নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কথা এবং কবিতা

আমি এবং আমার কথা, কবিতা, গান, আমার অবসরের নাম।

ইথার আহমেদ

আমি একজন বাঙ্গালী আর এইটাই আমার বড় পরিচয়। আমি আমার কথাগুলো লিখি আমার চিন্তা থেকে অথবা আড্ডা থেকে। নিজের জীবন থেকে শিখে কিংবা অন্য কারো জীবন কে দেখে আমার লেখা। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই আমার লেখা হয়তো গুছানো হবে না। ভুল গুলো ক্ষমা সুলভ চোখে দেখে আমাকে জানাবেন। আর আমায় কেও কোনো রাজনীতির সাথে মিশাবেন না। আমি রাজনীতি কে এখনো পছন্দ করতে পারিনি। যদিও কারো কারো কিছু ভালো কে সব সময় সমর্থন দেই, আবার খারাপ লাগলে সেটাও বলি। এটা আমার স্বাধীনতা মুখ ফুটে কিছু বলা। তাই আমার বলা কারো খারাপ লাগলে আমায় জানাতে পারেন, সেটা যদি খারাপ হয় আমি বুঝে নিবো আর বলবো না সেটা। আর আমায় কেও আবার রাজাকার উপাধি দিয়েন না, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। যেহেতু রাজাকারের নাতী কখনই রাজাকার হয় না, রাজাকারের সন্তান ও রাজাকার হয় না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকার হতে পারে না। আবার কেও আমায় জঙ্গি, শিবির কর্মী ও ভাব্বেন না প্লিজ। আমি সাধারন মানুষ, এতো কিছু নিয়ে চলার সময় নাই। মরতে হবে, তাই সম্মানের সাথেই মরতে চাই। যাতে পরকালে আমায় না বলতে হয় কেনো আমি মুসলিম হয়ে ইসলামের ভুল প্রকাশ করলাম।

ইথার আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার জন্য শাহবাগের আন্দোলন আর দেশের এই অবস্থা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

শাহবাগের প্রতীবাদ এখন যদি মানুষের মাঝে জায়গা না রাখে, সন্দেহের সৃষ্টি করে, ধিক্কার এর সৃষ্টি করে, আফসোস এর সৃষ্টি করে, তবে সব কিছুর জন্য দায়ী ওই সকল ছাগুর জন্যই যারা রাজাকারের ফাঁসির বেপার টা কে কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়ে থাবা বাবা কে নিয়ে ফালাফালি শুরু করেছিল, যারা প্রমান করতে চেয়েছিল থাবা বাবা দেশ প্রেমিক, কিংবা এই জনমের যোদ্ধা। তাদের জন্য তোমাদেরই প্রিয় একজনের একটা লাইন বলি "শত্রুর গুলিতে/আক্রমনে কেও মরলেই শহীদ/যোদ্ধা হয় এমন কোন হাদিস/কথা কোথাও পাই নাই"। জি এই লাইন টা আপনাদের প্রিয় থাবা বাবার। তার নিজের কথাই যদি আপনারা একটু ভাবতেন তবে এতো লাফালাফি করতেন না। যখন দেশ সোচ্চার রাজাকারের বিচার এর জন্য, তখন তোমরা সোচ্চার হলে একজন ধর্ম বিদ্বেষী (যদি সন্দেহ থাকে তবে থাবা বাবার প্রোফাইল ঘুরে আসেন, এইটা কারো ফেক প্রোফাইল না, নিজে বলদ হবেন না এইসব ভেবে) কে শহীদের মর্যাদায় বসাতে। সুযোগ টা সরকার ও কাজে লাগালো, অথচ বিশ্বজিৎ এর সময় সরকার কম্বলের নিচে পালিয়ে ছিল লজ্জায়। যাই হোক, এখনো সময় আমরা কে মরলো, কে বাচলো টা নিয়ে না লাফালাফি করে রাজাকারের বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাই। অনেক হইছে ফালতু একটা বিষয় নিয়ে লাফালাফি করে দেশের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা। আর না। একটু বিবেক কে ব্যাবহার করুন। আপনাদের জন্য আজ কিছু সাধারন মানুষ পুলিশের গুলিতে মরছে, আগুনে পুড়ছে। আবারো সুযোগ নিচ্ছে সরকার। সরকার কে সুযোগ করে দেয়া যদি হয় মূলনীতি তবে ছাগু আমরাই। সরকারই শুরু করলো রাজাকারের ফাসি না দিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার। আর আজো সরকার সেই সুযোগ নিয়ে যাচ্ছে আমাদের ছাগ্লামির কারনে।



দাবি একটাই, রাজাকারের ফাসি... কাওকে শহীদ বানানো কিংবা জামাত শিবির বাতিল না। শুধু মাত্র জামাত শিবিরই রাজাকার না, রাজাকার লুকিয়ে আছে অন্য দলেও। তাই দল নিয়ে মাতামাতি না করে রাজাকার কে খুজে ওদের ফাঁসি দিয়ে দেশ কে কলংক মুক্ত করতে হবে। জামাত শিবির নিষিদ্ধ হলেও যারা এতোদিন ধরে রাজনীতি করছে তারা কোনো না কোনো দলে যাবেই (আমি তো মনে করি আওয়ামীলীগ নিজেই শক্তিশালী নেতাদের নিজেদের দলে নিয়ে নিবে, কারন আওয়ামীলীগ একটা স্বার্থপর দল - প্রমাণের জন্য ১৯৮৮ এর পরের ঘটনা গুলো দেখেন)। তাই জামাত শিবির নিয়ে মাতামাতি না করে রাজাকার দের ফাঁসির দাবি অটল রাখি আমরা।



ধর্ম যার যার, দেশ সবার। কথাটা আরেকটু বিস্তারিত করতে গেলে বলবো, ধর্ম নিয়ে আমরা যদি কম জানি, তবে সেটা নিয়ে না কথা বলাই স্রেয়, আর যার যার ধর্ম সে পালন করবে আর কারো অধিকার নাই কারো ধর্ম নিয়ে কিছু বলার বা লিখার। আমাদের সংবিধান এও নাই এইটা। তাই কেও যদি এই রকম কিছু লেখে যেটা ধর্ম কে অবমাননা করা হয় তবে তাকে শহীদ না, বরং ফাঁসির দাবি করা উচিৎ। প্রতি ধর্মেই দেশ প্রেম নিয়ে বলা আছে। তাই দেশ প্রেম দেখাতে যেয়ে ধর্মের অবমাননা করলে সেই মানুষের মাঝে দেশ প্রেম আছে বলে আমি একদম ই মানতে পারি না।



আমি শুধু মাত্র আমার মনের কথা গুলো লিখি। কারো খারাপ লাগলে বলবেন। গালি মারতে চাইলে (ভদ্রতার অভাব থাকলে) সেটাও মারতে পারেন। তবে আমায় জানিয়ে, গপনে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.