নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কথা এবং কবিতা

আমি এবং আমার কথা, কবিতা, গান, আমার অবসরের নাম।

ইথার আহমেদ

আমি একজন বাঙ্গালী আর এইটাই আমার বড় পরিচয়। আমি আমার কথাগুলো লিখি আমার চিন্তা থেকে অথবা আড্ডা থেকে। নিজের জীবন থেকে শিখে কিংবা অন্য কারো জীবন কে দেখে আমার লেখা। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই আমার লেখা হয়তো গুছানো হবে না। ভুল গুলো ক্ষমা সুলভ চোখে দেখে আমাকে জানাবেন। আর আমায় কেও কোনো রাজনীতির সাথে মিশাবেন না। আমি রাজনীতি কে এখনো পছন্দ করতে পারিনি। যদিও কারো কারো কিছু ভালো কে সব সময় সমর্থন দেই, আবার খারাপ লাগলে সেটাও বলি। এটা আমার স্বাধীনতা মুখ ফুটে কিছু বলা। তাই আমার বলা কারো খারাপ লাগলে আমায় জানাতে পারেন, সেটা যদি খারাপ হয় আমি বুঝে নিবো আর বলবো না সেটা। আর আমায় কেও আবার রাজাকার উপাধি দিয়েন না, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। যেহেতু রাজাকারের নাতী কখনই রাজাকার হয় না, রাজাকারের সন্তান ও রাজাকার হয় না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকার হতে পারে না। আবার কেও আমায় জঙ্গি, শিবির কর্মী ও ভাব্বেন না প্লিজ। আমি সাধারন মানুষ, এতো কিছু নিয়ে চলার সময় নাই। মরতে হবে, তাই সম্মানের সাথেই মরতে চাই। যাতে পরকালে আমায় না বলতে হয় কেনো আমি মুসলিম হয়ে ইসলামের ভুল প্রকাশ করলাম।

ইথার আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলেক্ট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬

ইলেক্ট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড:

৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷



(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বত্সর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷



আমরা হয়তো অনেকেই এই আইন জানিনা। প্রায় সময়ই দেখা যায় ফেসবুক এ ও অন্য সামাজিক মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন তথ্য বা ছবি শেয়ার দেয়। এমনকি এমন সব স্ট্যাটাস দেই যেটার ভিত্তি নাই কোনো। অনেকে মেইলের মাধ্যমে অনেক মিথ্যে সংবাদ ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের সাথে, দেশের সাথে, ধর্মের সাথে প্রতারণা করি। তাই তাদের জন্য আবার সতর্ক করে দেয়া এই আইন জানিয়ে।



যারা ধর্ম বিরোধি লেখে যেমন রাজীব, আসিফ সহ অন্যান্য ব্লগারদের যেমন শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিল তেমনি যারা ইসলাম বা ধর্ম নিয়ে মিথ্যে বা উস্কানি মুলক লেখা, ছবি প্রচার করে তাদেরও শাস্তি হোক তাই চাই। আবেগের বশে বা ইচ্ছা করে আমরা যারা মিথ্যে শেয়ার দেই, বা সন্দেহ নিয়ে কিছু শেয়ার দেই যেটার অস্তিত্ব আমরা জানিনা বা সন্দেহ, তা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।



আমার মনে হয় আমাদের আইন মন্ত্রী সহ সবার এইটা জানা ছিল। তবে কেন যে তারা ওই সব নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধি নাস্তিকদের আগে শাস্তির আওয়াও আনলো না জানিনা। আর বাশেরকেল্লা সহ অনেক গ্রুপ এও ধর্ম নিয়ে উস্কানি লেখা, ছবি বা ভিডিও প্রচার করা হয়, যার বিরুদ্ধে অনেক আগেই সরকারের সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল। আসলে সরকারকে টানলে হবে না সব সময়। আমাদেরকেই সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল। আমরাই তাদের পোষ্ট গুলো শেয়ার দেই, লাইক দেই, ভালো কমেন্ট করি। অথচ আমরা শিক্ষিত।



হে, আমরা শিক্ষিত ঠিক, তবে ছাগলও মেমে করলে 'ম' উচ্চারণ হয়, তার মানে সে নিজেকে শিক্ষিত বলতে পারে। অর্থাৎ, পাঠ্য পুস্তকে শিক্ষিত হয়ে মূর্খের মতন আচরণ, অজানা নিয়ে জানার অনিচ্ছা আর আবেগের বসে উস্কানি বা ভুল খবর মানুষের মাঝে শেয়ার করা এই রকম মেমে করা শিক্ষিত এর মতনই। মানুষের শিক্ষার কারন শুধু সার্টিফিকেট না, যদি তাই হতো তবে কখনই মানুষ নিজেকে অন্য থেকে আলাদা করতে পারতো না শিক্ষিত হয়ে। আর সার্টিফিকেট নিয়েও যদি একজন রিক্সাওয়ালা (আমি ছোট করে দেখিনা তাদের যদিও, একটা উপমা হিসেবে তাদের নাম ব্যাবহার করলাম কারন তারা বেশিরভাগই অশিক্ষিত আর মূর্খ হয়ে থাকে) এর সাথে পার্থক্য না করতে পারে কেও নিজেকে তবে তার শিক্ষার দাম নাই।



আমাদের দেশে যদি এই আইনটার যথাযত ব্যাবহার করা হতো তবে সরকার বা বিরোধি দলের কেওই এই রকম নিন্দিত হতো না। তারাও সাবধান থাকতো কথা বলার সময়। কারন তারা নিজেরাও উস্কানি দিয়ে, আক্রমণাত্মক কথা, মানহানি মুলক কথা বলে। তাদের কথার ফলেই দেশের আজ এই অবস্থা। তাই এই আইন পুনরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আমার আজকের এই লেখা।



সবার কাছে এইটা অনুরোধ, কেও না জেনে, না বুঝে, ক্যাপশন ঠিক মতন না পড়ে, পিপিলিকা, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিস্তারিত না জেনে কোনো পোষ্ট বা ছবি বা ভিডিও শেয়ার দিবেন না। আর অনেকেই আছেন যারা ধর্ম নিয়ে কিছু পেলেই শেয়ার দেন আবেগে পরে, আবার বলেন "আপনি বিশ্বাস করেন আপনি এখনো মুসলিম", তাদের বলি, মিথ্যে শেয়ার দিয়ে আপনি পাপি হলেন, মুসলিম নামে কলঙ্ক হলেন, তাই ভাবুন আবেগি মুসলিম হওয়া ভালো নাকি বিবেগি। দেশকে নিয়েও অনেকে একই কাজ করেন। ধর্ম, দেশ আর রাজনৈতিক ব্যাপার গুলো কে নিয়ে শেয়ার দেয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন যে আপনার পোষ্ট কতটুকু ভিত্তিযোগ্য। মনে রাখবেন "আবেগির চেয়ে বিবিগির মূল্য বেশি, আর সেই শ্রেয়"।



আমি অনেককেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু আমি নিজেও আজ এই আইনটা জানলাম। তাই সবার সাথে শেয়ার করে দিতে ইচ্ছে হলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

ইথার আহমেদ বলেছেন: তবে আমি নাস্তিক ব্লগার এর চেয়ে মূর্খ আস্তিকদের বেশি দোষ দিবো। কারন নাস্তিকদের থেকে খুব কম মানুষই শিক্ষা নেয়, আর তাদের সাহস এতো হয়নি যে যেখানে সেখানে শেয়ার করবে যে কোন পোষ্ট। কিন্তু ধর্ম নিয়ে উল্টা পাল্টা পোষ্ট শেয়ারে মানুষ আবেগি হয়ে উঠে। আর তার জন্য ঘটে যায় অনেক বড় দুর্ঘটনা। তাই এই রকম শেয়ার থেকে নিজেকে বিরত রেখে বিচক্ষনের পরিচয় দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.