলে এদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নেক্সট ইলেভেন’। এই উদীয়মান ১১টি দেশের একটি বাংলাদেশ। জেপি মরগান ৫টি ফ্রন্টিয়ার অর্থনীতির নাম উল্লেখ করেছে। এর মধ্যেও বাংলাদেশ রয়েছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের রিজার্ভ এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে। জিডিপি সন্তোষজনক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাড়ালে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থনৈতিকভাবে পাল্টে যাবে দেশ।
©somewhere in net ltd.