![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিশন ২০২১-এর প্রধান লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে বিমোচিত হবে। সেজন্যে একগুচ্ছ সহায়ক কাজ নিশ্চিত করতে হবে। কেমন, গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা; ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক অবকাঠামো বিনির্মাণ করা; রাজনৈতিক পক্ষপাতবিবর্জিত আইনের শাসন নিশ্চায়ক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা; রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন করা; দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা; নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমঅধিকার নিশ্চিত করা; এমনভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়ন করা যাতে মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা থাকে, জনগণ ও শ্রমশক্তির সুরক্ষার বন্দোবস্ত থাকে, দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যবস্থা থাকে, খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা থাকে, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, আবাসন, পরিবেশ, পানিসম্পদের নিরাপত্তা থাকে, এবং সার্বিকভাবে জনজীবন ও সম্পদের সুরক্ষা থাকে; বৈশ্বিক পেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করা যাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকে, জাতীয় সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র নীতি দৃঢ়তর হয়।ভিশন ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য শুধু সরকারি কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। বস্তুত এটি নির্ভর করছে একটি সর্বস্তরের গণজাগরণের ওপর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই পলিসির লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। জানতে হবে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে কিভাবে বাস্তবের সাফল্যে পৌঁছানো যায়। ভিশন ২০২১ নামের এই জাতীয় উন্নয়নের রূপরেখা সম্পর্কে জ্ঞান, সচেতনতা এবং তার থেকে উত্সারিত কর্মযোগই পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য উপহার দিতে। না হলে—এগুলো কেবল গালভরা বুলিই থেকে যায়। অর্জনীয় লক্ষ্য স্থির করা এবং তা বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করে যাওয়াই কেবল পারে আজকের এই তীব্র প্রতিযোগিতামুখর পৃথিবীতে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে টিকিয়ে রাখতে। বিকশিত হতে দিতে।
©somewhere in net ltd.