![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বর্তমান মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তারা যা বলছে তা না জেনেই বলছে অথবা অদৃশ্য কোন এক মহলের নির্দেশে তারা তোতা পাখীর মত শেখানো বুলি আউড়ে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্যে না আছে ধার, না আছে ভার। তাদের কথায় বিশেষ দলের বিশেষ ব্যক্তির প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া দলীয বা রাজনৈতিক কোন আদর্শ থাকে না। তাদের বক্তব্যে শুধুই প্রতিহিংসা প্রকাশ পায় কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা থাকে না। তারা জনগণকে বোকা বানানোর জন্য অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিষোদ্গার করছে। অথচ তারা বুঝতে পারছে না এতে তাদের বোকামীই প্রকাশ পায় এবং শ্রোতাদের অধিকাংশই মুচকি হেসে বিদ্রুপ করে। কিছু অন্ধ সমর্থকের হাততালি পেয়ে আরও দ্বিগুণ তেজে পাগলের মত প্রলাপ বকে যায়।
দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। এরাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, যারা অন্যের নিন্দা করা ছাড়া আর কোন গঠনমূলক বক্তব্য দিতে শিখেনি। যারা ভাবে মঞ্চে উঠে কোন কিছু বলতে পারলেই নেতা বনা যায়। মাওলানা ভাষানী, শেখ মুজিবের বক্তব্য যারা শুনেছে তারা বর্তমান মন্ত্রী সাংসদদের বক্তব্য শুনে ভাবে আমরা কি এ ক্ষেত্রেও পিছিয়ে যাচ্ছি? জনসভায় জনগণ আসে আশার কথা শুনতে, কারো নিন্দা শুনতে নয়। শ্রোতারা শুনতে চায় দলীয় বা রাজনৈতিক আদর্শের কথা, শুনতে চায় উন্নয়নের কথা, শুনতে চায় তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা। কিন্তু জনসভায় এসে তারা শুনে ব্যক্তিগত আক্রোশের কথা, দেখে পরনিন্দা আর পরচর্চার প্রতিযোগিতা। এ যেন অনেকটা পাড়া পরশীর ঝগড়ার মত। মাস্তানদের কথা চালাচালির মত। বাংলাদেশের বড় দুই দলের দলীয় প্রধানদের কথা কাটাকাটি দুই সতীনের ঝগড়ার মতই।
রাজনীতিবিদ হতে হলে রাজনীতির রীতি নীতি জানতে হয় এবং সুদীর্ঘ সময় ধরে রীতিমত অনুশীলন করতে হয়। শুধু তাই নয় ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন, ইত্যাদি শাস্ত্র সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বর্তমান বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাই বড় বড় দলের লেজুরবৃত্তি করে এবং মিছিলে মিছিলে শ্লোগান দিয়ে নেতা হয়েছে। অথচ নেতা হওয়ার জন্য যে ন্যুনতম যোগ্যতা থাকা দরকার তা্ও তাদের নেই। নেই রাজনীতির 'অ, আ, ক, খ' সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারণা।
বাংলাদেশের বিবেক বলে পরিচিত বিচারকবৃন্দ এবং দায়িত্ববান সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা দেশকে এ করুণ অবস্থা হতে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। আপনারা আইন করে এবং আন্দেলন করে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন। ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি এখনই নিষিদ্ধ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অন্ধকার এক জগতে প্রবেশ করবে যা নিঃসন্দেহে আদিমযুগের সাথে তূলনীয় হবে। আপনারা শিক্ষক সমাজকে বাধ্য করুন নোংরা দলীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে তারা যেন সুশিক্ষিত ভবিষ্যৎ নাগরিক তৈরী করায় মনোযোগী হন। হীনচিন্তামুক্ত হয়ে ছাত্রদের পাঠদানে মনোযোগী হোন। এতে দেশের মঙ্গল, জাতির মঙ্গল। আর তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে জনগণ এক হয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং আপনাদের মুখে থুথু ছিটাবে।
©somewhere in net ltd.