![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগ লেখা, মহীয়শী লেখক দের লেখা পড়া কমেন্ট করা। ভাবুক হয়ে তা
অমর একুশে বই মেলা, প্রাণের বই মেলা শেষ হলো গত মাসে।
বাংলা একাডেমীর মন্তব্য ঃ ৯০ শতাংশ বই মানহীন।
চিন্তা করে দেখলাম কথা মিছা না, আগে একজন লেখক ছিলেন তার বই মানুষ খাইতো, বই মেলাতেও পাওয়া যাইতো। এখন উনি নাই বই বেচা বিক্রিতেও ভাটা। দাম যাই হোক কিছু কিছু বই তাও তো চলছে।
এবার আসি আসল কথাই, আমার মামাত ভাইয়ের সাথে বই মেলাতে গমন। মামাত ভাই উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। বই মেলাই ঢুকতেই পাজ্ঞেরীর দোকান দেখেই খুশি,
গিয়া জিগাইলো ঃ ভাই টেস্ট পেপার আছে ? উত্তর ঃ বুঝলাম না, পাশের জনের উত্তর ঃ ভাই এখানে টেস্ট পেপার বেচি না।
আমার মামত ভাইয়ের মন্তব্য ঃ এ কেমন বইমেলা ? দরকারি জিনিসই পাওয়া যায় না।
এই ঘটনার পরে চিন্তা করে অনুধাবন করলাম অনেক কিছু,
তাই মাঝে মাঝে ভাবি, এইসব বইমেলা টইমেলা দিয়ে কিচ্ছু হবে না। মানুষ এখন মানসিক তৃপ্তি বা সমস্যা সমাধানের জন্য বইয়ের কাছে যায় না, google মামার কাছে যায়। গ্রামে গঙ্গে অবসর সময়ে আগেকার মত কেও শরৎ বা রবীন্দ্রনাথ পরে না। ফেসবুক গুতাই।
বার্ষিক ছুটিতেও পাবেন না কেও উপন্যাস পরছে, পাবেন প্রেম করছে বা android গেম খেলছে।
মেলাতে যে বই পাবেন ২২৫ টাকাই তা google এ পাবেন ফ্রী আর কোন প্রকার ভার ও বহন করা লাগবে না আপনার ফোনে তা থাকবে যখন খুশি পরবেন দেখবেন রাখবেন, দিনে দিনে সবাই এইদিকেই ঝুকছে বেশি। এমনকি হুজুররাও আজকাল কুরআনের তর্জমা মোবাইলে রাখে, অবসরে শোনে আর সময় অতিবাহিত করে। internet সুবিধা আসার পর কাগজের পর বইয়ের উপর চাপ ও আগ্রহ কমা শুরু হয়েছে হয়তো চিঠির মতোই বিলুপ্তির দিকে যাবে বই।
তারপরও মানুষ বই কেনে, রঙ বেরঙের বই দিয়ে ঘর ভরে রাখার আনন্দই আলাদা, আর আমার মত কিছু মানুষ প্রত্যেক বই মেলা তে যেয়ে ভাবি "আরে হালা গত বই মেলাতে কেনা বইটাই তো এখনো পড়া হয় নাই, নাহ বই মেলাতে আসছি বই তো দুইএকটা কিনতেই হবে"
তাই ভাবি বইমেলার বদলে ফেসবুক মেলা করা উচিত এতে সবার আগ্রহও বাড়বে আর প্রাণের সঞ্চারও হবে বেশি,পাবলিক লাইব্রেরী আর যাদুঘরের মধ্যকার দেয়াল ভেঙে তা যাদুঘরের অন্তর্ভুক্ত করলে ভাল হয়।ফেসবুকে বই লাইব্রেরী গ্রুপ স্ট্যাডি সব আছে। আর মানুষ দিনে দিনে এর প্রতিই বেশি ঝুকছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
৯০ ভাগ বই পড়ার মতো নয়।