![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলার অপেক্ষা রাখে না, এখন প্রযুক্তির বিশ্ব। জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আর তাই গোটা দুনিয়া এ জায়গাটিতে বিশেষ কাজ করছে। ভাবতে সত্যি খুব ভাললাগে যে, বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ দেশে প্রযুক্তির ব্যপক প্রসার ঘটেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনে অহর্নিশ কাজ করছেন তরুণরা। সেই তাদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো আইসিটি এক্সপো ২০১৫। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী আয়োজনের প্রতিদিনই ছিল সরগরম উপস্থিতি। এখানে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এক্সপোতে ছিল শতাধিক স্টল। বিশেষ প্যাভিলিয়ন ছিল ৩৫টি। দেশী-বিদেশী দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি স্কুলের শিক্ষার্র্থীরা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নিয়ে অংশ নিয়েছিল ইনোভেশন জোনে। সম্মেলন কেন্দ্রের দোতলায় সেলিব্রিটি হলে তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্পের প্রদর্শনী হয়। সেখানে গিয়ে চোখ ছানাবড়া! সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ড্রোন উড়ছে। রোবট তো মানুষের মতোই ব্যস্ত! কখনও ফুটবল পায়ে দৌড়াচ্ছে। খেলছে। কখনও বা সে উদ্ধারকারীর ভূমিকায়। হিমালয়কন্যা নেপালকে যে ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়ে গেল, একই ভূমিকম্প বাংলাদেশে হবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? তাই ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কয়েক তরুণ। সফলও হয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে। প্রদর্শনী ছাড়াও আয়োজন করা হয় ১০টি সেমিনার। এসবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদরা অংশ নেন। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি আয়োজন। তিন দিনের আয়োজন গতকাল শেষ হয়েছে। এমন উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.