![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাঙ্গালী আর এইটাই আমার বড় পরিচয়। আমি আমার কথাগুলো লিখি আমার চিন্তা থেকে অথবা আড্ডা থেকে। নিজের জীবন থেকে শিখে কিংবা অন্য কারো জীবন কে দেখে আমার লেখা। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই আমার লেখা হয়তো গুছানো হবে না। ভুল গুলো ক্ষমা সুলভ চোখে দেখে আমাকে জানাবেন। আর আমায় কেও কোনো রাজনীতির সাথে মিশাবেন না। আমি রাজনীতি কে এখনো পছন্দ করতে পারিনি। যদিও কারো কারো কিছু ভালো কে সব সময় সমর্থন দেই, আবার খারাপ লাগলে সেটাও বলি। এটা আমার স্বাধীনতা মুখ ফুটে কিছু বলা। তাই আমার বলা কারো খারাপ লাগলে আমায় জানাতে পারেন, সেটা যদি খারাপ হয় আমি বুঝে নিবো আর বলবো না সেটা। আর আমায় কেও আবার রাজাকার উপাধি দিয়েন না, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। যেহেতু রাজাকারের নাতী কখনই রাজাকার হয় না, রাজাকারের সন্তান ও রাজাকার হয় না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকার হতে পারে না। আবার কেও আমায় জঙ্গি, শিবির কর্মী ও ভাব্বেন না প্লিজ। আমি সাধারন মানুষ, এতো কিছু নিয়ে চলার সময় নাই। মরতে হবে, তাই সম্মানের সাথেই মরতে চাই। যাতে পরকালে আমায় না বলতে হয় কেনো আমি মুসলিম হয়ে ইসলামের ভুল প্রকাশ করলাম।
যাদের কক্টেল বা বোমা বা আগুন লাগানোর সামগ্রী (হামলার উদ্দেশে) পাওয়া যাবে, ওদের ধরেই কিছু জিজ্ঞাসার দরকার হলে করে মাথায় গুলি করে মেরে ফেলা হোক প্রকাশ্যে, সে যদি সরকারি লোকও হয় বা কোনো বড় নেতার কেও হয়, তবুও তার জন্য শাস্তি সমান। পেপারে সেটা ছাপানো হোক। যাতে কেও সাহস না করে আর এই রকম কাজ করতে। তাহলেই এই রকম কাজ বন্ধ হবে। তাহলে কিছু টাকার জন্য কেও সাহস পাবে না এই রকম জঘন্য কাজ করতে। যদিও আজকার হরতালের আগের দিন থেকে যে হত্যাযজ্ঞ শুরু হইছে সেটা শিখিয়েছে আওয়ামীলীগ নিজে। হয়তো উনারা ভুলে গেছেন সেদিনের কথা। খুব সম্ভবত একজন ট্যাক্সিচালকের পুরোপুরি জ্বলে যাওয়া লাশের মাধ্যমে এর শুরু কয়, শুরু হয় হরতালের আগের দিন থেকে মারমুখী হয়ে উঠা।
আমাদের দেশে অনেক আওয়ামীলীগ পাগল আছেন, আবার বিএনপি বা জামাত-ই-ইস্লামি পাগল আছেন। তারা এই জন্য পাগল যে তারা অন্ধের মতন তাদের পক্ষে কথা বলেন। কিন্তু আপনারা এর মাধ্যমে নিজেকে যতটাই দেশ প্রেমি প্রকাশ করতে চান না কেনো, আপনারা ততই পাগল প্রমান করেন। নিজেকে বিবেকবান বানান। দল নিয়ে না ভেবে দেশ নিয়ে ভাবুন। আমি যখন বলি আমরা ভুলে গেছি বিশ্বজিৎ খুনের কথা, আপনি এসে বলে আমরা ২১শে অগাস্টের কথাও ভুলে গেছি, আমি যখন বলি আমরা ভুলে গেছি তারেক জিয়ার টাকা পাচারের কথা, তখন আপনি বলেন শেখ হাসিনা বা তার দল যখন বিদেশ যায় তখন নাকি ৪০টার বেশি ব্যাগ যায়। আমি যখন বলি রাস্তায় মানুষকে কষ্ট দিয়ে নামাজ পরা (জুতা পায়ে বা ওজু ছাড়া) কি যুক্তিসঙ্গত? বা যখন বলি সেই ছেলেগুলোর কথা যাদের রগ কাটা লাশ পাওয়া যায় নর্দমায়, তখন আপনিও বলেন শত শত লাশের কথা যেগুলা নাকি আওয়ামীলীগ বা বিএনপি করেছিলো, আপনি বলেন নামাজ পরার জন্য জায়গা লাগে না। সব মিলিয়ে, আপনি শুধু বুঝাতে চান যে আপনার দল ভালো। একবারো বলেন না, হ্যাঁ সেটা ভুল ছিলো। আপনারা শুধু বিরোধি পক্ষের দোষ ধরতে ব্যস্ত। নিজের দোষ নিয়ে ভাবার সময় পান না আপনারা। প্রতিবার দল আসে, দল যায়, আর বিদায় বেলায় সম্ভাবনার কথা শুনায়। আর প্রতিবার পোষ্টার ছাপানো হয় বিরোধি দলের কাজ নিয়ে। যেখানে কোনোবারই পাওয়া জায়না লাশ বিহীন ছবি। তবে এই লাশ কাদের বানানো?
বার বার লাশ নিয়ে মিছিল দেখি, কিন্তু দেখিনা লাশ না হওয়ার জন্য মিছিল। প্রতিবার হরতাল হয়, আর একদল বলে "জনগন হরতাল মেনে নিয়েছে", অন্যদল বলে "জনগন হরতাল মানে নাই", এখানে জনগন তারাই, যার কিছু একদল করে (হরতাল কারিদের), বাকিরা যারা অন্যদল করে। আমরা শুধুই দর্শক। আর আমরাই লাশ হই বার বার। তবুও এই হরতাল কে কেও বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয় না। সংবিধানের অনেক পরিবর্তন হয়, হচ্ছে, হবে, তবে কেওই হরতাল বন্ধ করার আইন করবে না। কারন, তারা জানে, হরতাল তারাও করবে। হরতাল সমাবেশ ইত্যাদি শুধু কিছু নাম মাত্র, আর কাজ হলো কিছু হত্যা, আগুনে পুড়ানো, গাড়ি জ্বালানো আর একটা করে ছবি সংগ্রহ করা। আর কিছুতো থাকেই পূর্বপরিকল্পনা।
আজকাল কেও কিছু সমালোচনা করলে সেখানে সরকারের বিপক্ষে কিছু হলেই নাকি পুলিশ চলে আসে। তল্লাশি চলে। আর ঘর থেকে একটা পেন্সিল ব্যাটারি পেলেও বলে সেটা নাকি বোমা বানানোর সরঞ্জাম। এমনকি খেলনা পিস্তল পেলেও পুলিশ বলে জ্বিহাদী বা হামলার জন্য অস্র। আমি পুলিশদের পছন্দ করি না, কারন তারা যদি ভালো হতো তবে দেশে এই অবস্থা কখনই আসতে পারতো না। ছোট বেলায় দেখেছি, পুলিশের সামনে একদল ছিনতাই কারি আমাদের কাছ থেকে (আম্মু, মামা) জিনিষ পত্র ছিনতাই করে নিয়ে গেলো। আর পুলিশ চা খাচ্ছিলো সামনে দাড়িয়ে। সেই থেকে তাদের প্রতি আমার একটা ঘৃণা কাজ করে। তবে এটাও ঠিক, কিছু কিছু সময়ে তাদের প্রতি মায়া হয়। সেদিন দেখলাম এক পুলিশ একা বসে ভাত খাচ্ছিলো এক হোটেল এ। আমিও খেয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমি তাকালাম তার দিকে তখন তার মুখে একটা ভয় কাজ করছিলো কিছুর। খুব খারপ লাগলো আমার। কারন, সত্যি বলতে পুলিশরা আজ যে অবস্থায় আছে, তাদের উপর যে হামলা হয়, তার দায় তারা নিজেরাই। তারা যদি নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে পারতো, ভালো কাজ করতো, চামচামি না করতো কোনো দলের তবে তাদের এই অবস্থা হতো না। আবার তাদের ডিরেক্ট দোষ দিবো না। পুলিশে আসতে হলে তাদের বাড়ি ঘর বিক্রি করে আসতে হয়। অনেক টাকা ঘুষ দিতে হয় (কাদের? সেটা আপনারা বুঝে নেন), এই টাকা তোলার জন্যই কারো না কারো চামচা হয়ে বাচতে হয় বা ঘুষ নিতে হয়।
সুতরাং, আসলে সব কিছু ঠিক করতে হলে প্রথমেই ঠিক হতে হবে মূল পয়েন্ট গুলো তে। যদি উপরের পর্যায়ের লোক গুলো ভালো হয়ে যায়, বা তাদের কে কন্ট্রোল করা হয় ঠিক মতন, হয়তো তবেই আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকবে। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক গুলো যদি ভালো হয়ে যায়, তবে কোনো সমস্যাই হবে না কখনো। কেও সাহস পাবে না এইরকম হরতালের নামে বা সমাবেশের নামে হত্যাযজ্ঞ কাজ করার। শান্তি আসবে তাহলে সবখানেই। আর ওই পাগল লোকগুলোকেও হতে হবে বিবেক বান। চিন্তা করতে হবে কিছু বলার আগে। দল কে নিয়ে বড়াই করার আগে। তবেই দেশের একটা বিশাল অংশ বিবেকের আলোয় পরিপূর্ণ হবে। আর বুদ্ধিহীন দেহকে আক্ষরিকতায় মানুষ বললেও, তারা আসলে একটা দেহ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিঃদ্রঃ আমার কথায় কেও কষ্ট পাবেন না। কাওকে ব্যক্তিগত আঘাত করেছি ভাবলে ক্ষমা করে দিবেন।
©somewhere in net ltd.