![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
শনিবার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশের কোন একস্থানে যাচ্ছিলাম। নজরে পড়ল নাম না উল্লেখ করে বলতে চাচ্ছি "ক" এর একটি শাখা প্রতিষ্ঠান(স্কুল)। আমি নিজেও ২০১১ সালে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি তাতে কতটুকু শ্রম ও মেধা ব্যয় হয়। এটি একারণেই বললাম, যারা ঐ প্রতিষ্ঠানটি করে সুনাম কামিয়েছেন, শ্রম ও মেধা এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য অর্থ করেছেন, আর যেকোন জায়গা থেকে আপনি যেয়ে শাখা নিয়ে নিলেন এবং ব্র্যান্ডের সুফল ভোগ করলেন বা উদ্যোক্তা হলেন। তাতে আসলে কি বুঝা গেল? আমার ভাষায় ও ভাবনায় বলছি, আমার ধ্যান ধারণা সঠিক কিনা তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন।
বলছিলাম একজন ব্র্যান্ড এডুকেশন প্রতিষ্ঠা করল আর অন্যজন হঠাৎ করেই প্রস্তাব দিল ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে। শাখা খোলা হলো তাদের নামে। বলা হলো "ক" এর একটি শাখা প্রতিষ্ঠান। আমার আপত্তি তাহলে কিসে? হ্যাঁ। ব্রান্ড এডুকেশন কখনো অন্যপাত্রে রাখা যায়কি? হয়ত নিয়ম কানুন গুলো বা কিতাবগুলো একই করা যায়। শিক্ষক কি শাখায় ডুবলিকেট করা যাবে? গুণাগুণ কি ডুবলিকেট করা যাবে? হয়ত অনুসরণ করা যাবে। তাহলে কেন একটি শাখা বলে ছাত্র/অভিভাবককে ধোকা দেওয়া হচ্ছে? একই নামকরণ কেন করছেন? ভিন্ন নাম কেন দিচ্ছেন না? ভিন্ন নাম দিয়ে বলুন "ক" এর অনুকরণে বা শিক্ষা ব্যবস্থাদি "ক" কর্তৃক অনুমোদিত যদিও তাদের অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
আমি একটু হ-য-ব-র-ল করে ফেলছি মনে হয়ে। পুরোদস্তুর লেখক বা কলামিস্ট নই হয়ত। হলে বক্তব্যটি জুড়ালো করতে পারতাম। যাহোক বলতে চাচ্ছি, না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা প্রতিষ্ঠান হতে পারেনা। তাহলে শিক্ষার পাশাপাশি বাণিজ্যই বেশী হবে। কেননা প্রতিষ্ঠানের লাভের একটা অংশ মূল সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের উপর বা অভিভাবকের উপর বর্তায়। মানে চড়া মূল্যে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে বা হয়। সুতরাং অভিভাবকের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, ফায়দা নিচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় দুটি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মূল প্রতিষ্ঠান ও শাখা প্রতিষ্ঠান।
একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্র্যান্ড। এর অনুমোদন নিয়ে কি দেশের অন্যান্য স্থানের প্রতিষ্ঠান নিজেদেরকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দাবী করতে পারবে বা পারে? না, যেমন আনন্দমোহন কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ, কারমাইকেল কলেজ, খুলনা বিএম কলেজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বড় উদাহরণ। অথচ এরা সবাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বা অনুমোদিত একই নিয়মে চলছে। তাতে শিক্ষার মানে হেরফের আছে? আছে। এরা এক একজন নিজগুণে পরিচিত। আমি আনন্দমোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণীয় একটি ব্যাচ যা ২০০০-০১ বর্ষ, এটিই ছিল তিন বছরের স্নাতক(সম্মান) শেষ ব্যাচ।
আমি আলোচ্য প্রসঙ্গটি কি বুঝাতে পেরেছি? যদি পারি তাহলে স্বার্থক মনে করব নিজেকে। আমি কোন কলামিস্ট নই, একটি কঠিন পরিবেশ অতিক্রম করতে যেয়ে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগুচর হয়েছে যা সকলের সামনে তুলে ধরার একটি প্রয়াস মাত্র।
মোঃ খাইরুল ইসলাম
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
ইবিএস খাইরুল বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। অসংখ্য সাধুবাদ আপনাকে। আমি নতুন লেখক। তাই পড়ুক লোক কম। আর আপনার মত খ্যাতিমান লেখক পড়াতে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।