নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ বিকালের গল্প

মুক্ত কাহন

কথা কখনও মিথ্যা হয় না।আপনি যা বলছন বা শুনছেন তা হয়তবা কাল্পনিক অথবা বাস্তব বিবর্জিত কিন্তু কথাগুলো মিথ্যা না।

মুক্ত কাহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলের উপর নীল পদ্ম

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

একবার এক বেজমেন্টে এক মেয়েকে তিনটা ছেলে ছুরি মেরেছিলো মেয়ে নাকি এক দৌড়ে হাসপাতালে উপস্থিত। মেয়েটাকে আগে একটু চিনতাম তখন অনেক শান্ত একটা মেয়ে ছিলো ছুরি খাওয়ার পরে সে নাকি আজকাল ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে সে দিন কি প্রসঙ্গে নাকি এক ফ্যাকাল্টিকে ধমকি দিয়েছে। যদিও এই গল্পের সাথে এই চরিত্রের কোনো মিল নেই তাও জানিয়ে রাখলাম।





আমার আবার আরেকটা ছেলেকেও চিনি যে বিয়ে করার উদ্দেশে পাত্রি দেখা শুরু করে দিয়েছে কিন্তু তিনবার পাত্রি দেখার পরও তার কোনো গতি হয়নি। বরং পাত্রিদের হয়েছে। তার দেখা তিন পাত্রির বিয়েই নাকি কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে হয়ে গেছে। একবার ত এক মেয়ের বাবা তাকে ঘটক ভেবেই কথা চালিয়ে গেছিলেন। এক্ষেত্রে দোষটা তার না তার দাড়ির বোঝা যায়নি সে আবার একটু হুজুর টাইপ কিনা। শেষ যে বার যে পাত্রি দেখে এলো সেই মেয়ের বিয়ে তারই ভার্সিটির এক ফ্যাকাল্টির সাথে এবং সবচেয়ে মজার বিষয় সেই ফ্যাকাল্টির কোর্স সে এবার করছে এবং পাশ করলেই ভার্সিটি লাইফ শেষ হবে। ভবিষ্যৎ কি হবে আমরা জানি না। গল্প কোন দিকে যাবে তাও লেখকের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এই চরিত্রের সাথেও গল্পের কোনও মিল নেই। অতএব পাঠকদের এই ছেলের বিয়ে নিয়ে না ভাবলেও চলবে।







“আপনি কি আমার উপর বিরক্ত?”





“মোটেই না। এমনটা কেন মনে হল আপনার?”





“অনেক্ষন ধরেই দেখছি আপনি এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন আপনি যদি বিরক্তবোধ করেন আমি আমার ডায়েরিটা আপনাকে দিয়ে যায় আপনি পড়ুন আপনার আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।”





“না না কি বলছেন। আসলে আমি আমার সিগারেট এর প্যাকেটটা খুঁজছিলাম।আপনার যদি সমস্যা না হয় বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া লাগিয়ে গল্পটা শোনা যায় আচ্ছা আপনি কি চা তৈরি করতে পারেন এক কাপ চা খেতে পারলে মন্দ হত না।”





“চা খেতে চান ভালো কথা বানিয়ে দিচ্ছি কিন্তু প্লিজ সিগারেট জ্বালাবেন না।আমি গন্ধের ব্যাপারে খুব বেশি সেনসিটিভ। সিগারেটের ধোঁয়া নাকে লাগলেই মাথা কেমন ঝিম ঝিম করে। চলুন চা বানাতে বানাতে গল্পটা বলা যাক।”





অনেকদিন ধরেই কারো রিয়েল লাইফ নিয়ে একটা গল্প লেখার খুব ইচ্ছা। প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ হয়ত নিজেদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে রাজি হবে না। কিন্তু আজ সাত সকালে গেট খুলে দেখি একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। সাধারনত এই সময়টাতে হোটেল থেকে আমার সকালের নাস্তা আসে। মেয়েটা কে দেখে প্রথমে বিরক্ত হলেও অবাক হলাম সে আমার জন্য সকালের নাস্তা নিয়ে এসেছে। মেয়েটা ঘরেবসে চারদিকে চোখ বুলিয়ে নিল। প্রায় একঘন্টা হতে চলল মেয়েটা আমার সাথে গল্প করছে কিন্তু মজার ব্যাপার হল আমি এখনও তার নাম জানি না আরও মজার ব্যাপার হল মেয়েটা আমার ব্যাপারে সব তথ্য জেনেই এসেছে তার কথা শুনেই তা বোঝা যাচ্ছে।আমার চেনা পরিচিত মানুষের সংখ্যা খুব কম তাই এখন অপরিচিত মানুষের সাথে আমার কথা বলতে গেলে মনে হয় বাঘবন্দির জালে জড়িয়ে পড়ছি। এই মেয়েটার সাথেও ঠিক একি ব্যাপার ঘটেছে।





“আপনি এখন ও কিন্তু আমার নাম জিজ্ঞেস করেননি।”চায়ের কাপ হাতে নিতে নিতে আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম। অনেক্ষন ধরেই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে আসছে মেয়াটা কথা বলার ধরন একবারেই অন্য রকম কথাবলার মধ্যে একসাথে শাসন এবং কোমলতার ছোঁয়া আছে।মেয়েটা আবার বলল “আপনি এখন পর্যন্ত আমার নাম জানতে চাননি।” আমি জিজ্ঞেস করলাম “আপনার নাম কি?” মেয়েটা মুচকি একটা হাসি দিয়ে চায়ের কাপ তুলে নিল।





“আপনি একটা সিগারেট ধরাতে পারেন এবং আপনি সিগারেট ধরালে আমি গল্প বলা শুরু করব। দয়া করে গল্পটা বলার সময় আমাকে কোন প্রকার প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন না কথা বলার মাঝখানে কথা বললে আমি সব কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলি।” আমি সিগারেট জ্বালিয়ে মেয়েটার গল্পের দিকে মন দিলাম।





একবিংশ শতাব্দীতে একজন আরেকজন কি ভাবে পরিচিত হতে পারে। অনেক ভাবেই পারে ফেসবুক নামক প্লাটফর্ম এর সাহায্যে একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হয়। আবার মোবাইল নাম্বার এর শেষ ডিজিটে ০ এর পরিবর্তে ১ টাইপ করে পরিচিত হওয়ার সম্পর্ক এখন কম নেই। অর্ণবের সাথে আমার পরিচয় পর্বটা এই সব আর দশটা সাধারন ঘটনার মতই। একদিন সন্ধ্যাবেলা বাসার টি এন্ড টি নাম্বারে ফোন এল ফোন ধরলাম কথা হল এরপর পরিচয়। প্রথমে প্রথমে খুব অবাক হতাম ও কিভাবে আমার বাসার নাম্বার জেনেছিল। ও সব সময় এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেত কিন্তু একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেই ফেলল তার এক বন্ধুর মোবাইল থেকে নাম্বার পাওয়া এবং বর্ণনা শুনেই আমাকে ফোন দেয়া। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার সেই বন্ধুটিকে আর আমিই বা তাকে চিনি কিনা জানতে পারিনি। যাই হোক ফোন বারবার ওর দিক থেকেই আসত প্রথমে বাসার টেলিফোন নাম্বারে ফোন দিত একদিন আমার মোবাইল নাম্বার চাইল দেবনা দেবনা ঠিক করেও কেন জানি দিয়ে দিলাম।তখনও মনে একটা ভয় ছিল কে এই ছেলে চিনি না জানি না তাও কাছে আসার সুযোগ করে দিলাম।





কাছে আসার সুযোগ করে দিলেও তখনও কাছে আসার গল্প শুরু হয়নি। প্রতিদিন যে আমাকে বাসার নাম্বারে ফোন দিয়ে বিরক্ত করবে এমন ছেলে সে ছিল না। এমন ও হয়েছে বাসার নাম্বারে আজ ফোন দিয়েছে ওর ১-২ সপ্তাহ কোন খোঁজ নেই। আমিও এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি ভাবতাম না দূর থেকে এসেছে দূরেই মিশে যাবে অন্ধকারে হাত বাড়িয়ে ওকে ছুঁতে চাওয়া বৃথা। চিনি না জানি না কে না কে সে।যেদিন বাসার নাম্বারে ফোন করে আমার সেলফোন নাম্বার নিল, সেদিন রাতে ও আবার ফোন দিল। রাতে পাশে বিছনায় আপু শুয়ে ছিল। আপু সব জানত, সব শেয়ার করতাম আপুর সাথে। আপু কখনই আমাকে সাপোর্ট করেনি ওর সাথে কথা বলার ব্যাপারে আবার কখনও নিষেধ ও করেনি। সেদিন রাতে ও যখন কথা বলছিল আমি আপুর ভয়ে কিছুই বলতে পারছিলাম না হু হ্যাঁ করে যতটুকু কথা বলা যায়।সেদিনের রাতের কথা আমার এখন ও মনে পড়ে। মনে পড়ারও যথেষ্ট কারন ছিল। সেদিন রাতে কথা বলার পর ১মাস ধরে ওর কোন খোঁজ নেই।কোন ফোন বা মেসেজ কিছুই না যেন ছেলেটা হাওয়ার মত উবে গেছে। আমি ফোন দিতে চাইতাম কিন্তু সাহস হত না মনের মধ্যে অজানা ভয়। দিনে দিনে বুঝতে শিখলাম মনে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে ছেলেটা। বাসার নাম্বারে ফোন আসলেই দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরতাম। এই ভাবেই যখন চলছিল হঠাৎ বাসার নাম্বারে ওর ফোন এল। কথা বলার মধ্যে কেমন যেন ছোট বাচ্চা বাচ্চা ভাব ছিল মনে হচ্ছিল ওর হাতে একটা বেলুন ছিল কিন্তু পাজি বেলুনটা উড়ে গেছে। কথা বলা যখন প্রায় শেষ তখন ও আবার আমার সেলফোন নাম্বার চাইল সে নাকি নাম্বার হারিয়ে ফেলেছে। আমি প্রায় চিৎকার করে বললাম দরকার নাই যে একবার নাম্বার হারিয়ে ফেলে তারে দ্বিতীয়বার নাম্বার দেয়ার মানে হয় না। এই ছিল আমাদের কাছে আসার গল্পের সূচনা।







গল্পের এই পর্যায়ে এসে বিরতি।মেয়েটা একবাক্যে গল্প বলা শেষ করতে চাইলেও এই পর্যায়ে এসে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো।বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে গল্প শোনায় এতই মনযোগী ছিলাম খেয়ালই করা হয়নি। আজ জুন মাসের ১৯ তারিখ বাংলা সন তারিখ কোনটায় জানি না আসলে বাঙ্গালী হিসাবেই হয়ত জানার ইচ্ছা রাখি না। মেয়েটা বারান্দায় দাড়িয়ে আছে আমি ও চেয়ার ছেড়ে মেয়েটার পাশে দাড়ালাম। আপনি এখানে দাড়ান আমি আপনার জন্য চা করে নিয়ে আসছি।মেয়েটা আমার কোন উত্তর না শুনেই রান্না ঘরে চলে গেল। কিছু কিছু মানুষ আচ্ছে যারা সব সময় কথা বলে এবং অধিকাংশ সময় এরা সেই কথার উত্তর শোনার অপেক্ষায় থাকে না।মেয়েটার গল্প আমার মাথায় জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। বাঘবন্দি খেলার কথা আগেই বলেছি এই মেয়েও আমার সাথে খেলাটা খেলছে দেখা যাক খেলা এবং গল্প কোন দিকে যায় ততক্ষণ না হয় বৃষ্টি উপভোগ করা যাক।তপ্ত নগরীতে বৃষ্টির ছিটে ফোঁটা এক হাতে সিগারেট আরেক হাতে চায়ের কাপ পাশে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা মেয়ের কাছ থেকে গল্প শোনা সকালটা আজ মোটেই মন্দ কাটছে না যদিও বুঝতে পারছি না গল্পের শেষটা কোন দিকে যেতে পারে।



গল্পের দ্বিতীয় খণ্ড শুরু হলো মেয়েটার মুখের ভাষায় লেখছি। ছেলেটার সাথে শুধু ফোনে কথা বলার ব্যাপারে নাটকীয়তা ছিলো তা না দেখা করার সময়ও খুব একটা নাটক হয়েছিলো। আমি ছেলেটাকে সাদা শার্ট আর একটা জিন্সের প্যান্ট পড়ে আসতে বলি এবং গোলাপ ফুল নিয়ে আসতে বলি। ছেলেটা এসেছিলো কিন্তু ছেলেটা এত সাধারণ হবে ভাবিনি সাদা শার্ট পড়ে এসেছিলো ঠিকই কিন্তু শার্ট এর এক কোণাই কালির দাগ। গোলাপ গুলো ও মরা মরা। কিন্তু ছেলেটাকে দেখার পড়েই প্রেমে পড়ে যাই। কিন্তু বুঝতে দেইনি। ছেলেটা যতক্ষণ পাশে ছিলো কোন কথা বলেনি। সেবার তার সাথে ১০ মিনিট ধরে বসে থাকার পর আমি উঠে চলে যাই ছেলেটা আমাকে আটকানোর ও চেষ্টা করেনি।



সেদিন প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। রাতে যখন ফোন দিলো ইচ্ছা মতও গালাগালি করলাম এবং ফোন রেখে দিলাম। ছেলেটা কোনও কথা বলেনি। তার পরের দিন থেকে ছেলে গায়েব। আমি ফোন দেই ফোন বন্ধ সে দিন রাতের ব্যাবহারে খারাপ লেগেছিলো কিন্তু সরি বলার জন্য ফোন বন্ধ।



৭ দিন ধরে খোঁজ নেই। একটা জলজ্যান্ত মানুষ চোখের সামনে হারিয়ে গেলে কেমন লাগে সেদিন বুঝলাম। এই ৭ দিনে কম করে হলেও হাজার বারের উপরে ফোন দিলাম ফোন বন্ধ। ৭ দিন পর ছেলের খোঁজ পেলাম। সে নাকি সুন্দরবন গেছিলো একা। ফোন ও নিয়ে যায় নাই। আমি কোনো কিছু চিন্তা না করেই বললাম "I Love You".



ভালোবাসি বলার পড়েই বোধহয় ভালোবাসা শেষ হয়ে যায় এর পরের ব্যাপার গুলো খুব সহজ হয়ে যায়। আমাদের ক্ষেত্রে বোধহয় তাই হলো ঝগড়া লাগতে শুরু করলো চাওয়া না পাওয়ার টানাটানি শুরু হলো। দেখা হওয়া না হওয়া নিয়েও ঝামেলা। আর ওর হারিয়ে যাওয়ার স্বভাব। ও যখন কথা বলতও স্বাভাবিক কিন্তু যখনও জিজ্ঞেস করতাম কই থাকে কোনো জবাব নেই। এভাবে বছর খানেক চলতে লাগলো এর মধ্যে ওর সাথে আরও কয়েকবার দেখা হলও। কিন্তু বছর ঘুরতে আমি ও কিছুটা ওর কাছ থেকে সরে আসলাম। চিনি না জানি না যে নিজেকে ভালো করে আমাকে জানাচ্ছে না তার সাথে আর যায় কোনও সম্পর্ক রাখা যায় না। আমি ব্যাপারটা ওকে জানালাম। আমি যদিও উত্তরটা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। ঠিক সে ভাবেই জানালো তুমি যা চাও।



এর পরে ওর সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ হয়নি বললে ভুল হবে ৩ বছর পর আমার কাছে একটা চিঠি আসে যদিও ততদিনে চিঠির প্রচলন উঠে গেছে ফেসবুক ইমেইলের যুগে চিঠি অনেকটা গুরুত্ব নিয়েই খুললাম। সেবারই আমার সাথে তার শেষ যোগাযোগ। চিঠিটা ডায়েরির ভেতরে আছে। চাইলে পড়তে পারেন।



মেয়েটই চলে গেছে। আমি চিঠিটা নিয়ে বসলাম। মেয়েটার নাম যে কি যদিও জিজ্ঞেস করা হয়নি তা আবার মনে পড়লো। কিন্তু চিঠির প্রথমেই মেয়েটার নাম লেখা। গল্পের স্বার্থেই চিঠিটা নিয়ে আর লেখলাম না। কিছু কিছু সত্য সবার জানতে নেই। এই মেয়েটই যেমন সে দিন জানতো না। আমি ও আজ আপনাদের জানাতে চাচ্ছি না। অনেক সময় ইচ্ছে করেই হোক অনেক কিছুই গল্পকারদের লেখতে হয়। যেমন ধরুন অনেকই অনেক রকম কিছু আশা করতে পারে গল্পটা নিয়ে নায়কের কি হলো। তখন আমরা করি কি খুব সাধারণ কিছু কথা লেখে ফেলি। "অনেক দিন ধরেই তাহার সহিত আমার দেখা নাই। কেহই তাহার খোঁজ দিতে পারে না। অনেক দিন পর তাহাকে নদীর তীরে বসিয়া থাকিতে দেখা গেলো। সেথায় সে মনের আনন্দে বিড়ি ফুকাইতেছিলো "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.