নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে।

ইবিএস খাইরুল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।

ইবিএস খাইরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শ গ্রাম সিরিজ - পর্ব- ০৩

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭


“কল্পনাপুর ঘোষণা”
--মোঃ খাইরুল ইসলাম
অঞ্চলঃ কল্পনাপুর।
পরিকল্পনাঃ উক্ত কল্পনাপুর গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠবে একটি কমিউনিটি। এই কমিউনিটির অধীনে কল্পনাপুরকে আদর্শ গ্রামে উন্নীত করা হবে।
উন্নয়ন পরিকল্পনাঃ আদর্শ গ্রাম গঠনের লক্ষ্যে কমিউনিটির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম এই পরিকল্পনার আওতায় থাকবে।
লক্ষ্যমাত্রাঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সাল। এই সময়ের মধ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক গঠনঃ কারা উক্ত আদর্শ গ্রাম গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন তা নির্ধারণ করতে একটি তত্ত্বাবধায়ক গঠন করা হবে। ‘কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম শান্তি সংঘ’ অত্র সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে কর্মকাণ্ড সমূহ এগিয়ে নেবেন।
কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম শান্তি সংঘঃ কল্পনাপুরের তরুণ প্রজন্মের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও আদর্শ গ্রাম গঠনের স্বপ্নে ‘কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম শান্তি সংঘ’ যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালের ২৮ জুলাই। এক অনাড়ম্বর মিলন মেলার মাধ্যমে তাদের এই যাত্রা। এই বৈঠকেই আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয় এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সালের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ শুরু হয়। তারা সমাজের গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গকে তাদের কাজে অন্তর্ভুক্ত করে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় একটি উপদেষ্টা পরিষদ, একটি কার্যকরী পরিষদ ও একটি সাধারণ পরিষদ গঠনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে।

গঠন প্রণালীঃ
১। উপদেষ্টা পরিষদঃ প্রথম পর্যায়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন হবে সমাজে ব্যক্তির অবস্থান, অবদান ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে। তাঁরা মূলতঃ কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ গঠনে নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রভৃতির প্রয়োজনে দেখাশুনা করবেন।
২। কার্যকরী পরিষদঃ আদর্শ গ্রাম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ, বাজেট প্রণয়ন ও তত্ত্বাবধান প্রভৃতি এই কার্যকরী পরিষদের হাতে ন্যাস্ত থাকবে। প্রথম কার্যকরী পরিষদ ‘কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম শান্তি সংঘ’ নিজেরাই গঠন করবে। যার মেয়াদ হবে ২ বছর। মূলতঃ এই কার্যকরী পরিষদ গঠনের ৩ মাসের মধ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন যার মেয়াদ হবে ২ বছর।
৩। সাধারণ পরিষদঃ এটি মূলতঃ সুশিক্ষিত-সুনাগরিক মহলকে নিয়ে গঠিত হবে। এই পরিষদ ভোটদানের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচন করবেন। সাধারণ পরিষদে প্রতিবছর নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হবে। সাধারণ পরিষদেও একটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি সভা থাকবে। এই প্রতিনিধি সভা সদস্যদের মতামত কার্যকরী পরিষদে পেশ করবেন। এই সভা কার্যকরী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনক্রমে গঠন করবেন। এই সভা কার্যকরী পরিষদ বিলুপ্তির সাথে সাথে বিলুপ্ত হবে।

কার্যক্রমঃ কার্যকরী পরিষদ গঠন বা নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে অঞ্চল নির্ধারণ করে আদর্শগ্রাম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করবেন। অর্থ সংগ্রহ করতঃ বাজেট প্রণয়ন করবেন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দায়িত্বশীল লোকদের হাতে ন্যাস্ত করবেন। প্রয়োজনে সরকারী-বেসরকারী সহযোগিতার জন্য লবিং করবেন।
প্রকল্প-১ শিক্ষাঃ নির্দিষ্ট অঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। নতুন নতুন আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা হবে। মেধা বিকাশের জন্য উৎসাহ(IDEA Program) প্রদান ও দরিদ্রদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
প্রকল্প-২ স্বাস্থ্যঃ স্বাস্থ্য সচেতনার জন্য কতিপয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে। প্রয়োজনে থানা স্বাস্থ্য সংস্থা ও বেসরকারী সংস্থার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা হবে। এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি সমন্বিত হেলথ সেন্টার গড়ে তুলা হবে।
প্রকল্প-৩ যোগাযোগ ও বিদ্যুৎঃ উল্লেখিত অঞ্চলের রাস্তাঘাট-ব্রিজ প্রভৃতি উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকারের সাথে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কাজ করতে হবে।
প্রকল্প-৪ সংস্কৃতি-বিনোদন ও খেলাধুলাঃ সমাজের মানুষের অবসর জীবন কাটানোর জন্য একটি পার্ক নির্মাণ করা হবে। সুস্থ্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। খেলাধুলার জন্য মাঠ নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে।
প্রকল্প-৫ সামাজিক নিরাপত্তাঃ কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
উপরুক্ত ৫ টি প্রকল্প সহ নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কল্পনাপুরকে একটি আদর্শগ্রাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরন করা হবে।
আদর্শ গ্রাম কর্মসূচী উদ্ভোধনঃ একটি সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে আদর্শগ্রাম কর্মসূচী উদ্ভোধন করা হবে। এতদ্ব অঞ্চলে আদর্শ গ্রামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হবে। সাথে সাথে কমিউনিটির সকলকে এই কর্মসূচীতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাই হবে আদর্শ গ্রাম গঠনের সৈনিক।
উপসংহারঃ পরিশেষে এটা বলতে হয় বিশ্বে এই প্রথম আদর্শগ্রাম গঠনের সমন্বিত পরিকল্পনা। যা সারা পৃথিবীর জন্য একটি রোল মডেল। সুতরাং মতাদর্শকে ভূলে নিজ বাস ভূমিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ বাস ভূমি করার প্রত্যয় হোক আমাদের সবার।
-----0----

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.