![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় ১৫০ বছর আগের কথা, তখন সবে মাত্র ফেসবুক আবিষ্কার হয়েছে।রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ম্যারিড,সম্রাট মোস্তাফিজের বিয়ের পর সে তার জমানো টাকা দিয়ে শখের বশবর্তী হয়ে একখানা নৌকা কিনে ফেললো তবে সমস্যা নৌকা চালাবে কে? তার খুব শখ বৌকে নিয়ে সে সাগরে ঘুরতে যাবে।একরাতে মোস্তাফিজ সম্রাট টাইমস অব জব নামের পত্রিকায় নৌকার পাইলট চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল যে তার ব্যক্তিগত নৌকা চালানোর পাইলট দরকার।বেকার সমাজে এই বিজ্ঞাপন স্বর্গীয় আহবানের মত হিসেবে সাড়া ফেলে।প্রথা অনুযায়ী প্রার্থীরা নৌকার চাকরীর পাইলটের পোষ্ট অলংকৃত করার তদবীর শুরু করল,হাউকাউ এর কী আর শেষ আছে? চাকুরী সেতো সোনার বলদ।সে সময়ে অক্সফোর্ড পড়ুয়া ছাত্র সামাদ সম্রাট মোস্তাফিজের কাছে চাকুরী চেয়ে তার বায়োডাটাসহ ই-মেইল পাঠালো।মোস্তাফিজ সচকিত হয়ে হয়ে তার প্রস্তাবে নড়েচড়ে বসল,সে তার নৌকা চালানোর জন্য সামাদকেই চুজ করলো ।যথাসময়ে সামাদ তার স্যালারি ঠিক করে কাজে যোগ দিল।সারাদিন সে নৌকা চালায় ,কর্মস্থল পদ্মা নদীতে নৌকা চালানো শুরু করল ।পদ্মার নদীর পাড়ের দূর্বল নেট কানেকশন প্রায় তার অন্তরে ব্যাথা দিত । কোট টাই প্যান্ট পড়া নৌকার পাইলট কানে ব্লুটুথ ওয়ালা দেখে জনমনে সামাদ মাঝির উপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল ,মাঝি আনন্দের সহিত চাকুরীজীবন অতিবাহিত করতে থাকলো । প্রতিদিন রাতে সামাদ ফেসবুক গুতাইতো,সামাদের পপুলারিটি চরমে ।একদিন অচেনা এক অপরূপ কন্যার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট করিয়া চ্যাট চালাইতে লাগিলো ।বন্ধুত্ব বাঁধা মানেনা তাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তর হলো চার মাস পর।তখনো কন্যার সুরত পুরোপুরি খোলামেলাভাবে দেখে নাই সামাদ ।অত:পর একদিন সম্রাট মোস্তাফিজ তার রমণীর সাথে নৌ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ল সামাদের নৌকায় ।একপর্যায়ে সামাদের সাথে মোস্তাফিজের স্ত্রীর বেশ ভালো পরিচয়ের পালা জমে উঠল ।সামাদ তার মালিক মোস্তাফিজের স্ত্রীর ফেবু আইডি নিয়ে তাতে রিকুয়েষ্ট পাঠাইলো ।কোথায় যেন সামাদের তাকে চেনা মনে হইল ,দুজনেই মোস্তাফিজ সম্রাটার ভয়ে চেপে গেল। এরপর ফেবুতে সামাদের রিকুয়েষ্ট গ্রহণ করিতে পারিলনা কারণ তারা তো বহুত আগে থেকেই ফ্রেন্ড।সামাদের ফেসবুকের প্রেমিকাই মোস্তাফিজের স্ত্রী নিশ্চিত হবার সময় ইমোশনাল হয়ে পড়ল ,কিন্তু উপায় কী ? নায়ক একজনের বেশী চলবেনা কারন নায়িকা তো একজন ই। তাই তারা দুজনেই একসাথে পালিয়ে যাবার প্ল্যান করল ,তাতে বাঁধ সাধল সামাদ।পরের মাসের স্যালারি পাবার পর সে সম্রাট মোস্তাফিজকে অনুরোধ জানায় নৌ ভ্রমনে যাবার।এর কয়েকমাস লুকিয়ে ফেবু প্রেম চলতে থাকে।খাবারের সাথে নৌকার মাঝি সামাদ তার মালিক মোস্তাফিজকে বিষ খাওয়ায় 5মিনিটের মধ্যে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে,তাকে নদীর পানিতে ভাসিয়ে সাগরের পানে মোস্তাফিজ সম্রাটের স্ত্রী ছকিনাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সাগরের নীলে।হঠাৎ জেগে ওঠে মোস্তাফিজ সে নিজেকে আবিষ্কার করল পদ্মার ধূ ধু বালুচরে।সে বুক চাপড়ে বলতে থাকে বিষে মরণ হবেনা তার হবে প্রেমে।তার ছকিনাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবেনা ....করুণ সুরে কথা বলতে তার গলা ধরে আসে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সর্বনাশা পদ্মার নদীর ফেসবুকার নামের গানটা।সামাদ আর ছকিনা সুখে শান্তিতে আর প্রেমে দিনযাপন করিতে থাকে কারন ছকিনা পেয়ছে তার প্রিয় পদ্মার ফেসবুকারকে।সুখ আর ঠেকায় কে ?তারা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনানী বীচে বাসা বেধেছে ,মৃতপ্রায় সম্রাট মোস্তাফিজের তাদের খুজে পাওয়া অসম্ভব।
©somewhere in net ltd.