নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে।

ইবিএস খাইরুল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।

ইবিএস খাইরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শগ্রাম সিরিজ, পর্ব-০৪

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭


আদর্শগ্রাম সিরিজ-০৪
“সামাজিক পদক্ষেপ”
কল্পনাপুর আদর্শ গ্রাম শান্তি সংঘ তাদের ঘোষণা মোতাবেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। শান্তি সংঘের অন্যতম সংগঠক জনাব ইমতিয়াজ মাহমুদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সমূহ পালন করেন। তার ভাষায় যদি সামাজিক শৃঙ্খলা আনয়ন করা সম্ভব হয় তবে কল্পনাপুরকে আদর্শ গ্রামে উন্নীত করা সম্ভব। এক কথায় মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সকলকে একটি সফলতার বৃত্তে আনয়ন করা সম্ভব।
তারা একটি সামাজিক অগ্রগতির বিপ্লব সাধন করতে বদ্ধপরিকর। সেজন্য তরুণ সমাজকে নিয়েই এগিয়ে যেতে সম্মত হন। উক্ত গ্রামের যে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে তাতেও একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চান। সার কথা হল এই যে, শুধু নামকরণ করেই তারা ক্ষান্ত হন না। বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেন। বস্তুতঃ গৃহীত কর্মসূচী বা পদক্ষেপ সমূহ সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবায়ন করতে চান।
জনাব ইমতিয়াজ মাহমুদ সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নেন। যেমন- শিক্ষার উন্নয়নের জন্য অত্র অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চিঠি বিলি করেন। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যে বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেন তা হল শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকি করণ করার জন্য বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরিতে তারা যেন আরো সচেতন হন। পাবলিক পরীক্ষা সহ সকল প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় যাতে সকল শিক্ষার্থী ভাল ফল অর্জন করতে পারে সে বিষয়টি যেন অধিক প্রাধান্য পায়। এছাড়া সনাতন শিক্ষার পাশা পাশি যেন কর্মমুখী শিক্ষাও শিক্ষার্থীরা পায় এরকম উদ্যোগ নিতে চিঠিতে গুরুত্ত্বারুপ করা হয়।
শিক্ষা উন্নয়নের জন্য শুধু প্রতিষ্ঠান গুলোকে চিঠি দিয়ে তারা ক্ষান্ত হন নি। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করে। দিনটি কল্পনাপুরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এমন উদ্যোগ আগে কখনও হয়নি। উক্ত সমাবেশে অত্র অঞ্চলের প্রায় ১০০ অভিভাবককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সমাবেশে অত্র এলাকার নামি দামি সকল সেলিব্রেটি উপস্থিত হন। সেলিব্রেটিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এম এ দবির। যিনি একজন বড় ব্যবসায়ী। যার রয়েছে দেশে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
অনেকে এমন একটি উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে আবেগে আপ্লোত হয়ে পরেন। তরুণরা যে পারে তা শীর্ষ পর্যায়ের সবাই এক বাক্যে অনুপ্রেরণা হিসেবে মেনে নেন। সবাই মত দেন তাদের সন্তানরা পড়ালেখা করতে যেরূপ সহযোগিতা দরকার তা তারা দিবেন। আগে হেলা ফেলা করতেন, কিন্তু এখন থেকে আর অবহেলা করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন।
অভিভাবকদের মধ্যে একটি ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, খেলাধুলা করলে পড়া লেখার ক্ষতি হয়। সমাবেশে গুণীজনদের বক্তব্য শুনার পর তারা তাদের ভূল বুঝতে পারেন। খেলাধুলা শরীর গঠনে সহায়ক, মানবিকতার বিকাশ ঘটে, একতা বদ্ধ হয়ে চলতে সহায়তা করে, নেতৃত্ব গুণ তৈরী হয় এছাড়া জাতীয় তারকাও হওয়া যায়। ফলে সুনাম অর্জন হয়, অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সহায়ক হয়। এ সমস্ত গুণাবলী অভিভাবকগন তাদের ভূল বুঝতে পারেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন তারকাদের নাম স্মরণ করিয়ে দেন বক্তারা। যেমন-আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মূর্তজা ও মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানের পর অভিভাবকগণ বুঝতে পারেন যে, সন্তান শিক্ষিত হলে সামাজিক মর্যাদাও বাড়ে। ----০----
-মোঃ খাইরুল ইসলাম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.