নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে জলে আগুন জ্বলে

বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই , পড়েনি ব্যাকরণ পড়েনি মূল বই

দস্যু রত্নাকর

ছাত্র জীবনের একসময় সক্রেটিস , প্লেটো , রুশো , মার্ক্স এর দর্শনের প্রেমে পড়েছিলাম । এখন প্রতিদিন সক্রেটিস , প্লেটো , রুশো , মার্ক্স এর দর্শন পড়িয়ে সেই আনন্দটা ধরে রেখেছি ।

দস্যু রত্নাকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কবিতারা..... আবুল হাসান

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০০



কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ৪ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা আলতাফ হোসেন মিয়া ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। তাঁর প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া, আর সাহিত্যক নাম আবুল হাসান।

আবুল হাসান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। তারপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ-এ (১৯৭৩-৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

১৯৭০ সালে এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম হন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে: রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২), যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪) ও পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)৷ মৃত্যুর পর কাব্যনাট্য ওরা কয়েকজন (১৯৮৮) ও আবুল হাসান গল্প- সংগ্রহ (১৯৯০) প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতার জন্য মরণোত্তর ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ (১৯৭৫) এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (১৯৮২) লাভ করেন।

১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

তাঁর কিছু কবিতা ..........................

পাখি হয়ে যায় প্রাণ



অবশেষে জেনেছি মানুষ একা !



জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা !

দৃশ্যের বিপরীত সে পারে না একাত্ম হতে এই পৃথিবীর সাথে কোনোদিন।

ফাতিমা ফুফুর প্রভাতকালীন কোরানের

মর্মায়িত গানের স্মরণে তাই কেন যেনো আমি



চলে যাই আজো সেই বর্নির বাওড়ের বৈকালিক ভ্রমণের পথে,

যেখানে নদীর ভরা কান্না শোনা যেত মাঝে মাঝে

জনপদবালাদের স্ফুরিত সিনানের অন্তর্লীন শব্দে মেদুর !



মনে পড়ে সরজু দিদির কপালের লক্ষ্মী চাঁদ তারা

নরম যুঁইয়ের গন্ধ মেলার মতো চোখের মাথুর ভাষা আর

হরিকীর্তনের নদীভূত বোল !

বড় ভাই আসতেন মাঝরাতে মহকুমা শহরের যাত্রা গান শুনে,

সাইকেল বেজে উঠতো ফেলে আসা শব্দে যখোন,

নিদ্রার নেশায় উবু হয়ে শুনতাম, যেনো শব্দে কান পেতে রেখে :

কেউ বলে যাচ্ছে যেনো,

বাবলু তোমার নীল চোখের ভিতর এক সামুদ্রিক ঝড় কেন ?

পিঠে অই সারসের মতো কী বেঁধে রেখেছো ?



আসতেন পাখি শিকারের সূক্ষ্ম চোখ নিয়ে দুলাভাই !

ছোটবোন ঘরে বসে কেন যেনো তখন কেমন

পানের পাতার মতো নমনীয় হতো ক্রমে ক্রমে !



আর অন্ধ লোকটাও সন্ধ্যায়, পাখিহীন দৃশ্য চোখে ভরে !

দীঘিতে ভাসতো ঘনমেঘ, জল নিতে এসে

মেঘ হয়ে যেতো লীলা বৌদি সেই গোধূলি বেলায়,

পাতা ঝরবার মতো শব্দ হতো জলে, ভাবতুম

এমন দিনে কি ওরে বলা যায়- ?



স্মরণপ্রদেশ থেকে এক একটি নিবাস উঠে গেছে

সরজু দিদিরা ঐ বাংলায়, বড়ভাই নিরুদ্দিষ্ট,

সাইকেলের ঘণ্টাধ্বনি সাথে কোরে নিয়ে গেছে গাঁয়ের হালট !



একে একে নদীর ধারার মতো তার বহুদূরে গত !

বদলপ্রয়াসী এই জীবনের জোয়ারে কেবল অন্তঃশীল একটি দ্বীপের মতো



সবার গোচরহীন আছি আজো সুদূর সন্ধানী !

দূরে বসে প্রবাহের অন্তর্গত আমি, তাই নিজেরই অচেনা নিজে

কেবল দিব্যতাদুষ্ট শোনিতের ভারা ভারা স্বপ্ন বোঝাই মাঠে দেখি,

সেখানেও বসে আছে বৃক্ষের মতোন একা একজন লোক,

যাকে ঘিরে বিশজন দেবদূত গাইছে কেবলি

শতজীবনের শত কুহেলী ও কুয়াশার গান !



পাখি হয়ে যায় এ প্রাণ ঐ কুহেলী মাঠের প্রান্তরে হে দেবদূত

নিঃসঙ্গতা



অতটুকু চায়নি বালিকা !

অত শোভা, অত স্বাধীনতা !

চেয়েছিলো আরো কিছু কম,

আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে

বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো

মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক !



অতটুকু চায়নি বালিকা !

অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম !

চেয়েছিলো আরো কিছু কম !

একটি জলের খনি

তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী !

গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর



গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর আমিও ভবঘুরেদের প্রধান

ছিলাম ।

জোৎস্নায় ফেরা জাগুয়ারা চাঁদ দাঁতে ফালা ফালা করেছে আমারও

প্রেমিক হৃদয় !

আমিও আমার প্রেমহীনতায় গণিকার কাছে ক্লান্তি

সঁপেছি

বাঘিনীর মুখে চুমু খেয়ে আমি বলেছি আমাকে উদ্ধার দাও !

সক্রেটিসের হেমলক আমি মাথার খুলিতে ঢেলে তবে পান করেছি মৃত্যু

হে কবি কিশোর

আমারও অনেক স্বপ্ন শহীদ হয়েছে জীবনে কাঁটার আঘাত সয়েছি

আমিও ।

হৃদয়ে লুকানো লোহার আয়না ঘুরিয়ে সেখানে নিজেকে দেখেছি

পান্ডুর খুবই নিঃস্ব একাকী !

আমার পয়ের সমান পৃথিবী কোথাও পাইনি অভিমানে আমি

অভিমানে তাই

চক্ষু উপড়ে চড়ুইয়ের মতো মানুষের পাশে ঝরিয়েছি শাদা শুভ্র পালক !

হে কবি কিশোর নিহত ভাবুক, তেমার দুঃখ আমি কি বুঝি না ?

আমি কি জানি না ফুটপাতে কারা করুণ শহর কাঁধে তুলে নেয় ?

তোমার তৃষ্ণা তামার পাত্রে কোন কবিতার ঝিলকি রটায় আমি কি

জানি না

তোমার গলায় কোন গান আজ প্রিয় আরাধ্য কোন করতলও হাতে লুকায়

আমি কি জানি না মাঝরাতে কারা মৃতের শহর কাঁধে তুলে নেয় ?

আমারও ভ্রমণ পিপাসা আমাকে নারীর নাভিতে ঘুরিয়ে মেরেছে

আমিও প্রেমিক ক্রবাদুর গান স্মৃতি সমুদ্রে একা শাম্পান হয়েছি

আবার

সুন্দর জেনে সহোদরকেও সঘন চুমোয় আলুথালু করে খুঁজেছি

শিল্প ।

আমি তবু এর কিছুই তোমাকে দেবো না ভাবুক তুমি সেরে ওঠো

তুমি সেরে ওঠো তোমার পথেই আমাদের পথে কখনও এসো না,

আমাদের পথ

ভীষণ ব্যর্থ আমাদের পথ ।

প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী



অতো বড় চোখ নিয়ে, অতো বড় খোঁপা নিয়ে

অতো বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়ে

যতো তুমি মেলে দাও কোমরের কোমল সারশ

যতো তুমি খুলে দাও ঘরের পাহারা

যতো আনো ও-আঙ্গুলে অবৈধ ইশারা

যতো না জাগাও তুমি ফুলের সুরভী

আঁচলে আগলা করো কোমলতা, অন্ধকার

মাটি থেকে মৌনতার ময়ূর নাচাও কোন

আমি ফিরব না আর, আমি কোনদিন

কারো প্রেমিক হবো না; প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী চাই আজ

আমি সব প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবো।

উচ্চারণগুলি শোকের



লক্ষি বউটিকে

আমি আজ আর কোথাও দেখিনা,

হাটি হাটি শিশুটিকে

কোথাও দেখিনা,

কতগুলি রাজহাঁস দেখি

নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,

কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা

শিশুটিকে কোথাও দেখিনা !



তবে কি বউটি রাজহাঁস ?

তবে কি শিশুটি আজ

সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ ?



অনেক রক্ত যুদ্ধ গেলো,

অনেক রক্ত গেলো,

শিমুল তুলোর মতো

সোনারূপো ছড়ালো বাতাস ।



ছোটো ভাইটিকে আমি

কোথাও দেখিনা,

নরোম নোলক পরা বোনটিকে

আজ আর কোথাও দেখিনা !



কেবল পতাকা দেখি,

কেল উৎসব দেখি ,

স্বাধীনতা দেখি,



তবে কি আমার ভাই আজ

ঐ স্বাধীন পাতাকা ?

তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদীতে উৎসব ?

আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি



ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !

আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !

ক্ষমা করবেন বৃক্ষ, আপনার শাখায় আমি সত্য পাখি বসাতে পারবো না !

বানান ভীষণ ভুল হবে আর প্রুফ সংশোধন করা যেহেতু শিখিনি

ভাষায় গলদঃ আমি কি সাহসে লিখবো তবে সত্য পাখি, সচ্চরিত্র ফুল ?



আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি

আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল !

অপরিচিতি



যেখানেই যাই আমি সেখানেই রাত!

স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে রেস্তোরাঁয়

অসীমা যেখানে তার অত নীল চোখের ভিতর

ধরেছে নিটোল দিন নিটোল দুপুর

সেখানে গেলেও তবু আমার কেবলই রাত

আমার কেবলই শুধু রাত হয়ে যায়!

অপরূপ বাগান



চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবো

আমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি।

জল নেমে গেলে ডাঙ্গা ধরে রাখে খড়কুটো, শালুকের ফুল :

নদীর প্রবাহপলি, হয়তো জন্মের বীজ, অলঙ্কার- অনড় শামুক !



তুমি নেমে গেলে এই বক্ষতলে সমস্ত কি সত্যিই ফুরোবে ?

মুখের ভিতরে এই মলিন দাঁতের পংক্তি- তা হলে এ চোখ

মাথার খুলির নীচে নরোম নির্জন এক অবিনাশী ফুল :

আমার আঙ্গুলগুলি, আমার আকাঙ্ক্ষাগুলি, অভিলাষগুলি ?



জানি কিছু চিরকাল ভাস্বর উজ্জ্বল থাকে, চির অমলিন !

তুমি চলে গেলে তবু থাকবে আমার তুমি, চিরায়ত তুমি !



অনুপস্থিতি হবে আমার একলা ঘর, আমার বসতি !



ফিরে যাবো সংগোপনে, জানবে না, চিনবে না কেউ;

উঠানে জন্মাবো কিছু হাহাকার, অনিদ্রার গান-



আর লোকে দেখে ভাববে- বিরহবাগান ঐ উঠানে তো বেশ মানিয়েছে

জন্ম মৃত্যু জীবনযাপন



মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবেনা,



আমি তাই নিরপেক্ষ মানুষের কাছে, কবিদের সুধী সমাবেশে

আমার মৃত্যুর আগে বোলে যেতে চাই,

সুধীবৃন্দ ক্ষান্ত হোন, গোলাপ ফুলের মতো শান্ত হোন

কী লাভ যুদ্ধ কোরে ? শত্রুতায় কী লাভ বলুন ?

আধিপত্যে এত লোভ ? পত্রিকা তো কেবলি আপনাদের

ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস আর বিনাশের সংবাদে ভরপুর…



মানুষ চাঁদে গেল, আমি ভালোবাসা পেলুম

পৃথিবীতে তবু হানাহানি থামলোনা !



পৃথিবীতে তবু আমার মতোন কেউ রাত জেগে

নুলো ভিখিরীর গান, দারিদ্রের এত অভিমান দেখলোনা !



আমাদের জীবনের অর্ধেক সময় তো আমরা

সঙ্গমে আর সন্তান উৎপাদনে শেষ কোরে দিলাম,

সুধীবৃন্দ, তবু জীবনে কয়বার বলুন তো

আমরা আমাদের কাছে বোলতে পেরেছি,



ভালো আছি, খুব ভালো আছি ?

চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ



আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষ

নইলে সরকারী লোক,পুলিশ বিভাগে চাকরি কোরেও

পুলিশী মেজাজ কেন ছিলনা ওনার বলুন চলায় ও বলায়?

চেয়ার থেকে ঘরোয়া ধূলো,হারিকেনের চিমনীগুলো মুছে ফেরার মতোন তিনি

আস্তেকেন চাকরবাকর এই আমাদের প্রভু নফর সম্পর্কটা সরিয়ে দিতেন?

থানার যত পেশাধারী ,পুলিশ সেপাই অধীনস্থ কনেস্টবল

সবার তিনিএকবয়সী এমনভাবে তাস দাবাতেন সারা বিকেল।



মায়ের সঙ্গে ব্যবহারটা ছিল যেমন ব্যর্থপ্রেমিক

কৃপা ভিক্ষা নিতে এসেছে নারীর কাছে।



আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষ

নইলে দেশে তাঁর ভাইয়েরা জমিজমার হিশেব কষছে লাভঅলাভের

ব্যক্তিগত স্বার্থ সবার আদায় কোরে নিচ্ছে সবাই

বাবা তখন উপার্জিত সবুজ ছিপের সুতো পেঁচিয়ে মাকে বোলছেন,এই দ্যাখোতো

জলের রং এর সাথে এবার এই সুতোটা খাপ খাবেনা?



আমি যখন মায়ের মুখে লজ্জা ব্রীড়া,ঘুমের ক্রীড়া

ইত্যাদিতে মিশেছিলুম,বাবা তখন কাব্যি কোরতে কম করেননি মাকে নিয়ে

শুনেছি শাদা চামেলী নাকি চাপা এনে পরিয়ে দিতেন রাত্রিবেলা মায়ের খোপায়।



মা বোলতেন বাবাকে তুমি এই সমস্তলোক দ্যাখোনা?

ঘুষ খাচ্ছে,জমি কিনছে,শনৈঃ শনৈঃ উপরে উঠছে,

কত রকম ফন্দি আটছে কত রকম সুখে থাকছে,

তুমি এসব লোক দ্যাখোনা?



বাবা তখন হাতের বোনা চাদর গায়ে বেরিয়ে কোথায়

কবি গানের আসরে যেতেন মাঝরাত্তিরে

লোকের ভীড়ে সামান্য লোক,শিশিরগুলি চোখে মাখাতেন।



এখন তিনি পরাজিত,কেউ দ্যাখেনা একলা মানুষ

চিলেকোঠার মতোন তিনি আকাশ দ্যাখেন,বাতাস দ্যাখেন

জীর্ণ শীর্ণব্যর্থচিবুক বিষন্নলাল রক্তে ভাবুক রোদন আসে,

হঠাৎ বাবা কিসের ত্রাসে দুচোখ ভাসান তিনিই জানেন।



একটি ছেলে ঘুরে বেড়ায় কবির মতো কুখ্যাত সব পাড়ায় পাড়ায়

আর ছেলেরা সবাই যে যার স্বার্থ নিয়ে সরে দাঁড়ায়

বাবা একলা শিরদাঁড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন,কী যে ভাবেন,

প্রায়ই তিনি রাত্রি জাগেন,বসে থাকেন চেয়ার নিয়ে



চামেলী হাতে ব্যর্থ মানুষ,নিম্নমানের মানুষ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৪

পেঁচালি বলেছেন: ++

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৮

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

কুন্তল_এ বলেছেন: যখোন পৃথিবী আর দেশে দেশে দুরন্ত দু:খের
দারুণ সত্ত্বায় জেগে মরে না অসহ্য মাথা কুটে!
তখোন আকাশ আলো হয়তো বা মিলে যায়, মেলে:
তখোন পৃথিবী হয়তো বার বার ফিরে পায় তারে!
তখোন তোমারে পাবো, দেখা হবে, ফের দেখা হবে!
(এপিটাফ)

আমার প্রিয় কবি। অনেক ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য। প্রিয়তে নিলাম। :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু, আমারো খুব প্রিয় কবি। আমার কৈশর আর যৌবনের সন্ধিক্ষণে উনি মারা যান। ক্যান্সারে কই?

আমার খুব ভাললাগার কবিতাঃ

প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনেও রাখবেনা...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: প্রিয় কবির জন্য ভালবাসা মনে করে দেয় , মৃত্যু তাঁকে নিয়ে গেছে তাঁর কবিতাকে নেয় নি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.