![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
অতীত আমাদের কিন্তু তাদের জন্য এখনো চলমান। গত শুক্রবার সুযোগ হয়েছিল ডিব টিউভওয়েলের পানিতে গোসল করার। শহরের চার দেওয়ালে বন্ধি থেকে, বাসা থেকে অফিস - অফিস থেকে বাসা, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে টুপ করে বাথরুম ঢুকে পট পট পানি দিয়ে ঝটপট গোসল ও ২ মিনিটে নাস্তা শেষ করা এখন আমাদের নিত্যদিনের কাহিনী। অফিস অফিস অফিস..... কোন ফুসরত নেই। ছাত্রজীবনে যেমন ঘুরে বেরিয়েছি, এখন আর হয়না। খেলার মাঠেও যাইতে পারিনা। যাব কি করে? কখন যে সন্ধ্যা সাতটা বাজে আরএমজিতে চাকরী করে বুঝার উপায় নেই। সরকারী চাকুরীজীবীদের জীবন আর প্রাইভেট জীবন অনেক ফারাক। এক মিনিট সময়ও আমাদের কাজের বাইরে সুযোগ নেই। সরকারী চাকুরেরা অফিস টাইম হয়ত হেরফের করে বসকে বলে বা প্রভাব খাঁটিয়ে চলতে পারেন, আমাদের তার সুযোগ নেই। একশ % হালাল সময় ব্যবহার করতে হয়। আট ঘন্টা নামে, দশ ঘন্টা -এগার ঘন্টা যায় টানে.....তবু বলতে হয় ভাল আছি। কোন টেনশন নেই, রোজগারটি হালাল না হারাম। কারণ, আমরা ফাকিবাজি করতে সুযোগ পাইনা। যেটুকু পাই অনুমোদন ক্রমে।
তবুও সরকারী চাকরীজীবীদের কদর আমাদের দেশে একশো। তবে ছেলেদের বেলায়....অবশ্য মেয়েদের বেলায় তা না।।
গ্রামীণজীবন খুব মজার। হয়ত আর্থিক টানা পোড়েন সেখানে বেশী। ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতে খায় হিমশিম।
তথাপি গ্রামে প্রতিবেশী আছে। একই বাড়ীর লোক আছে, সমাজ আছে।
আর শহরে কোন প্রতিবেশী নেই, বাড়ীর বা পাড়ার লোক বলে কিছু নেই। আছে ফ্লাট বাড়ী। তাতে থাকে কিছু যন্ত্রমানব। কাজ না থাকলে ঘরে বসে টিভি দেখা, অথবা অফিস অফিস। এক বাসার লোক অন্য বাসার লোককে চিনে না। অথচ একই ব্লকে থাকে। আমি ছয় তলায় থাকি। এখানে আরো ২টি পরিবার থাকে। ওরা কারা? কি নাম তা জানিনা। কখনো কথাও হয়নি। এমন.... এক বাসায় লোক মারা গেলে অন্য বাসার লোক জানেনা। এই হলো শহুরে জীবন। সামাজিকতা বলতে সেখানে কিছু নেই। তবু আমরা শহরকে প্রাধান্য দেই। কিন্ত গ্রামকে বলি ভালবাসি।
©somewhere in net ltd.