নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহ্বানকারীরা, নেতৃত্বদানকারীরা কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

নেতৃত্বদানকারীরা কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না। গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা টানা তিন মাসের হরতাল অবরোধে প্রাণ হারিয়েছে দেড় শ’ জনেরও বেশি। আর এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছে অনেকে। যেহেতু আহ্বানকারীরা আন্দোলনের ডাক দেয়, তার ফলে এই গাড়ি পোড়ানো হয়, মানুষ মরে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়। অতএব এর দায়িত্ব তাদের উপরেই বর্তায়। কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রামের যদি ঘোষণা দেয়া হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি ধংসাত্মক কাজ হয় বা কাউকে হত্যা করা হয়, সম্পত্তি ধ্বংস করা হয় সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে যারা আছেন তারা দায় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন না। বিএনপি-জামায়াতের টানা তিন মাস হরতাল ও অবরোধের সময় চালানো নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছে ১৫৩ জন। আর পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছে ৩শ’ জনেরও বেশি। এদের বেশিরভাগই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ৫ জানুয়ারি থেকে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পেট্রোলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৬৭ জন। পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে মারা গেছেন পাঁচজন। ৯০ দিনের অবরোধ ও হরতালের মধ্যে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৯৭০টি যানবাহনে আগুন দেয়া ও ভাংচুর করা হয়েছে। মোট ১৬ দফায় ৮০টি স্থানে রেলে নাশকতা হয়েছে। ৬ দফায় নৌযানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে গত ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। খালেদা জিয়া দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেন এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশে অচলাবস্থা নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। তার ঐ নির্দেশেই আসামিরা বাসে নাশকতা ঘটায়। সুতরাং ২০ দলীয় জোট নেত্রী কোন অবস্থাতেই এর দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করানো উচিত। আর এটাই সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.