নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে।

ইবিএস খাইরুল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।

ইবিএস খাইরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শ গ্রাম সিরিজ- পর্ব- ০২

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

‘কল্পনাপুরের অজানা কথা’

কল্পনাপুর একটি আদর্শ গ্রাম। এই গ্রামের কতিপয় তরুণ, যারা নিজের জন্মস্থান কল্পনাপুরকে দেশের অন্য সব গ্রাম থেকে আলাদা হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। তারা একদিন সফল হল। সরকারী ভাবেও স্বীকৃতি পেল। তারা অনেক গর্বিত এমন একটি সামাজিক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরে।
কী এমন কাজ তারা করল যে কল্পনাপুর গ্রামটি সরকারী স্বীকৃতিও পেল! এমন প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনেক পর্যটক প্রায় প্রতিদিন পরিদর্শন করতে আসেন। এ গ্রামের মানুষও খুব আনন্দিত। এরকম একটি গ্রামের বাসিন্দা কে না হতে চায়!
গ্রামটির আয়তন ৩০০০ বর্গ গজ। গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে গেছে কল্লোল নদী। নদীর দুই ধারে গাছ গাছালীতে ভরপুর। চমৎকার সবুজ পরিবেশ। অনেক কৃষি জমি রয়েছে। অনেক রবি শস্য উৎপাদন হয় এখানে। উৎপাদিত শস্য এখান থেকে রাজধানী সহ অনেক শহরে সরবরাহ হয়। ধান-পাট-শস্য ও মৎস্য চাষ এখানকার প্রধান অর্থকরী কৃষি পণ্য। কৃষকগণ স্বয়ং সম্পূর্ণ। কৃষি সেঁচের জন্য উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে।
এই গ্রামটির অন্যতম বৈশিষ্ট হল এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা মূলক আধুনিক শিক্ষার উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। এই গ্রামটিতে ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি কলেজ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটি আলিয়া মাদ্রাসা। ১ টি কওমি মাদ্রাসা। সকালে রয়েছে বেশ কয়েকটি মক্তব কোরআন শিক্ষার জন্য। এই গ্রামে রয়েছে ৪টি মসজিদ যার মধ্যে একটি বিরাট বড় ও বহু প্রাচীন নয়নাভিরাম।

এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ৩ টি কিন্ডারগারটেন স্কুল রয়েছে। যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ ইংরেজী মাধ্যম। এই স্কুলটিতে প্রায় চারশ’ ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করে। শুধু কল্পনাপুরই নয় শহর থেকেও অনেক ছাত্রছাত্রী এখানে প্রতিদিন পড়তে আসে।
এখানের যাতায়েত ব্যবস্থা অনেক উন্নত। ২০ বছর আগেও এখানের রাস্তাঘাট ছিল অনেক বেহাল অবস্থা। এখানকার লোকজন লবিং করে রাস্তার মঞ্জুরী করিয়ে আনেন। নদী পারাপার করত বাঁশের সাঁকো দিয়ে। একসময় তাদের ঐকান্তিক চেষ্টায় ব্রিজের ব্যবস্থা হয়। ব্রিজের কাজ যখন হয় তখন এগ্রামের লোকজন শ্রমিকদের অনেক সহযোগিতা করে ।
গ্রামের এক প্রান্তে বিশাল বড় এক ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। সঙ্গে খেলাধুলার জন্যও মাঠ রয়েছে। এখানের জনপ্রিয় খেলার মধ্যে রয়েছে হাডুডু, ফুটবল ও ক্রিকেট। এক সময় ভলিবল খেলাও জনপ্রিয় ছিল। একবার ভলিবল খেলার এক বিরাট প্রতিযোগিতার আসর হয়েছিল। তাছাড়া হাডুডু খেলার ও অনেক প্রতিযোগিতার আসর আগের দিনে বসত। কিন্তু এখন ক্রিকেট তার স্থান দখল করেছে। কিছুদিন আগেও হয়ে গেল আন্তঃগ্রাম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে আশে পাশের ১৬ টি গ্রাম অংশ নেয়। তাতে চ্যাম্পিয়ন হয় এই কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম। ফাইনাল খেলায় বহু দর্শক খেলা দেখতে এসেছিল।
এগ্রামে ৩টি বড় ক্লাব রয়েছে। খেলাধুলা সহ নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের নেতৃত্ব মূলতঃ এরাই দিয়ে থাকে। এদের মধ্যে ‘কল্পনাপুর আদর্শগ্রাম শান্তি সংঘ’ অন্যতম। এই শান্তি সংঘের তরুণরাই মূলতঃ আদর্শগ্রাম গঠনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে। কল্লোল এই শান্তি সংঘের একজন তরুণ সদস্য। তারাই হচ্ছে আদর্শগ্রাম প্রতিষ্ঠার সৈনিক। কল্লোল এমন একটি কাজের সাথে থাকতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করে। এরকম কল্লোল ও আদর্শগ্রামের সৈনিক বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে জন্ম নিক। তারাও যেন আদর্শগ্রাম গঠনের জন্য কাজ করেন।

-মোঃ খাইরুল ইসলাম

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

শামচুল হক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

ইবিএস খাইরুল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.