![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
ইটস অ্যা রিয়েল রিয়েলাইজেশন। আমি গত শনিবার(২৫.১১.২০১৭) ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোথাও যাচ্ছিলাম। আমি দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। আমি অভিভূত হলাম। আর নানান বিষয় নিয়ে রিয়েলাইজড অথবা পরিসংখ্যান করতে থাকলাম। আমি বুঝলাম বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে।
প্রথমত: ঢাকায় যে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমার কাঙ্খিত গনতব্যে সেখানে একটি ফ্লাইওভারের কাজ শেষ দিকে বা চলতেছে বা চলবে। আমার চিন্তায় আসলো, প্রকৃত পক্ষে কোন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাই অন্যান্য সকল উন্নয়নের চাবি কাঠি। আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম না থাকত তাহলে বায়ারদের যে লিড টাইম অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে হয়, তা সঠিক সময়ে না হলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বা হতো। এটি একটি উদাহরণ। পাশাপাশি সড়ক পথ মসৃণ বা উন্নত থাকলে দ্রুত যাতায়েত করে আমাদের পক্ষেও লিড টাইম ধরে রাখা যায়। ফলে আউটপুট বেশী। আমি সম্ভবতঃ বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের উন্নয়নের একটি বড় ইস্যু। বিনাদ্বিধায় বলা যায়, যদি পরিসংখ্যান দিতে পারতাম বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার গত ৮-১০ বছরে কি পরিমাণ বাজেট শুধু যোগাযোগ উন্নয়ন খাতে ব্যয় করেছেন। তা হলে আরো পরিস্কার করতে পারতাম আমার উদ্যেশ্য।
দ্বিতীয়তঃ ডিটিলাইজেশনের কার্যক্রম কত যে দ্রুত এগিয়েছে তা আমরা বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে অক্ষম। আমি যখন দেখি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য এখন অনলাইনে পাওয়া যায় সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদের নথি মোতাবেক। তখন কিছুটা টাসকিতো আমাকে খেতেই হয়। আরো আছে, প্রতিটি স্কুল মাদ্রাসায় এখন একটি করে লেপটপ, ডিজিটাল ক্লাসরুম, আইটি শিক্ষক ওহ্ আমি ভাবতে গিয়ে অভিভূত হয়ে যাই। যেখানে আমি স্নাতকোত্তর পড়ে তারপর কম্পিউটার শিখেছি। তখন ইন্টারনেট পাওয়া যেত সাইবার ক্যাফে গুলোতে। আমিও ময়মনসিংহের একটি সাইবার ক্যাফে থেকে প্রথম কম্পিউটারে হাত দিয়েছিলাম। এখন মনে পড়লে স্মৃতিময় হয়ে উঠি। নতুন বাজার রোডের ঐ সাইবার ক্যাফে এখন নেই। থাকবে কি করে? ইন্টারনেট এখন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, প্রত্যেক ঘরে, প্রায় প্রতিটি হাতে হাতে। এটি একটি বিরাট বড় অর্জন আওয়ামীলীগ সরকারের বা বাংলাদেশের। যদি কেউ অস্বীকার করেন তিনি উন্নয়ন কি বুঝেননা বা বুঝতে চান না।
তৃতীয়তঃ অনলাইনের কল্যাণে পথেঘাটের যেকোন ঘটনা তা ভাল কি মন্দ সব কিছু। যেমন: কোথাও একটি বাল্য বিয়ে হবে তা ছড়িয়ে পড়ল অনলাইনে হাজারো হাতে নিউজটি ভাইরাল হবে। যাবে ফেইসবুকের দুনিয়া কাঁপানো জগতে, তখন কর্তৃপক্ষ জেগে উঠেন তা প্রতিরোধ হয়। একটি রাজনৈতিক সভা হবে, তার খবর অনলাইনে আপডেট। যা আগে কখনো খবরই হতোনা। কিন্তু যেকোন কাজই এখন খবর। প্রিন্ট মিডিয়ায় যা ধরেনা অনলাইন তা ধরে। অনলাইন থেকে ফেইসবুক। আবার নেতিবাচক ব্যবহারও আছে, তবে ইতিবাচকের তুলনায় নেতিবাচকের প্রভাব কম। কারণ সবাই সবার বন্ধু, বাবা ছেলের বন্ধু, ভাই বোনের বন্ধু। মানে বিরাট লিংকড। সোস্যাল মিডিয়ার তেলেছমাতি। এটি বাংলাদেশে এখন বিপ্লব ঘটে গেছে। ডিটালাইজেশনে বাংলাদেশের যে বিনিয়োগ হয়েছে তা আমি মনে করি সফল হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারকে ডিজিটালাইজেশনের পুরু কৃতিত্ব দিতে হবে। এর জন্য জাতির পিতার সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এই ডিজিটালাইজেশনের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রত্যেক পদক্ষেপে কোন না কোন নেতার প্রয়োজন। তার নেতৃত্ব খুবই কার্যকর হয়েছে ডিজিটালাইজেশনের অভিযাত্রায়। আমার মনে হয় সরকার এত সফল হবে তা নিজেও আন্দাজ করতে পারেনি। তাহলে শক্তিশালী অবকাঠামো গড়ে তুলে নিতেন আগেই, যা একটু একটু করে নিতে হচ্ছে। যেমন, আইনি বিষয়গুলো, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। এখনো সম্ভব। বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনলাইনকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যেতে পারে। একথা এজন্যই বললাম, তারা জানেই না কি কি ভাল কাজে অনলাইনকে কাজে লাগানো যায়। উন্নয়নের অংশীদার অবশ্যই ডিজিটালাইজেশন বা অনলাইন এটা আমরা বুঝতে পারলেই সম্ভব। সরকার যদি অনলাইন একটিভিষ্টদের জন্য জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষিত করে তুলেন এবং সাথে সাথে আইন কানুনের প্রচার করেন বা সচেতন করে তুলেন তাহলে কার্যকর হবে। সচেতনতা বিরাট বিষয়, তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। মানুষ ভূল করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এখানেই আমাদের কাজ করতে হবে। ভূলের সুযোগে মানুষকে বিপদগ্রস্ত করা নয়, তাকে শুধরে তুলাই সফলতা। ভূল যে কেউ করতে পারেন। ভিন্নতা আছে একটি হলো ভূল নয় এটিই তার চিন্তা, আরেকটি হলো নৈতিকস্খলন, আরেকটি হলো কাজ করতে যেয়ে হঠাৎই অসতর্কতা বশতঃ একটি কাজ করে ফেলা, বা অন্যের মাধ্যমে ভূলে পা দেওয়া। সবগুলো নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। সর্বোপরি আমাদেরকে দেশের কল্যাণে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে, অন্যকেও সুযোগ দিতে হবে।
রিয়েলাইজেশন: উন্নয়ন আওয়ামীলীগ সরকার করছে বা করবেন। ভিশন ২০৪১/২০২১ যাই বলিনা কেন উন্নয়নের অভিযাত্রায় সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একটি অপপ্রচার আছে আওয়ামীলীগ সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। কারণ তারা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। এখানে আমার বক্তব্য হলো আওয়ামীলীগ দেশের একটি অভিভূত উন্নয়ন চায়। তার অর্থ এই নয় যে, জনগণের মেন্ডেট ছাড়া। আমার যেটি মনে হয়, সমস্যাটা অন্যরা যেটিকে রাজনৈতিক সংকট মনে করেন, তা হতোনা যদি রাজনৈতিকদলগুলো পদ্ধতির পরিবর্তনকে মেনে নিত। যেমন, সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন সংগঠনের পদ্ধতিটিতে ঐক্যমত্য আসলেই কিন্তু এত ঝামেলা গুটা জাতিকে বয়ে বেড়াতে হতোনা। তাহলে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নিয়ে আর প্রশ্ন থাকতো না।
আমাদের জাতিগত চরিত্রটার একটু সরল গরল না করে লেখাটার তৃপ্তি পাবনা। আমি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরী করছি। আমাদের পোশাক কারখানায় একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগ হলেন। তাকে বলা হলো আপনার হাজিরার জন্য রিডারে কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। তিনি অস্বীকার করে বসলেন, আমি কেন কার্ড পাঞ্চ করব, কোথাও আমাকে কার্ড পাঞ্চ করতে হয়নি। আমরা আর তাকে মেশিনে আনতেই পারলামনা। উনি কারখানায় প্রবেশ করবেন, তাকে দেখে হাজিরা তুলে নিতে হয়, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর যদি তিনি নিয়মিত কার্ড পাঞ্চ করতেন অন্য সকল কর্মজীবীদের মত তাহলে কোন সমস্যা হতোনা। অর্থাৎ তিনি ইলেক্ট্রিক পদ্ধতিটি বা নতুন পদ্ধতিটি মেনে নিতে পারেননি বা একমত হতে পারেননি বা ইগুয়িটিক কারণ তার মধ্যে ছিল। এই উদাহরণ এই জন্যই দিলাম, নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন এটি কিছু রাজনৈতিক দল মেনে নিতে পারেননি। যদি মেনে নিতেন তাহলে কাজ করার সুযোগ ছিল। এটি কিভাবে প্রয়োগ করা যাবে, কোন কোন সমস্যা হবে, কি করলে প্রায়োগিক দিক সফল হবে, টোটাল কর্মকান্ডটি প্রশ্নবিদ্ধ হবেনা বা গ্রহণযোগ্য হবে। ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সরকার, রাজনৈতিকদল, নির্বাচন কমিশন, সাংবিধানিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে কাজ করলে সুন্দর একটি নির্বাচন আয়োজন হতো। আগামীতে আমাদের সুযোগ রয়েছে, আমি সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই সংবিধান অক্ষুন্ন রেখেই সবাই নির্বাচন নিয়ে কাজ করুন। জনগণ আনন্দ মুখরভাবে নির্বাচন করতে সদা প্রস্তুত।
©somewhere in net ltd.