![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাঙ্গালী আর এইটাই আমার বড় পরিচয়। আমি আমার কথাগুলো লিখি আমার চিন্তা থেকে অথবা আড্ডা থেকে। নিজের জীবন থেকে শিখে কিংবা অন্য কারো জীবন কে দেখে আমার লেখা। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই আমার লেখা হয়তো গুছানো হবে না। ভুল গুলো ক্ষমা সুলভ চোখে দেখে আমাকে জানাবেন। আর আমায় কেও কোনো রাজনীতির সাথে মিশাবেন না। আমি রাজনীতি কে এখনো পছন্দ করতে পারিনি। যদিও কারো কারো কিছু ভালো কে সব সময় সমর্থন দেই, আবার খারাপ লাগলে সেটাও বলি। এটা আমার স্বাধীনতা মুখ ফুটে কিছু বলা। তাই আমার বলা কারো খারাপ লাগলে আমায় জানাতে পারেন, সেটা যদি খারাপ হয় আমি বুঝে নিবো আর বলবো না সেটা। আর আমায় কেও আবার রাজাকার উপাধি দিয়েন না, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। যেহেতু রাজাকারের নাতী কখনই রাজাকার হয় না, রাজাকারের সন্তান ও রাজাকার হয় না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকার হতে পারে না। আবার কেও আমায় জঙ্গি, শিবির কর্মী ও ভাব্বেন না প্লিজ। আমি সাধারন মানুষ, এতো কিছু নিয়ে চলার সময় নাই। মরতে হবে, তাই সম্মানের সাথেই মরতে চাই। যাতে পরকালে আমায় না বলতে হয় কেনো আমি মুসলিম হয়ে ইসলামের ভুল প্রকাশ করলাম।
আগে আমরা বিনোদন মানেই বুঝতাম গান, নাচ, আড্ডা মারা। আর এখন শিশু রা ককটেল শুনলেই সেরকম মজা পায়। তাই এক কথায় ককটেল এক বিনোদনের নাম।
গতকাল আমার বন্ধুর মেয়ের জন্মদিন ছিল। আমরা প্রায় অনেক বন্ধু আর যাদের বউ বাচ্চা আছে ওরাও গেলাম। প্রথমে খুব আড্ডা দিচ্ছিলাম, খোজ খবর নিচ্ছিলাম সবাই আর বেলুন ফুলাচ্ছিলাম মামোনির জন্য।। অতঃপর যখন কেক কাটার সময় হলো তখন আমরা সেই বেলুন ফাটাচ্ছিলাম আর মজা করতেছিলাম। কিন্তু এক বন্ধু তখন বল্লো ২ ৩ টা ককটেল ও ফাটাতে পারলে ভালো হতো। কারন 'ককটেল' এক বিনোদনের নাম। আজকাল ককটেল ফুটলে মানুষ মজা পায় কারন ককটেল কারো ক্ষতি করে না, সব সময় যেখানে কেও নাই সেখানেই ফুটে। এমনকি ককটেল ফাটা এতো মজার বেপার হয়ে গেছে যে রিকসার টায়ার ফাটলেও মানুষ হাসতে হাসতে বলে "আরে দূর ককটেল ফুটাইছে কেও মনে হয়"।
গন জাগরণ মঞ্চ (নাম টা আমার পছন্দ না এখন যদিও) যেখানেই হয় সেখানেই মঞ্চের পিছনেই শুধু ককটেল ফুটে। আর সংবাদ এ সেটা বার বার লেখা আসে আর বলতে থাকে। তবে সাথে এটাও বলে যে "কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।"। আর মঞ্চ থেকে বলা হয় "কেও ককটেল ফুটিয়ে আন্দোলন পণ্ড করতে পারবে না"। আমার কাছে বেপারটা খুব হাস্যকর লাগে। কেও ককটেল ফাটাবে আর এমন জায়গায় যেখানে কেও নাই। মানুষ কি এতো বোকা? কেও যদি কারো ক্ষতি করার জন্য ককটেল ফাটাতে চায় তাহলে ফাকা জায়গায় কেনো ফাটাবে? একটা ব্যাপার কেনো চিন্তা করে না কেও "যে কক্টেল নিয়ে ওখানে যেতে পেরেছে এতো পুলিশ থাকা সত্ত্বেও সে সেটা ফাকা জায়গায় ফাটাবে কেনো?"। এখন কাওকে এটা বললেই আমায় অনেক কিছু বুঝাতে আসবে। তাই আগে বলবো আপনি একটু ভালো ভাবে চিন্তা করেন।
কিছুদিন আগে বিএনপির সভায় পুলিশ হামলা চালিয়ে বল্লো তারা কি নাকি কিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছে এখানে বোমা/ককটেল আছে। তাই তারা নাশকতা বন্ধের জন্য হামলা চালিয়েছে। তাহলে এতো নিরাপত্তার পরও গনজাগরন মঞ্চের আশে পাশে ককটেল কিভাবে যায় আর নিজে নিজে ফোটে (যেহেতু কে বা কারা ফাটায় সেটা এখনো কেও জানে না)? এটা কি মানুষ কে বোকা বানানো না? ১লা এপ্রিল আসার আগেই মনে হয় সবাই সবাইকে এপ্রিল ফুল বানিয়ে ফেলছে। না আমি বোকা না।
সেদিন নারি দিবসেও কক্টেল ফুটলো, মঞ্চ থেকে বলা হলো "বসেন আপনারা, কিছু হয় নি, কক্টেল ফুটেছে"। বিনুদুন। সবাই হই করে উঠলো। আর একদল দেখলাম বাশ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। আজকেও এরকম হলো। আমারতো মনে হচ্ছে এইগুলা সংবাদ মাধ্যমের কাজ। তারা একটা ব্যাপার কে আরো ফুটিয়ে তোলার জন্য নিজেরাই ককটেল ফুটিয়ে আবার নিজেরাই ধামাকা তৈরি করছে। অথবা এইটা গন জাগরণ মঞ্চের কারো কাজ যাতে তাদের টার্গেট করা বিরোধি দলকে নিয়ে আরেকবার নতুন করে ইস্যু বানিয়ে বলতে পারে। আরে বোকার দল কক্টেল নিয়া কেও ফাকা জায়গায় ফুটাবে কিভাবে? পুলিশ কি খালি সামনে থাকে মঞ্চের? পিছনে কি ইচ্ছা করে ফাকা রাখে যাতে ককটেল ফুটতে পারে? গাধার দল কতগুলা। এতো সহজ ব্যাপার না বুঝার কি আছে? যদি কারো গায়ে কক্টেল ফুটে একটুও আচর লাগে তবে পরের দিন থেকে মানুষ যাওয়া কমে যাবে আর তাতে আন্দলন পণ্ড হয়ে যাবে আর সরকার এর দোষ আবার সামনে চলে আসবে। সরকার সেটা তো কোনদিন সরকার হতে দিবে না।
আমার কাছে একটা ব্যাপার বারবারই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে গন জাগরন মঞ্চ এখন আর গন জাগরণ মঞ্চ না, এখন সেটা "গন মদন" মঞ্চ হয়ে গেছে। জনগন কে মদন বানানোর একটা জায়গা সেটা এখন। একটা সমাবেশ মানে কিছু হোক আর না হোক ২-৩ টা ককটেল ফুটবেই। কি বিনুদুন, কি বিনুদুন।
রবি এর একটা এড বের করা যেতে পারে এখন
Stage মানে মঞ্চ
Fool stage মানে "গন জাগরন মঞ্চ"
যদিও এই রকম ওয়ার্ড নাই মনে হয়। তবুও দিলাম আর কি। ভাবতেছি এর পর সব পার্টিতে গেলে ১-২ টা ককটেল নিয়ে যাবো আর ফাটাবো যাতে বিনোদন আরো বারে। আপনারাও তাই করবেন প্লিজ। আমার লেখা পড়ে কেও আমারে ছাগু ভাবতে পারেন, কোনো সমস্যা নাই। যারা নিজেরা ছাগুর সংজ্ঞা বানায় তারা নিজেদের কথা বাদ দিয়ে ভাবে, কিন্তু একটু ভালো ভাবে চিন্তা করলে দেখবে যে সংজ্ঞা দিয়েছে তার সাথে তার পুরোটাই মিল আছে।
'ছ' তে ছাগু, তুই ছাগু, তুই ছাগু
©somewhere in net ltd.