![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের পথে একটা অনুকূল অবস্থা হলো, এর উদ্যোক্তারা আবারো দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। অতএব, ভিশন বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্থিরীকৃত লক্ষ্যের দিকে ঠেলে দিতে তাদের তেমন অসুবিধা হবার কথা নয়। কিন্তু, কার্যত এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রা কাঙ্ক্ষিত গতিপ্রাপ্ত হচ্ছে না। বস্তুত, এখনও এই ভিশনকে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনে রূপদান সম্ভব হয়নি। তবে তা হতাশার চাইতে পুনরুদ্যোমের কথাই বেশি মনে করিয়ে দেয়। জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলও রকমারি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে শম্ভুকগতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশেও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের পথে সীমাহীন চ্যালেঞ্জ। তবে উন্নয়ন প্রত্যাশী গণমানুষই শেষ ভরসার জায়গা।দু হাজার একুশ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রাখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই লগ্নে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, সেটাই বস্তুত ভিশন ২০২১-এর মূল কথা। নতুন সহস্রাব্দে পদার্পণের পর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এক নিরাপদ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়। জাতিসংঘ যেমন মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল -এ ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করা শুরু করে, বাংলাদেশও তেমনি এই বৈশ্বিক উন্নয়ন-শোভাযাত্রায় সহযাত্রী হিসাবে অংশ নিতে ভিশন ২০২১-এর ব্যানার নিয়ে এগিয়ে আসে। এই রাজনৈতিক স্বপ্ন-দর্শনের কথা প্রথমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে উচ্চারিত হলেও পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে তা সরকারি রূপ পরিগ্রহ করে। অনেক রাজনৈতিক সংঘাত, হতাশা ও বিভ্রান্তি পেরিয়ে গণমানুষের প্রবল প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি হিসাবে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে—তরুণ প্রজন্মের কাছে ভিশন ২০২১-এর মহাপরিকল্পনা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। স্বদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এক মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে দেয়ার সাধ সবারই জাগে। কিন্তু সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ফারাকও তো অনেক। বস্তুত, অসীম সাধ এবং সীমিত সাধ্যের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য সমন্বয় সাধন করাই অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই ভিশন ২০২১ সফল করাও একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ, তবে তা দুঃসাধ্য নয়।
©somewhere in net ltd.