নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেলিহান শিখা

েশখ েসিলম

I am a critique.

েশখ েসিলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংলাপ-সমঝোতা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি (সংকলিত)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:২৭

র্বতমান আওয়ামী লীগ সরকাররে অবশ্য করণীয় র্কতব্য জানতে হলে শখে হাসনিাসহ তার মন্ত্রীসভার সকলরেই ড. তারেক শামসুর রেহমানের লিখা এই প্রবন্ধটি পড়া উচিৎ।



দশম জাতীয় সংসদরে অধবিশেন শুরু হয়ছেে গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারখি।ে র্দীঘ ৩০ বছর পর তৃতীয়বাররে মতো বএিনপি সংসদরে বাইর।ে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালরে তৃতীয় ও চর্তুথ সংসদওে বএিনপি সংসদরে বাইরে ছলি। যদওি এবাররে প্রক্ষোপট ভন্নি। অনকে ‘বর্তিক’ আর ‘প্রশ্ন’ নয়িে দশম সংসদ তার যাত্রা শুরু করল। মর্জিা ফখরুল এই সংসদকে অভহিতি করছেনে ‘সাংবধিানকি গােঁজামলিরে’ সংসদ হসিবে।ে তনিি বলছেনে, ‘এটি ৫ শতাংশরে ভোটরে সংসদ।’ প্রথা অনুযায়ী সংসদরে প্রথম অধবিশেনইে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামদি ভাষণ দয়িছেনে। তার ভাষণইে ফুটে উঠল মূল বক্তব্যট।ি রাষ্ট্রপতি গণতন্ত্র বকিাশে সরকাররে সঙ্গে সংলাপ করতে নর্বিাচন র্বজনকারী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানালনে। কন্তিু নর্বিাচনরে পরপরই সনিয়ির মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছেনে এর সঙ্গে রাষ্ট্রপতরি বক্তব্যরে কোনো মলি আমি খুঁজে পাই না। সদ্য নযিুক্ত চফি হুইফ জানয়িে দলিনে ১৮২৫ দনি অপক্ষো করার কথা। তাই রাষ্ট্রপতি যে সংলাপরে কথা বলছেনে, পরর্বিততি পরস্থিতিতিে মনে হচ্ছে এই সংলাপরে সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং মধ্যর্বতী নর্বিাচনরে আপাতত কোনো সম্ভাবনাও নইে। শুনতে হয়তো খারাপ শোনাবে এবং বএিনপরি নতোর্কমীরা হয়তো আশাহত হতে পারনে; কন্তিু বাস্তবতা হচ্ছে সরকার এই মুর্হূতে মধ্যর্বতী নর্বিাচনরে কোনো প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না। এর অনকে কারণও আছ।ে নর্বিাচন নয়িে প্রথম দকিে দশেরে অভ্যন্তরে ও বাইরে থকেে যত নতেবিাচক প্রতক্রিয়িাই আসুক না কনে, সরকার মনে করছে বদলে যাওয়া পরস্থিতিরি কারণে তার ‘অবস্থান’ এখন অনকে শক্তশিালী। বদিশে থকেে একরে পর এক অভনিন্দন র্বাতা আসছ।ে এর মধ্যে দয়িে সরকাররে ‘লজেটিমেসে’ি বড়েছে।ে সরকার মনে করছে তারা খুব সহজইে পাঁচ বছর পার করে দতিে পারবে এবং যারা দশম জাতীয় সংসদে এসছেনে, তারা চাইবনে না সংসদ ভঙেে দয়ো হোক। তারা চাইবনে পুরো র্টাম পূরণ করত।ে বদিশেে এই সংসদ নয়িে যত নতেবিাচক ধারণারই জন্ম হোক না কনে বাস্তবতা হচ্ছে একটা সংসদ গঠতি হয়ছে।ে ১৯৯৬ সালরে ফব্রে“য়ারি মাসরে ষষ্ঠ সংসদরে বয়স ছলি মাত্র ১৩ দনি। আমরা ওই সংসদরে সঙ্গে দশম সংসদকে মলোলে ভুল করব। ওই সংসদে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস হয়ছেলি। কন্তিু দশম সংসদরে কাছে এ রকম কোনো এজন্ডো নইে। ফলে সংসদ ভঙেে দয়োর ‘চাপ’ থাকলওে তা খুব শক্তশিালী হবে বলে মনে হয় না। এখন সরকাররে শক্ত অবস্থানরে কারণে বএিনপি তথা ১৮ দল (১৯ দল) আন্দোলনকে তুঙ্গে নয়িে যতেে পারনে।ি অভযিোগ উঠছে,ে বএিনপরি র্শীষ স্থানীয় নতোদরে অনকেইে আন্দোলনরে সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছলিনে না। ফলে ‘নর্বিাচন প্রতহিত’ করার ডাক দয়িওে তা ‘প্রতহিত’ করা যায়ন।ি এখন সংসদ গঠতি হওয়ায় সরকাররে অবস্থান ভালো। বএিনপি শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে সরকার ‘চাপ’-এ থাকবে না এবং সে ক্ষত্রেে মধ্যর্বতী নর্বিাচনরে ব্যাপারে সরকারকে বাধ্য করানো যাবে না। এটা স্বীকার করতইে হবে সরকার বএিনপরি সঙ্গে জামায়াতরে একটা ‘ব্যবধান’ তরৈি করে দতিে সর্মথ হয়ছে।ে এই কৌশলে সরকার লাভবান হয়ছে।ে ক্ষতি হয়ছেে বএিনপরি। সরকার কখনো জামায়াতকে নষিদ্ধি করবে না, অথচ সরকার ইচ্ছে করলে তা পার।ে সংবধিানরে ৩৮(গ) ও (খ) রপ্রিজেনেটশেন অব পপিলস অডন্যিান্স, ১৯৭২, দ্যা পলটিক্যিাল র্পাটসি অডন্যিান্স ১৯৭৮-এর ধারা, উপধারা বলে জামায়াতকে নষিদ্ধি করা যায়। এ ছাড়া আর্ন্তজাতকি অপরাধ আদালতরে একটি র্পযবক্ষেণ কংিবা উচ্চ আদালতরে দায়রে করা একটি আপলি মামলার নষ্পিত্তি করে সরকার জামায়াতকে নষিদ্ধি করতে পার।ে সরকার সদেকিে যাবে বলে আমার মনে হয় না। সরকাররে স্ট্রাটজেি হচ্ছে জামায়াতরে সঙ্গে বএিনপরি ‘দূরত্ব’ যদি সৃষ্টি করা যায় তাতে র্দুবল হবে ১৯ দল, আর তাতে লাভ সরকাররে। সরকার, সুশীল সমাজ এবং মডিয়িায় জামায়াত একটি জঙ্গবিাদী সংগঠন হসিবেে পরচিতিি পয়েছে।ে

সরকাররে বড় প্লাসপয়ন্টে হচ্ছে বদিশে,ে বশিষে করে ইউরোপীয় ইউনয়িন জামায়াতরে র্কমকা-কে জঙ্গি র্কমকা- হসিবেে অভহিতি করছে।ে এতে পরোক্ষভাবে সরকাররে অবস্থান শক্তশিালী হয়ছে।ে এরই মাঝে দুজন গুরুত্বর্পূণ মন্ত্রী (ত্রাণ, র্দুযােগ ব্যবস্থাপনা ও খাদ্যমন্ত্রী) সরাসরি বলছেনে নর্বিাচন চাইতে হলে ২০১৯ সাল র্পযন্ত অপক্ষো করতে হব।ে র্অথমন্ত্রীর অভমিতও অনকেটা তমেনই। অন্যদকিে আরো কয়কেজন মন্ত্রী সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে দয়ো বগেম জয়িার বক্তব্যরে (সাতক্ষীরায় যৌথবাহনিীর অপারশেন প্রসঙ্গ)ে যভোবে সমালোচনা করছেনে তাতে ‘সংলাপ’ এর সম্ভাবনা আরো ক্ষীণ হয়ে এলো। বগেম জয়িাকে ‘ক্ষমা চাইতে হব’ে, ‘জঙ্গদিরে সনোপত’ি (সয়ৈদ আশরাফ), ‘খালদো সঙ্গ’ (আমরি হোসনে আমু), ‘তনিি অশান্তি চান’ (হাসানুল হক ইনু), ‘তার বক্তব্য বপিজ্জনক’ (ওবায়দুল কাদরে)-এ ধরনরে বক্তব্য ‘সংলাপ’ এর পরবিশেরে জন্য যথষ্টে নয়। এমনকি বগেম জয়িার বরিুদ্ধে ব্যবস্থা নয়োর কথাও বলা হচ্ছ।ে আমরা এখানে সাতক্ষীরায় দয়ো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও (খালদো জয়িার শয়নে স্বপনে পয়োরে পাকস্তিান) উল্লখে করতে পার।ি এতে এমন একটা ধারণার জন্ম হয়ছেে য,ে আগামীতে সংলাপরে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। প্রশ্ন হচ্ছে নর্বিাচনরে পর এখন ‘সংলাপ’ এর এজন্ডো কী? বএিনপি যদি এখনো তত্ত্বাবধায়ক কংিবা নর্বিাচনকালীন সরকার নয়িে কথা বলতে চায়, তাহলে সরকাররে সর্মথন তাতে থাকবে না। বএিনপি সরকারকে বাধ্য করতে পারনেি অর্র্ন্তবতীকালীন সরকাররে (প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দয়ি)ে আওতায় নর্বিাচন দতি।ে সরকার যভোবে সংবধিানে পরর্বিতন এনছেলি (পঞ্চদশ সংশোধনী) সভোবইে নর্বিাচন হয়ছেে এবং আগামীতওে হব।ে এখন বএিনপকিে নর্বিাচন যতেে হলে প্রধানমন্ত্রীকে অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রধান হসিবেে রখেইে নর্বিাচনে যতেে হব।ে কন্তিু বএিনপি কি তা করব?ে এটা যদি বএিনপি কর,ে তাহলে প্রশ্ন আসবে বএিনপি তাহলে ৫ জানুয়াররি নর্বিাচনে অংশ নলি না কনে? অন্যদকিে সরকার আন্দোলনরে দৃষ্টি অন্যদকিে ফরোনোর জন্য জনগণকে আন্দোলন সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য উপজলো নর্বিাচনরে কথা ঘোষণা করছে।ে দলীয়ভাবে উপজলো নর্বিাচন হয় না। তবে দলীয় নতো ও র্কমীরা অন্য র্মাকা নয়িে নর্বিাচনে অংশ ননে। এ ক্ষত্রেে তাই ঘটব।ে বএিনপরি নতোর্কমীরা এই নর্বিাচনে অংশ নবেনে। এখানে বএিনপরি সর্মথকরা যদি বজিয়ীও হন তাতে তা সরকাররে ওপর আদৌ কোনো ‘প্রভাব’ ফলেবে না। আন্দোলনও আপাতত ‘স্থগতি’ই থাকব।ে সরকার এখন শক্তশিালী। সরকাররে এখন স্ট্রাটজেি হচ্ছে মামলা, মোকদ্দমা, আইন-আদালত করে বএিনপরি সনিয়ির নতোদরে ব্যতব্যিস্ত রাখা। নতোদরে কউে কউে উচ্চ আদালত থকেে জামনি পলেওে অন্য মামলায় জড়য়িে যাচ্ছনে। জলেইে থাকছনে তারা। অন্যদকিে র্পাটরি সনিয়ির ভাইস চয়োরম্যান তারকে রহমান দুদকরে মামলায় নুি আদালত থকেে খালাস পলেওে দুদক আপলি করছে।ে নবনযিুক্ত আইনমন্ত্রী বলছেনে, তারকে রহমান নুি আদালতে আত্মসর্মপণ করলে জামনি পাবনে। এখানে মূল বষিয় হচ্ছে একটি তারকে রহমানরে মামলাগুলো সচল রখেে পরোক্ষভাবে বগেম জয়িার ওপর ‘মনস্তাত্ত্বকি চাপ’ প্রয়োগ করা।

নতুন করে দায়ত্বি নয়োর পর প্রধানমন্ত্রী যে সরকার গঠন করছেনে, তাকে তনিি আখ্যায়তি করছেনে ‘ঐকমত্যরে সরকার’ হসিবে।ে এই মুর্হূতে এই সরকারে চারটি দল রয়ছেে আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওর্য়ার্কাস র্পাটি ও জাতীয় র্পাট।ি আমার ধারণা ভবষ্যিতে এই সরকারে আরো দু’চারটি দল (সপিবি,ি তরকিত ইত্যাদ)ি যোগ দতিে পার।ে বএিনপরি একটি অংশ যদি যোগ দয়ে(?) আমি তাতে অবাক হব না। শখে হাসনিা বাংলাদশেে একটি ‘মালয়শেয়িান মডলে’ উপহার দতিে পারনে; যখোনে ইউনাইটডে মালয় ন্যাশনাল র্অগানাইজশেন প্রধান রাজনতৈকি দল হলওে ১৩টি রাজনতৈকির দলরে সমন্বয়ে গঠতি হয়ছেে ন্যাশনাল ফ্রন্ট, যারা ১৯৬৪ সাল থকেইে জোটগতভাবে শাসন র্কায পরচিালনা করে আসছ।ে সখোনে বরিোধী দলরে অস্তত্বি তমেন শক্তশিালী নয়, যদওি র্সবশষে নর্বিাচনে (২০১৩) বরিোধী দল কছিুটা ভালো করছেে (বরিোধ পপিলস অ্যালায়ন্সে পয়েছেে ৮৯ আসন, আর ক্ষমতাসীন ফ্রন্ট পয়েছেে ১৩৩। মোট আসন ২২২)। সখোনে ‘নয়িন্ত্রতি গণতন্ত্র’ চালু করছে।ে মাহাথরি মোহাম্মদ র্দীঘ ২২ বছর (১৯৮১-২০০৩) ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৩ সালে অবসর ননে। মালয়শেয়িাতে নয়িন্ত্রতি গণতন্ত্র এ নাগরকি অধকিার কছিুটা নয়িন্ত্রতি। কন্তিু নয়িমমাফকি ৫ বছর পর পর নর্বিাচন হয়। সখোনে নর্বিাচন কমশিন নয়িে প্রশ্ন ওঠে না। ‘ভোট কন্দ্রে দখল’ কংিবা ‘সলি মারার’ ঘটনাও কখনো ঘটনে।ি তারা রাজনীতরি চাইতে র্অথনতৈকি উন্নয়নকে বশেি গুরুত্ব দয়িছেনে। ফলে মালয়শেয়িা আজ বশ্বিে নতুন এক র্অথনতৈকি শক্তি হসিবেে জন্ম নয়িছে।ে শখে হাসনিা যদি মালয়শেয়িার র্অথনতৈকি মডলেকে অনুসরণ তাহলে করনে তনিি ভালো করবনে।

রাষ্ট্রপতি যে সংলাপরে কথা বলছেনে, সটো নয়িওে প্রশ্ন আছ।ে কনেনা রাষ্ট্রপতরি ওই ভাষণ সরকাররে বক্তব্য হসিবেইে চহ্নিতি হয়। কনেনা রাষ্ট্রপতরি এই ভাষণ সরকাররে পক্ষ থকেে তরৈি করা হয় এবং মন্ত্রসিভায় তা অনুমোদতিও হয়। প্রতটিি লাইন ‘চকে’ করে দখো হয়। এর বাইরে রাষ্ট্রপতরি ভাষণে একটি লাইনও তনিি যোগ করতে পারনে না। অতীতে এটা নয়িে নানা কথা উঠছেলি। সুতরাং রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামদিরে বক্তব্যে যা ফুটে উঠছেে তা হচ্ছে সরকাররে বক্তব্য। যদি তাই হয়, তাহলে ধরে নতিে হবে সরকারই সংলাপ চাচ্ছ।ে আমরা বষিয়টি ইতবিাচক দৃষ্টভিঙ্গতিে দখেতে পার।ি তবে সরকাররে পক্ষ থকেে বারবার একটা কথা বলা হচ্ছে তা হচ্ছে বএিনপকিে জামায়াতরে সঙ্গ ছাড়তে হব।ে তাহলইে সংলাপ। বএিনপি কৌশলগত কারণে জামায়াতকে না নয়িইে সোহরাওর্য়াদী উদ্যানরে জনসভা করছে।ে সরকাররে সদ্ধিান্তকে সম্মান জানয়িছেে বএিনপ।ি কন্তিু তাদরে সঙ্গে জামায়াতরে সর্ম্পক ‘রাজনতৈকি।’ তারা জামায়াতকে ১৯ দলীয় জোট থকেে বরে করে দবেে না। বএিনপি বৃহত্তর ঐক্য করার ব্যাপারে একটি উদ্যোগ নয়িছে।ে জামায়াত না থাকলে বএিনপরি নতেৃত্বাধীন জোটে কাদরে সদ্দিকিী, ড. কামাল হোসনে, কংিবা অধ্যাপক ব.ি চৌধুরীর মতো ব্যক্তত্বিকে আমরা দখেতে পতোম। সটো হয়নি জামায়াতরে কারণ।ে আমি মনে করি বাংলাদশেরে চলমান রাজনীতরি প্রক্ষোপট এজন্ডো হওয়া উচতি একটাই আর তা হলো গণতন্ত্ররে পুনরুদ্ধার। সাংবধিানকি বাধ্যবাধকতার কারণে নর্বিাচন হয়ছে,ে এটা সত্য। কন্তিু এই নর্বিাচন গণতন্ত্ররে বকিাশকে অনকে ‘ক্ষত’ি করছে।ে বাংলাদশেরে বকিাশমান গণতন্ত্ররে জন্য এই ‘ক্ষত’ি অনকে। বাংলাদশেরে গণতন্ত্র নয়িে একসময় প্রশংসাসূচক কথার্বাতা আমরা শুনতে পতোম বশ্বি নতোদরে মুখ থকে।ে খোদ একাধকি র্মাকনি প্রসেডিন্টে বাংলাদশেে গণতন্ত্ররে র্চচাকে প্রশংসা করছেনে। বাংলাদশে একটি মুসলমি জনসংখ্যা অধ্যুষতি দশে। মুসলমানপ্রধান দশেও যে গণতন্ত্র প্রতষ্ঠিা করতে পার,ে বাংলাদশে তার প্রমাণ। এটা বশ্বিে প্রশংসতি হয়ছে।ে একই সঙ্গে বাংলাদশেরে ইতহিাসে একাধকিবার সনো অভ্যুত্থানরে ঘটনা ঘটছে।ে দু’দুজন রাষ্ট্রপতি সনো অভ্যুত্থানে প্রাণ হারয়িছেনে। এমন একটি দশেওে যে গণতন্ত্র প্রতষ্ঠিতি হতে পার,ে বাংলাদশে সটো প্রমাণ করছে।ে বাংলাদশেরে প্রশংসা এ কারণইে।

আমি বাংলাদশেকে একটি উদীয়মান শক্তি হসিবেে মনে কর।ি আর্ন্তজাতকি সর্ম্পকরে র্টামে আমরা বলি বাংলাদশে হচ্ছে একটি ‘সফট পাওয়ার।’ বশ্বিকে অনকে কছিু দয়োর আছে বাংলাদশেরে। বাংলাদশে দতিে পার।ে জাতসিংঘরে শান্তরিক্ষা র্কাযক্রমে বাংলাদশেরে অবস্থান দ্বতিীয়। একটি দক্ষ, প্রশক্ষিতি সনোবাহনিী গড়ে তুলছেনে আমাদরে সনো নতেৃত্ব। তরৈি পোশাক খাতে আমরা ‘লডিার।’ শত প্রতবিন্ধকতা থাকলওে তরৈি পোশাকে বাংলাদশেরে ওপর ধনী দশেগুলোর নর্ভিরতা থাকবইে। ওষুধ শল্পিওে বাংলাদশেরে অবস্থান উজ্জ্বল। বাংলাদশেরে রয়ছেনে দক্ষ ওষুধ প্রযুক্তবিদি। আইটি সক্টেরওে বাংলাদশে ভালো করছে।ে অদক্ষ জনশক্তি রফতানতিওে বাংলাদশেরে বকিল্প কোনো দশে নইে। সুতরাং এমনি এক পরস্থিতিতিে বাংলাদশেরে স্থতিশিীলতা চাইবে উন্নত বশ্বি। সে জন্যই দশম জাতীয় সংসদ নর্বিাচন নয়িে যত প্রশ্নই থাকুক না কনে, পশ্চমিা বশ্বি চাইবে জ-ি২ র্পযায়,ে র্অথাৎ ‘সরকার টু সরকার’ র্পযায়ে সর্ম্পক উন্নত করত।ে

রাষ্ট্রপতি যে সংলাপরে আহ্বান জানয়িছেনে, সে ব্যাপারে বএিনপি তথা ১৯ দলরে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কন্তিু সরকারকইে উদ্যোগটা নতিে হব।ে সংসদ নত্রেী প্রয়োজনে একটি সংসদীয় কমটিরি গঠন করে দতিে পারনে। বএিনপি এই আলোচনায় বৃহত্তর বরিোধী গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার জন্য সরকারবরিোধী ত্রদিলীয় জোট (কাদরে সদ্দিকিী, ব.ি চৌধুরী ও আসম আবদুর রবরে দল) এর সঙ্গে একটা অ্যালায়ন্সে গঠন করতে পার।ে এটা হতে পারে ১৯ প্লাস ৪ দলীয় ঐক্য। ড. কামাল হোসনেও থাকতে পারনে। বস্তুত পক্ষে বএিনপরি সঙ্গে র্বতমান রাজনতৈকি প্রক্ষোপটে ওপরে উল্লখেতি চারটি রাজনতৈকি দলরে মাঝে কোনো র্পাথক্য নইে। এই রাজনীতকিদরে সবাই মনে করনে যে প্রক্রয়িায় দশম সংসদ নর্বিাচন অনুষ্ঠতি হয়ছে,ে তা বাংলাদশেে গণতন্ত্ররে বকিাশকে বাধাগ্রস্ত করব।ে তারা চাচ্ছনে অতি দ্রুত একাদশ সংসদ নর্বিাচনরে প্রক্রয়িা শুরু করা। এমনকি নর্বিাচনকালীন একটি নরিপক্ষে সরকার থাকা উচতি এ ব্যাপারওে সবার অভমিত এক। ক্ষমতাসীন সরকাররে প্রধানকে অন্তর্বতীকালীন সরকারপ্রধান রখেে যে নর্বিাচন হয় এবং তা যে নরিপক্ষে ও গ্রহণযোগ্য হয় না, দশম জাতীয় সংসদ নর্বিাচন এর বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় নর্বিাচন কমশিনকে নরিপক্ষে ও শক্তশিালী করা হয়ছে।ে এটা ববিচেনায় নলিওে র্বতমান নর্বিাচন কমশিনরে নতেৃত্বে সুষ্ঠু ও নরিপক্ষে নর্বিাচন সম্পন্ন হয়ন।ি এই অভমিত বএিনপসিহ বাকি দলগুলোর। শুধু মতর্পাথক্য এক জায়গায় আর তা হচ্ছে জামায়াতকে ছাড়তে হব।ে যদি বএিনপি জামায়াতকে মাইনাস করত তাহলে তাদরে মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠা সম্ভব ছলি। কন্তিু তারপরও বৃহত্তর র্স্বাথে ঐক্য হতে পার।ে এই মুর্হূতে একটি ‘গণতন্ত্র সনদ’ স্বাক্ষরতি হওয়া জরুর।ি অনকেইে স্মরণ করতে পারবনে ২০০৭ সালরে ফব্রে“য়ারি মাসে লন্ডনে পাকস্তিানরে দুটি বড় দল পপিলস র্পাটি (বনেজরি ভুট্টো) ও মুসলমি লীগ (নওেয়াজ শরীফ) এর মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষরতি হয়ছেলি যা ‘গণতন্ত্র সনদ’ নামে অভহিতি হয়ছে।ে এই সময়ে ওই দুই দলরে প্রধান র্টাগটে ছলি পারভজে মোশাররফ। তনিি তখন পাকস্তিানরে প্রসেডিন্টে।

মোশাররফবরিোধী তথা পাকস্তিানে সাচ্চা গণতন্ত্র প্রতষ্ঠিার র্স্বাথে ২০০৭ সালে পপিলস র্পাটি ও মুসলমি লীগ একত্রতি হয়ছেলি। এ দুটি দলরে মাঝে বরৈতিা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সবার জানা। শুধু এই দুই দলরে মাঝে বরৈতিা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বরে কারণে র্দীঘদনি সখোনে কোনো সরকারই স্থায়ত্বি পায়ন।ি বনেজরি ভুট্টো এবং নওেয়াজ শরীফ দু’দুবার প্রধানমন্ত্রীর দায়ত্বি পয়েছেলিনে। একজনরে র্ব্যথতা (বনেজরি ভুট্টো ১৯৮৮, ১৯৯৩ দু’বার) অন্যজনকে (নওেয়াজ শরীফ ১৯৯০, ১৯৯৭, দু’বার) ক্ষমতায় বসয়িছেলি। এই দ্ব-িদলীয় ব্যবস্থা এখনো বহমান। মোশাররফরে উৎখাতরে পর প্রথমবাররে মতো পপিলস র্পাটরি নতেৃত্বাধীন (বনেজরিরে মৃত্যুর পর) একটি কোয়ালশিন সরকার তার পাঁচ বছররে র্টাম শষে করছেে এবং ২০১৩ সালে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে অধীনে সখোনে যে নর্বিাচন অনুষ্ঠতি হয়ছেে তাতে নওেয়াজ শরীফরে মুসলমি লীগ আবার ক্ষমতা ফরিে পয়েছে।ে বাংলাদশেরে প্রক্ষোপটে আজ একটি ‘গণতন্ত্র সনদ’ প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে পড়ছে।ে বরিোধী দলগুলো একত্রতি হয়ে একটি ‘গণতন্ত্র সনদ’ প্রণয়ন করতে পার।ে আর এ জন্যই আমি গুরুত্ব দচ্ছিি ১৯ দল প্লাস ৪ দলরে ওপর। বরিোধী দলগুলো একত্রতি হলইে সরকার বাধ্য হবে একাদশ সংসদরে নর্বিাচনরে ব্যাপারে সংলাপ শুরু করত।ে আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রকি দল। তারাও একসময় চাইবে একাদশ সংসদ নর্বিাচন। যহেতেু রাষ্ট্রপতরি ভাষণ মানইে সরকাররে ভাষণ সহেতেু রাষ্ট্রপতরি সংলাপরে আহ্বানকে গুরুত্বরে সঙ্গে ববিচেনা করে সরকাররে উচতি হবে দ্রুত সংলাপ শুরু করা। এতে প্রধান প্রধান দলগুলোর মাঝে আস্থার সর্ম্পক তরৈি হব।ে স্থতিশিীলতা নশ্চিতি হব।ে র্অথনতৈকি অগ্রগতরি পথে আমরা আরো এক ধাপ এগয়িে যাব। সংসদ অধবিশেন শুরু হয়ছে।ে সংসদ অধবিশেন চলুক। সইে সঙ্গে চলুক সংলাপও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ড. তারেক শামসুর রেহমান মনে হচ্ছে, বিদেশে 'পেঁয়াজ কাটার' উপর পিএইচডি করেছে।

সে চাইলে শেখ হাসিনার উপর আরেকটা পিএইচডি করতে পারবে। শেখ হাসিনার বাসার কাজ করে অনেক ডক্টরেট, ড. তারেক শামসুর রেহমান চেস্টা করে দেখতে পারে, বাজার খরচ করার চাকুরীটা পাবার জন্য।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

েশখ েসিলম বলেছেন: সে সুযোগ আপনার জন্য থাকলো। কারণ এ ছাড়া আপনার অন্য কিছু করার ক্ষমতা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.