নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইল ঠিকানা: [email protected]

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

দুরন্ত ইসলাম

আমি দিদারুল ইসলাম দুরন্ত। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। সাহস না পেলে আমাকে মেইল করুন। আমি প্রতিবাদ করব, ব্লগে, পত্রিকায়, রাজপথে। আমার মেইল ঠিকানা: [email protected]

দুরন্ত ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন: একই অঙ্গে কত রূপ!

১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩২

তিনি আমার মতো অনেকেরই প্রিয় এক জন মানুষ। ১৯৯০ সালে সবাই যেন এক বাক্যে তাকে বেছে নিয়েছিল নিরপেক্ষতার মূর্ত প্রতীক হিসাবে। কিন্তু তিনি কতটা সঠিক ছিলেন সেই প্রশ্ন তো আসতেই পারে। বিচারপতি এএসএম সায়েম থেকে শুরু করে বিচারপতি কে এম হাসান সবাই ব্যবহৃত হয়েছেন রাজনৈতিক ভাবে।ফলে বিচারপতিগণ সংবিধানের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারেন নি। এটা একটা দুঃখের কথা। এ দুঃখ সবার।



১৯৭৫ সালে বিচারপতি সায়েম যেমন পারেননি সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে তেমনি বিচারপতি সাহাবুদ্দিনও ১৯৯০ সালে চরম ভাবে উদাসীন ছিলেন সংবিধানের প্রতি। এই কারণে একই সাথে তিনি ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানবিচারপতি। তবে মূলত: তিনি ছিলেন এরশাদের উপরাষ্ট্রপতি। ব্যাপারটি কেমন যেন দৃষ্টিকটু লাগে।



আমাদের মাননীয় বিচারপতিরা অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক পদ-পদবীর লোভের উর্ধ্বে উঠতে পারেননি। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের দুভার্গ্য সেখানেই। ফলে আমরা দেখতে পাই, বিচারপতি সায়েম হন রাষ্ট্রপতি। আরো কয়েক জন বিচারপতি আবার উপরাষ্ট্রপতিও হন। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ আরো ব্যতিক্রম।



নয় বছরের গণআন্দোলনের পর সেনাশাসক এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে রাজী হন ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। তিন জোটের নেতারা খুঁজে কোন নিরপেক্ষ লোক পাননি যার কাছে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বিদায় নিতে পারেন। অবশেষে তারা গিয়ে ঠিক করলেন ততকালীন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে। তিনি কিন্তু সাবেক বিচারপতি ছিলেন না। এক জন দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি যে অপ্রিয় কাজটি করলেন তা হলো, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায়ই তিনি এরশাদের উপরাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করলেন। এটা কি ভাবা যায়! একজন প্রধানবিচারপতির কাছে এটা অপ্রত্যাশিত। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, তিনি ছাড়া দেশে আর কেউ নিরপেক্ষ লোক একজনও ছিলেননা। তাহলেও বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর উচিত ছিল প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তারপর এরশাদের উপরাষ্ট্রপতির পদ নেয়া। তারপর এরশাদ পদত্যাগ করলে তিনিই হতে পারতেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

তিনি তা করতে চাননি। তিনি গাছেরও খেতে চেয়েছেন আবার তলারও কুড়াতে চেয়েছেন।



একবার ভেবে দেখুন তো, কোন ব্যক্তি যদি ঐ সময়ে তার এই কাজের বিরুদ্ধে রিট করতো তাহলে কি হতে পারত? তাহলে তো আম আর ছালা দুটোই যেত। ভাগ্য ভাল যে, কেউ রিট করেনি।



অন্যেরা কি মনে করেন জানি না। তবে আমি বিচারপতিদেরকে অনেক মর্যাদার আসেন শ্রদ্ধা করি। তাদের কোন ত্রুটি মেনে নেয়া আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। কেননা, তারা জাতির শেষ ভরসার স্থল।তাদের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেক।



তারপরও মেনে নিলাম তিন জোট এটা জেনেশুনেই হয়তো করেছে। কারণ জোটের কেউ মামলা না করলে আর কে করব? কার এতো সাহস আছে?



কিন্তু ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর তিনি যখন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আবার প্রধানবিচারপতি পদে ফিরে গেলেন তখন ভাবলাম, না সব বোধ হয় ঠিকই আছে। কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গল ১৯৯৬ সালে ১২ ই জুনের নির্বানের পর। ঐ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এই সরকারের কয়েক মাসের মধ্যেই তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদ শেষ হয়। নতুন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ। ব্যাপারটা মানতে কষ্ট হয়। ১৯৯০ সালে তিনি নিরপেক্ষ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি একটি দলের হয়ে কেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করলেন? এতে কি তার নিরপেক্ষতার ইমেজ আর বজায় থাকে?



আবার নির্বাচিত হবার পর ও তিনি যেই দল তাকে রাষ্ট্রপতি বানাল সেই দলের সরকারকে অনেক নাকানী-চুবানিও খাইয়েছেন। যেটার থেকে বিএনপি দেরীতে শিক্ষা নিয়ে ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি বানায়। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এক মাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি সংসদে পাস হওয়া বিলে স্বাক্ষর না করে আবার সংসদে ফেরত পাঠান। এই রকম সাহস অবশ্য বি চৌধরী বলুন আর ইয়াজ উদ্দিনই বলুন কেউ দেখাতে পারতেন বলে মনে হয় না।



বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ৫ বছরে একবারো তার দলের ( যে দল তাকে নির্বাচিত করেছে) শ্লোগান “জয় বাংলা” বলেননি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের প্রথম অধিবশেন প্রদত্ত ভাষণে বেশ আবেগ সহকারেই “বাংলাদেশ জিন্দবাদ” বলেন যা মানুষের দৃষ্টি এড়ায়নি।



দোষে-গুণে মানুষ। তবে অনেক বড় মানুষ যারা তাদের দোষ-গুণের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। কারণ তাদের গুণের কারণে যেমন অনেক মানুষ উপকৃত হয় আবার তাদের দোষের কারণে লাখ লাখ মানুষ অবলীলায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।



শুধুমাত্র এক জন্য ব্যক্তির জন্য সংবিধান সংশোধন ভাবা যায়! বাংলাদেশে তাও হয়েছে। জিয়ার মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার যাতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে পারেন তার জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল। আবার একই কাজ ১৯৯১ সালে করা হল যাতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ আবার তার আগের পদে ফিরে যেতে পারেন যা একাদশ সংশোধনী নামে পরিচিত। আমাদের সংবিধানের একটি বড় দোষ আছে আছে অবৈধ সামরিক শাসকরা কাজে লাগাতে সফল হয়েছেন । তাহল পাপ করে পরে পাপকে জায়েজ করার সুযোগ । অর্থাৎ সব অসাংবিধানিক কাজ করার পর নিবাচন করে নতুন সংসদে সব জায়েজ বলে পাস করে নেয়া।



এই কারণেই বার বার সেনাশাসন নেমে এসেছে এদেশে। ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে আমাদের সংবিধান।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৪/-১১

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪০

ফিরোজ-২ বলেছেন: পড়লাম, জানলাম ভালো লাগলো +

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:২৭

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: এত বাজে আর এত বেশি ভুল তথ্যে ভরা পোস্ট মনে হয় না সাম্প্রতিককালে পড়সি বলে। লেখার লাইনে লাইনে ভুল তথ্য, লাইনে লাইনে মিথ্যা কথা।

হয় আপনি ওইকালে খুব ছোট ছিলেন তাই আপনার কিছু মনে নাই, নাহলে আপনার সাথে শাহাবুদ্দিন সাহেবের কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে, আর নাহলে আপনি একটা বিশাল বেকুব।

প্লাস-মাইনাস আমি দিতে পারি। চরম নিন্দা জানাইলাম এবং আপনার বেকুবির জন্য শরম দিয়া গেলাম।

ধ্যুত।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:২৯

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনার চরম নিন্দা আমি গ্রহণ করলাম। এটা গণতন্ত্রেরই অংশ।
আপনি মনে হয় উনার প্রেস সেক্রেটারি। কাজ চালিয়ে যান। কাজে লাগবে।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

দুখী মানব বলেছেন: হুমম ঠিক

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩০

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

সিনসিয়ার বলেছেন: :| :| :|

২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫১

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: আপনার তোলা প্রথম প্রশ্নটি চিন্তার দাবী রাখে, কিন্তু পরবর্তী কয়েকটি বিষয় (রাষ্ট্রপতি হওয়া সংক্রান্ত) নিতান্তই অকাজের বলে মনে হল।

রাষ্ট্রপতি পদধারীকে সম্পূর্ণ দলীয় হতে হবে, এমনটা ভাবার অবকাশ আমাদের সংবিধানেও কি আছে? সেইক্ষেত্রে, তার রাষ্ট্রপতি নিয়ে কথা উঠবে কেন?

আর সবচেয়ে হাস্যকর লেগেছে যখন "দলীয়" একটা পদ নেওয়ার অভিযোগ করে তারপর কেন সেই দলকে "নাকানি চুবানি" খাওয়ালেন, সেটা নিয়েও অভিযোগ!

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৫

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ব্যাপারটা মানতে কষ্ট হয়। ১৯৯০ সালে তিনি নিরপেক্ষ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি একটি দলের হয়ে কেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করলেন? এতে কি তার নিরপেক্ষতার ইমেজ আর বজায় থাকে?

সব চেয়ে বড় কথা তিনি সংকীর্ণ লোভ-লালসার উর্ধেব উঠতে পারেননি।

৬| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫২

দাসত্ব বলেছেন:

১.
ভালো ভাবে না জেনে পোস্ট করলেন কেন বুঝলাম না।
বাংলাদেশে অনেক সুশীল আছে প্রথম আলোর শেল্টারে যারা ভুয়া।
এই মানুষটা ১০০% নির্লোভ।
আপনার বোধহয় জানা নেই পলিটিক্যাল স্টান্টবাজির জন্য হাসিনা তাকে কি ধরনের পায়ে ধরা টাইপ অনুরোধ করে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন।

বিশ্বাস না হলে আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনকে জিঝ্ঞেস করুন।
কারন ১ টাই , বিচারপতি সাহাবুদ্দীন এমন ১ জন ব্যক্তিত্ব যার সামনে অনেক সুশীল সিম্পলি ফালতু!
২.
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এক মাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি সংসদে পাস হওয়া বিলে স্বাক্ষর না করে আবার সংসদে ফেরত পাঠান। এই রকম সাহস অবশ্য বি চৌধরী বলুন আর ইয়াজ উদ্দিনই বলুন কেউ দেখাতে পারতেন বলে মনে হয় না।

এই রকম সাহস তার ছাড়া আর কারো আসলেই নেই।
২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারার পর আগা চৌ উনাকে বাজে ভাবে অপমান করেছিলো।
উনি স্ট্রেইট ঐ লন্ডন রিসাইডিং দালাল টাকে প্রথম আলোতে রিপ্লাই দিয়েছিলেন প্রথম পাতায়:
"আমি এমন কোন দাসখত দিয়ে রাষ্ট্রপতি হইনি যে আওয়ামী লীগকে জেতানোর দায়ভার আমাকে নিতে হবে।"
"দেবতুল্য/ নরাধম" শিরোনামের পর দেশজুড়ে আগা চৌ ব্যাপক নিন্দিত হয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন তাকে পায়ে ধরে যে হাসিনা রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন।
৩.

এরশাদের সময় তিনি মূলত এখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনি কি চাইতেন এরশাদের অধীনে ৯১ এর নির্বাচন হোক?

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: তাই বলে সংবিধান লংঘন করে! প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায়ই তিনি এরশাদের উপরাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করলেন। এটা কি ভাবা যায়! একজন প্রধানবিচারপতির কাছে এটা অপ্রত্যাশিত। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, তিনি ছাড়া দেশে আর কেউ নিরপেক্ষ লোক একজনও ছিলেননা। তাহলেও বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর উচিত ছিল প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তারপর এরশাদের উপরাষ্ট্রপতির পদ নেয়া। তারপর এরশাদ পদত্যাগ করলে তিনিই হতে পারতেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
তিনি তা করতে চাননি। তিনি গাছেরও খেতে চেয়েছেন আবার তলারও কুড়াতে চেয়েছেন।

৭| ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫২

লুকার বলেছেন:
নষ্ট মানুষের দেশে সাহাবুদ্দিন, হাবিবুর রহমানের মত ভাল মানুষ আছে দেইখা অবাক হৈছিলাম। সেই সাহাবু্দ্দিনের গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছেন আপনে। আপনার রুচির বিষয়ে কিছু কইতে চাই না, আর উ্দ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪১

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০২

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: সাহাবুদ্দিনরে নিয়া কথা যখন উঠলৈ, উনার একখান মজার কিন্তু সইত্য ঘটনা শেয়ার করি:

একবার "নিখিল বাংলাদেশ ভাগ্য গণক সমিতি" বা এই টাইপ কিছু থিকা বেশ কিছু গণক গেছেন তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে। শাহাবুদ্দীন তাদের কে যা বললেন, সেইটা হইল মোটামুটি এইরকম

"দেখেন, আমি ভাগ্য গণনায় বিশ্বাস করিনা, ইসলামী মতেও এই কাজটা ভাল না, আপনাদের এই পেশটাকে আমি মোটেও ভাল চোখে দেখিনা, আর আপনারা যদি আসলেই ভাগ্যগণক হতেন, তাহলে আগেই জানতে পারতেন যে আমি আপনাদের সাথে একেবারেই ভাল ব্যবহার করবনা, এবং আপনারা তখন আর এইখানে আসার কষ্ট করতেন না।"

:) :)

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: সুন্দর রূপকথার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

একটু বর্ষা... বলেছেন: ব্ল্যাকম্যাজিসিয়ান বলেছেন: এত বাজে আর এত বেশি ভুল তথ্যে ভরা পোস্ট মনে হয় না সাম্প্রতিককালে পড়সি বলে। লেখার লাইনে লাইনে ভুল তথ্য, লাইনে লাইনে মিথ্যা কথা।

হয় আপনি ওইকালে খুব ছোট ছিলেন তাই আপনার কিছু মনে নাই, নাহলে আপনার সাথে শাহাবুদ্দিন সাহেবের কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে, আর নাহলে আপনি একটা বিশাল বেকুব।

প্লাস-মাইনাস আমি দিতে পারি। চরম নিন্দা জানাইলাম এবং আপনার বেকুবির জন্য শরম দিয়া গেলাম।

ধ্যুত।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: সত্য কথা শুনলে বালাদেশের মানুষের গা জ্বলে! কোন লাইনটা ভুল? পারলে ব্যাখ্যা করুন।

১০| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

টুটুল বরকত বলেছেন:
এত বাজে আর এত বেশি ভুল তথ্যে ভরা পোস্ট মনে হয় না সাম্প্রতিককালে পড়সি বলে। লেখার লাইনে লাইনে ভুল তথ্য, লাইনে লাইনে মিথ্যা কথা।
@দাসত্ব
@একটু বর্ষা...
@ব্ল্যাকম্যাজিসিয়ান


ভুল তথ্য,মিথ্যা কথাগুলো জানতে চাই ।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৮

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: কোন গুলো মিথ্যা? পারলে জানান। ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: লুকার বলেছেন:
নষ্ট মানুষের দেশে সাহাবুদ্দিন, হাবিবুর রহমানের মত ভাল মানুষ আছে দেইখা অবাক হৈছিলাম। সেই সাহাবু্দ্দিনের গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছেন আপনে। আপনার রুচির বিষয়ে কিছু কইতে চাই না, আর উ্দ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫০

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: যার গায়ে কালি লেগেই আছে তার গায়ে আমি কি করে কালিমা লেপন করব?

আপনাকে ধন্যবাদ। মুক্ত মন নিয়ে চিন্তা করুন। মনে রাগ রাখলে হবে না। ভাল থাকুন।

১২| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১৮

ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: @টুটুল বরকত, ভাই পুরা পোস্টই ভুল আর মিথ্যা। :D এই পোস্টের কাটাছেড়া করতে গেলে আমারে পোস্টের ডাবল সাইজের একটা কমেন্ট লিখতে হবে।

ফাও কথা লিখাও একটা আর্ট। সত্য এবং মিথ্যার মিশ্রন সুনিপুনভাবে করতে হয় যাতে লোকে বিভ্রান্ত হয়ে মিথ্যাকেও সত্য ভাবে। এই পোস্টে কোন কথাই সত্যি না, ১০০% জেনুইন মিথ্যা। :D :D :D

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫২

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আবেগ দিয়ে নয়, যুক্তি দিয়ে কথা বলুন। কোন জায়গায় মিথ্যা তাই তো বলতে পারলেন না।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১৯

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: হমমমমমমম

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৪

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: হুমমমমমমমমমমমম! ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

গডফাদার০২ বলেছেন: ৯০ এ কোন প্রেক্ষাপটে সাহাবুদ্দিন প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন সেটা আগে জেনে তার পর পোষ্টালে ভালো করতেন। মাইনাস দিলাম।

একজন নির্লোভ লোক, যিনি প্রয়োজনে রাষ্ট্রের হাল ধরেছিলেন এবং তার কর্তব্য পালন শেষে আবার ফিরে গিয়েছিলেন তার নিভৃত জগতে, এবং যার সততা প্রবাদতুল্য, তার গায়ে কালি মাখানোর এ চেষ্টা কে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু দেবার নেই।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৭

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: যার গায়ে কালি লেগেই আছে তার গায়ে আমি কি করে কালিমা লেপন করব?

আপনাকে ধন্যবাদ। মুক্ত মন নিয়ে চিন্তা করুন। আবেগ দিয়ে দিয়ে নয় । মনে রাগ রাখলে হবে না। ভাল থাকুন।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

টুটুল বরকত বলেছেন:

ব্ল্যাকম্যাজিসিয়ান বলেছেন:এই পোস্টের কাটাছেড়া করতে গেলে আমারে পোস্টের ডাবল সাইজের একটা কমেন্ট লিখতে হবে।

কমেন্ট না ,নতুন পোস্টই দিয়ে দেন ।

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৯

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:০২

দাসত্ব বলেছেন: @ টুটুল বরকত :
১.
হাসিনা যে উনাকে পায়ে ধরে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিলো সেই তথ্য তো জানালামই।
২.
আর উনি যে ১ মাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি সংসদে পাস হওয়া জী হুজুরী বিল বাউন্স করানোর সাহস রাখেন।
৩.
এরশাদের বিষয়ে যেটা এই লেখক অল্পজ্ঞানে বলে ফেললেন সেটার ব্যাপারে ইতোমধ্যে বলেছি তিনি ৯১ এর ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব টাই নিয়েছিলেন।

৪. তার চারিত্রিক দৃড়তার আরেকটি প্রমান রেখে গেলাম যেটা আগে থেকেই জানতাম , উইকিতেও পেলাম:
জাস্টিস সাহাবুদ্দীন আহমেদ
পড়ে দেখুন এক্সার্প টি , অনুবাদের প্রয়োজন হলে বলবেন:

HM Ershad challenged the action of Shahabuddin Ahmed to arrest him, which went all the up to the Supreme Court of Bangladesh. On a ruling [1] by the Supreme Court of Bangladesh, Ershad's arrest by the caretaker government led by Justice Shahabuddin Ahmed was declared illegal. Ershad was in jail from 1991 to 1996.

৫.
আগাচৌ এর মত দালালকে উনি যেই জবাব দিয়েছিলেন এরপর ঐ দালাল "পোট্রেট অব এ ট্রেইটর" এর মত কলাম ২য় বার লেখার সাহস পায়নি এবং প্ড়চন্দ নিন্দিত হয়েছিলো।

৬.
উনার সারাজীবনে উনি কোন রাজনৈতিক সুশীল সভায় ও যোগদেননি যেখানে হাবিবুর রহমান , কে এম সোবহান , ডঃ কামাল , ডঃ এম জহির সহ আরো অনেক টপ ক্লাস সুশীলদের রাজনৈতিক পরিচয় পরিষ্কার!
উনি ২০০১ এর পর স্পষ্টভাবে বলেছিলেন : "আমি দাসখত দিয়ে রাষ্ট্রপতি হইনি আওয়ামী লীগকে জেতানোর দায়ভার নিয়ে"

৭.
আসল কথা শেখ মুজিবের যেই স্বভাব ছিলো , তার মেয়ে এবং তার অনুসারিদের ও একই অবস্থা।
এরা সবাই জী হুজুরী লোক কে পছন্দ করে।
তাজউদ্দিনন আহমেদ এই স্বভাবের ছিলেন না বলে শেখ মুজিবের কাছে অপমানিত হয়েছিলেন।

সাহাবুদ্দীন যে হবেন সে আর ব্যতিক্রম কি ?

১৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০১

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার চরম আবগেপূর্ণ মতামতের জন্যঅ ভাল থাকবেন।

১৭| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৮

সাধারণমানুষ বলেছেন: আগে সাহাবুদ্দিন এর ব্যাপারে ভালো ভাবে খোজ নেন তারপরে পোষ্ট দেন।

এক জন দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি যে অপ্রিয় কাজটি করলেন তা হলো, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায়ই তিনি এরশাদের উপরাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করলেন। এটা কি ভাবা যায়! একজন প্রধানবিচারপতির কাছে এটা অপ্রত্যাশিত।
৯০ এর ঐ সময়ের যে কোন আওয়ালিগ কিংবা বিএনপির নেতাকে প্রশ্ন করুন ঐ সময়ে কয় জনের কাছে তারা ঘুরে ফিরেছে উপরাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করার জন্য ??? কেউ ভয়ে রাজি হয়নি , সবাই সামরিক শাসককের ভয়ে ছিল কম্পমান। সেই অবস্তায় বিচারপতি সাহাবুদ্দিন কে রীতিমত দুই নেত্রী হাত পা ধরে , দেশের কথা বলে রাজি করিয়েছিলেন।

১৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০৩

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: তাই বলে সংবিধান লংঘন করে?

১৮| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৪০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: মাইনাস। নিন্দা জানাই

১৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০৬

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: মাইনাস ও নিন্দা জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে বেশী আবেগ ভাল নয়। যুক্তি দিয়ে চিন্তা করুন, কথা বলুন। ভাল থাকবেন।

১৯| ১৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

সাইফুল আলম সারোয়ার বলেছেন: আসলে বেশী হিট পাওয়ার জন্যই মনেহয় আপনি এমন একটা বিষয় বেছে নিয়েছেন। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সময়ের প্রয়জনে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, নিজের প্রয়োজনে নয়।

".............“জয় বাংলা” বলেননি। ..................“বাংলাদেশ জিন্দবাদ” বলেন যা মানুষের দৃষ্টি এড়ায়নি।"

আপনার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি এখনও 'বাংলাদেশ জিন্দবাদ”' সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রীয় শ্লোগান, 'জয় বাংলা' নয়। তাই বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরাও সংসদে 'জয় বাংলা' বলেন না, এবং রাজনৈতিক কারনে 'বাংলাদেশ জিন্দবাদ”' এর পরিবর্তে 'বাংলাদেশ চিরজীবি হোক' বলে থাকেন। আশাকরি এখন আপনি বুঝতে পারবেন কেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন জয় বাংলা” বলেননি আর “বাংলাদেশ জিন্দবাদ” বলেছেন।

সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক পদের পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা যদি আপনার থাকতো তাহলে আপনি এমন প্রশ্ন রাখতেন না। প্রেসিডেন্ট
একটি সাংবিধানিক পদ। এই পদে বসার পর কেউ দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারেন না।

আপনার মনে থাকার কথা, বর্তমান মাননীয় প্রেসিডেন্ট জনাব জিল্লুর রহমান কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পর উনাকে দলের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। তার মানে উনাকে দল থেকে অব্যাহতি নিয়েই প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হতে হয়েছে।

কোন বিষয়ে সমালোচনা করার আগে সে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা উচিৎ।

ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫২

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৫:১২

শয়তান বলেছেন: পর্যবেক্ষনে নিলাম ।

২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৩

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪২

অবিবর্তিত বলেছেন: পোষ্টটা ভাল্লাগে নাই।

""তাই বলে সংবিধান লংঘন করে? ""

সংবিধান লংঘন নিয়া লেখক বেজায় নাখোশ।এদেশের সংবিধান অনেকবার লংঘন, অনেকবার সংশোধন হয়েছে । যদি প্রত্যেকবার ই সাহাবুদ্দিন সাহেবের মত লোকজনের জন্য এটা হত দেশটা আজকের থেকে অনেক সুন্দর হত।

""একজন নির্লোভ লোক, যিনি প্রয়োজনে রাষ্ট্রের হাল ধরেছিলেন এবং তার কর্তব্য পালন শেষে আবার ফিরে গিয়েছিলেন তার নিভৃত জগতে, এবং যার সততা প্রবাদতুল্য, তার গায়ে কালি মাখানোর এ চেষ্টা কে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু দেবার নেই।""....সহমত


""লেখক বলেছেন: যার গায়ে কালি লেগেই আছে তার গায়ে আমি কি করে কালিমা লেপন করব? ""....

সাহাবুদ্দিন সাহেবের গায়ে কালি লেগে নেই। আপনিই শুধু তাকে এমনটা ভাবছেন। তার নাম জানে এমন প্রায় সবার কাছেই তিনি ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত।রেফারেন্স বা পরিসংখ্যান ছাড়াই বললাম কথাটা। আমার জ্ঞান সীমিত।সবার কথা বলতে পারি না; আমার পরিচিত এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক অনেকেরই ধারনা তিনি না থাকলে আ: লীগ হয়তে ২০০১ এ ফেল করত না। কিন্তু তাকে অসততা বা দুর্ণীতির দায় দিতে আগা চৌ এবং আপনি ছাড়া আর কাউকে দেখিনি।

২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৩

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আবেগর্পূণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.