![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাঙ্গালী আর এইটাই আমার বড় পরিচয়। আমি আমার কথাগুলো লিখি আমার চিন্তা থেকে অথবা আড্ডা থেকে। নিজের জীবন থেকে শিখে কিংবা অন্য কারো জীবন কে দেখে আমার লেখা। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই আমার লেখা হয়তো গুছানো হবে না। ভুল গুলো ক্ষমা সুলভ চোখে দেখে আমাকে জানাবেন। আর আমায় কেও কোনো রাজনীতির সাথে মিশাবেন না। আমি রাজনীতি কে এখনো পছন্দ করতে পারিনি। যদিও কারো কারো কিছু ভালো কে সব সময় সমর্থন দেই, আবার খারাপ লাগলে সেটাও বলি। এটা আমার স্বাধীনতা মুখ ফুটে কিছু বলা। তাই আমার বলা কারো খারাপ লাগলে আমায় জানাতে পারেন, সেটা যদি খারাপ হয় আমি বুঝে নিবো আর বলবো না সেটা। আর আমায় কেও আবার রাজাকার উপাধি দিয়েন না, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। যেহেতু রাজাকারের নাতী কখনই রাজাকার হয় না, রাজাকারের সন্তান ও রাজাকার হয় না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকার হতে পারে না। আবার কেও আমায় জঙ্গি, শিবির কর্মী ও ভাব্বেন না প্লিজ। আমি সাধারন মানুষ, এতো কিছু নিয়ে চলার সময় নাই। মরতে হবে, তাই সম্মানের সাথেই মরতে চাই। যাতে পরকালে আমায় না বলতে হয় কেনো আমি মুসলিম হয়ে ইসলামের ভুল প্রকাশ করলাম।
১৫ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। এই দিন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবার বর্গ (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাদে) কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালে। ১৫ই আগস্ট আসলেই আমরা শোকে মাতল হই, তাকে মনে করতে মাইক, মঞ্চ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরি। সভা, দোয়া মাহফিল, মিলাদ এই সব নিয়ে সবাই ব্যাস্ত হয়ে যায় এই দিন আসলেই। আর এভাবেই পালিত হয় ১৫ই আগস্ট। কিন্তু, ১৫ই আগস্ট যে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন(আসল/নকল)। তার এই দিনেও সভা, দোয়া মাহফিল, মিলাদ হয়, মাইকিং করা হয়, সবাই এইসব নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে। তবে এইটা অবশ্যই শোক দিবস পালন করা না।
২ টা ক্ষেত্রেই একই রকম আয়োজন। ২ জায়গায় মাইকিং করে গান/ভাসন শুনানো হয়। এক জায়গায় গান মানে দেশের গান, অন্য জায়গায় গান মানে "উলালা উলালা" হতে পারে। ২ জায়গাতেই নেতা নেত্রীরা ভাষণ করে, বিরোধী দল কে নিয়ে কুটুক্তি করে। ২ জায়গাতেই বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় (বিরিয়ানি, তেহারি, মোরগ পোলাও, মিষ্টি ইত্যাদি)। ২ জায়গাতেই ফুল দেয়া হয়। ২ জায়গাতেই বিপল খরচ করা হয়। ২ জায়গাতেই মুল দিবসের চেয়ে খাওয়া দাওয়া, টাকা কামানোর বেপারটাই বেশি মূল্য পায় (নেতা নেত্রীদের কাছে)।
কিন্তু, এতো কিছুর জন্য টাকা কোথা থেকে আসে? সে বেপারে আমার জানা নাই, তাই সে বেপার নিয়ে লিখবো না। আমার কাছে ১৫ই আগস্ট কে শোক দিবস মনে হয় না, মনে হয় ভোগ দিবস। কারন উপরের প্বযারাতেই লিখেছি। এই দিনে শোক এর চেয়ে আনন্দই বেশি করে সবাই। শুধু এক দল শোক দিবস বলে মুখ বেজার করে কিছু খন টিভি তে দেখায়, অন্যজন কেক কেটে হেসে হেসে টিভি তে দেখায়। কিন্তু পরের সব কিছুই এক। আবার এই খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক জায়গায় মারামারি পর্যন্ত হয়ে যায়। খুন ও হয়। এতো কিছুর পরো কি বলতে পারি না যে ১৫ই আগস্ট "ভোগ দিবস"?
আমাদের দেশে নেতা নেত্রীরা এখন দিবসের অপেক্ষায় থাকে। সেটা যে দিবস ই হোক। দিবস মানে ভোগের/ আয়ের আরেকটা উপায় বের হওয়া। দিবস মানেই জনগনের টাকা মেরে দোয়া মাহফিল করে পুণ্য আয়ের চেষ্টা।
©somewhere in net ltd.