![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
আমদের অফিস শুরু সকাল আটটায়। এসময় নিয়োগের জন্য চাকুরী প্রার্থীরা গেইটে আসে ও আমরা বাঁছাই করি। অনেক বিষয়ই আমাদের তখন মোকাবেলা করতে হয়। অনেকের চাকুরী প্রয়োজন কিন্তু নিতে পারিনা। আমরা যে বিষয়টি লক্ষ্য করছি তা হলো অকালে ঝড়ে কর্মের সন্ধানে ছুটছে অভাব অনটনে ভোগা শিক্ষার্থীরা। পারিবারিক অার্থিক সমস্যা মোকাবিলা না করতে পেয়ে তারা ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর মধ্যেই স্কুল ত্যাগ করছে।
আবার এসএসসি বা এইচএসসি পাশ করেও বিরাট একটি অংশ ঠিক একই কারণে আর উচ্চ শিক্ষায় অংশ নিচ্ছেনা। তারা ছুটছে পোশাক শিল্পের দিকে। কিন্তু পোশাক শিল্পে ক্রমবর্ধমান বেতন কাঠামোর কারণে এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় শ্রমিকের কাজ কমে যাচ্ছে ও মালিকরাও চাচ্ছেন কিভাবে কম লোক দিয়ে বেশী কাজ আদায় করা যায়। তার অর্থ এই, প্রযুক্তির ব্যবহার ও খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে লোকের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। ফলে নতুন কর্ম সৃষ্টির বদলে কর্ম সংকুচিত হচ্ছে।
মোটামুটি সনদ লাভকারীদের মধ্যে একটা কথা চালু আছে যে, সরকারী চাকুরী পেতে হলে শক্তিশালী রেফারেন্স বা মামা-খালু-ভাইয়ের ও টুপাইস লাগে।
উচ্চশিক্ষা লাভ করার সময় অনেকে সংকল্প করেন সরকারী চাকুরী করবোনা, বেসরকারী চাকুরী করবেন। আসলে সরকারী চাকুরীর প্রতি যে অনীহা তারা দেখান তার কারণ কি? মামা-খালু-টাকার জন্য? আমার একটু ভিন্নমত আছে। যেসব শিক্ষার্থী দূর্বল বা পড়ালেখায় যাদের অনীহা রয়েছে তারাই সরকারী চাকুরী না করার কথা মার্কেটে ছেড়ে দেন।
সোমবার সকালে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা করা নওগাঁ'র আশরাফুল আমাদের তেমনই বললো যে সরকারী চাকুরী তার হবেনা কেননা ঐ জিনিষগুলো তার নেই। সে রাশিয়া যেতে চেয়েছিল যেতে পারেনি। কোন রকম দক্ষতা না থাকায় আমরাও তাকে নিতে পারছিলাম না। অনেক চাপাচাপির পর ডিপ্লোমা থাকায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। অতঃপর.....এই লেখা। তার প্রশ্নে বলা হলো বাংলাদেশের সরকারী নাম কি? উত্তরে লিখলো বেগম শেখ হাসিনা। সার্কভূক্ত দেশের নাম লিখতে বলা হলো লিখলো শুধু বাংলাদেশ ও ভূটানের নাম। একটি প্রশ্নে ফেব্রুয়ারী মাসের নাম লিখতে হয়, সে লিখেছে ফ্রেবরুয়ারী। পদ্মা ইংরেজীতে লিখলো Poda. সাদার ইংরেজী লিখলো Whait. বাংলা থেকে ইংরেজী করলো my favarit play cricket. বাগধারার বাক্য গঠন করতে বললে আক্কেল সেলামীঃ লোকটি না বুঝে তোকে ছালাম লিলেন। ডুমরের ফুলঃ ডুমুরের ফুলটি অনেক সুন্দর এরকম লিখলো। ইংরেজীর বাক্য গঠন করতে বললে সে অনুবাদ করে বসলো। Bag & braggers: থলিটা অনেক সুন্দর। বাংলা অনুবাদ করলো বিখ্যাত একটি বাক্যের সততায় মহত গন(Honesty is the best policy).
গণিত যাচাইও ছিল, বুঝে নিন কি করেছে! ১ ফুটে লিখলো ৩৬ ইঞ্চি, ১ মাইলে লিখলো ৩৩৬ গজ।
এরপর আশরাফুলকে একটু ধুলাই করলাম। তোমার ডিপ্লোমা করাটাই বৃথা। পরিবারের সাথে তুমি ধোঁকাবাজি করেছো। আবার বলো মামা-খালু-টাকা না থাকলে চাকুরী হয়না। তোমার মত মেধাবী দেশের বোঝা।
©somewhere in net ltd.